<p>বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রক্তক্ষয়ী জুলাই ও শত শত শহিদের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘জুলাই অনির্বাণ’ প্রকাশ পেয়েছে। আর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় উঠে এসেছে এটি। সাড়া ফেলেছে দর্শক হৃদয়ে। জুলাইয়ের স্মৃতিগুলোকে তরতাজা করে রাখতেই ডকুমেন্টারিটি নির্মাণ করা হয়েছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে অন্তর্বর্তী সরকার তথা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আনা হয় ‘জুলাই অনির্বাণ’। এছাড়াও ইউটিউব ও বিভিন্ন গণমাধ্যমেও আলাদা করে প্রকাশ করা হয় এই ডকুমেন্টারিটি। যা দেখে অত্যন্ত আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন নেটিজেন, দর্শকেরা। </p> <p>আবু সাঈদের প্রসারিত দুই হাত, ‘পানি লাগবে’ বলতে থাকা মুগ্ধ, আন্দোলনে নিহত ও আহত হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের গল্প নিয়েই তৈরি এই ডকুমেন্টারিটি দেখে দর্শকরা আবেগাপ্লুত। সামাজিক মাধ্যমে দেখা মিলছে মানুষের অসংখ্য মন্তব্যের। কেউ বলছেন, ‘ভিডিওটা দেখে কষ্টে চোখ দুটো ভিজে যাচ্ছে বারবার। এই কষ্ট বুকে নিয়েই এ দেশটার জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্ন দেখাতে হবে।’ কেউ বলছেন,  ‘দেখছি আর অঝোরে কাঁদছি!’ কারো প্রার্থনা, ‘জান্নাতে সুখে থাকুক আমার শহিদ ভাইয়েরা।’</p> <p>ডকুমেন্টারিটি নিয়ে কথা বলেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এক ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম হল ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে স্মৃতির সংগ্রাম’- মিলান কুন্ডেরা।</p> <p>সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও লেখেন, ‘আমরা ভুলব না। আমরা আমাদের বীরদের গল্প, আমাদের সংগ্রামের সম্মিলিত স্মৃতি নিয়ে যেতে থাকব! আপনার প্রোপাগান্ডা মেশিন যত বড়ই হোক না কেন আপনি সফল হবেন না, আপনি মিথ্যা আখ্যা তৈরি করে আপনার হাত ধুতে পারবেন না। সত্য বারবার বলা হবে।’</p>