<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগের মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মামলায় তথ্যগত ভুল উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াসহ কোনো আসামির বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষী খুঁজে পায়নি ডিবি পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুস ছোবহান আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ডাকা মিছিলে অনেক লোক ছিল। তারা মিছিল করে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশান ২ নং গোলচত্বরের কাছাকাছি পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা লোকজন কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। মিছিল চলাকালে কে বা কারা কোন দিক থেকে বোমা নিক্ষেপ করে তার কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী বা কে বোমা নিক্ষেপ করেছে তা তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা বা পরে একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা শনাক্ত করতে পারেননি। এ ব্যাপারে কোনো ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, তদন্তকালে কোনো সাক্ষী এজাহারনামীয় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রদান করেননি। এরপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় ঘটনাস্থলের আশপাশে বর্তমানে তৎকালীন কোনো লোকজন না থাকায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সাক্ষী পাওয়া যায়নি। এ মামলায় কোনো আসামি শনাক্ত করতে না পারায় এবং বাদীর এজাহারে উল্লিখিত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় মামলাটি অহেতুক বিলম্ব না করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (মৃত), স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আ. কাইয়ুম ও বিএনপির সহ-পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু প্রমুখ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>