<p>বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ১০ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। গতকাল রবিবার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁদের প্রশাসন বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তারা প্রশাসন বিভাগে সংযুক্ত থাকবেন। </p> <p>জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। তাঁদের কক্ষে তালা দেন প্রতিষ্ঠানেরই কিছু কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে অনুরোধ জানানো হয় দপ্তরে প্রবেশ না করার। এ সময় কর্মকর্তাদের কেউ কেউ দপ্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে বাধার মুখেও পড়েন।</p> <p>টানা এক যুগের বেশি সময় মহাপরিচালকের দায়িত্বে থেকে গত ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন লিয়াকত আলী লাকী। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান নাট্যনির্দেশক সৈয়দ জামিল আহমেদ। </p> <p>প্রশাসন বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন সংগীত নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের সহকারী পরিচালক খন্দকার ফারহানা রহমান, অর্থ, হিসাব ও পরিকল্পনা উপবিভাগের উপপরিচালক মো. এ. এম. মোস্তাক আহমেদ, মহাপরিচালকের পিএস (সহকারী পরিচালক) আবু ছালেহ মো. আবদুল্লাহ, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. চাকলাদার মোস্তফা আল মাসউদ, অর্থ, হিসাব ও পরিকল্পনা উপবিভাগের সহকারী পরিচালক (এডি) মোহাম্মদ আল হেলাল, কালচারাল অফিসার সৈয়দ সাহিদা বেগম, কালচারাল অফিসার মো. আসফ উদ-দৌলা, কালচারাল অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হাসান মাহমুদ এবং মহাপরিচালকের দপ্তরের কালচারাল অফিসার সাদিয়া বিনতে আফজল।</p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেছেন, কিছু কর্মকর্তার দেওয়া তালিকা ধরে এই ওএসডি করাকে তাঁরা অন্যায় বলে মনে করেন। তাঁরা বলেন, প্রথমে অন্যায়ভাবে তাঁদের কক্ষে তালা মারা হয়েছে ও নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। অফিস করতে গেলে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তারপর গত সপ্তাহে কক্ষ খুলে দিলেও কার্যত তাঁদের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এখন কোনো যৌক্তিক কারণ দর্শানো ছাড়াই ওএসডি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তাঁরা। </p> <p>এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে ফোন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ ও সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদকে। একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি।</p>