জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বই প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বই প্রকাশ
সংগৃহীত ছবি

জুলাই আন্দোলন নিয়ে নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। শনিবার (১৫ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
গাড়িতে ৩৭ লাখ টাকা, মুচালেকায় ছাড়া পেলেন প্রকৌশলী

গাড়িতে ৩৭ লাখ টাকা, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন প্রকৌশলী

 

বই প্রকাশ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আমার চোখে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নানা ঘটনাপ্রবাহ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং জানা-অজানা অনেক বিষয় উঠে এসেছে এই বইতে। সময় স্বল্পতার কারণে বিশদভাবে লেখার সুযোগ হয়নি।

তবে আন্দোলনের সংগঠক ও অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান থাকবে—আপনারাও লিখুন। সবার গল্প একত্রিত হলে আগামী প্রজন্ম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারবে।’

বইটিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন দিক ও আন্দোলন পরিচালনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘কারাগারে বসে লিখব জুলাইয়ের ইতিহাস’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘কারাগারে বসে লিখব জুলাইয়ের ইতিহাস’
সংগৃহীত ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে সর্বপ্রথম জুলাইয়ের ইতিহাস নিয়ে বই লিখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

‘জুলাই : মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শিরোনামের বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানও হয়ে গেছে। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বইটি প্রকাশের পর এ নিয়ে মন্তব্য জানাতে থাকেন পাঠকরা।

আরো পড়ুন
সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই : প্রেসসচিব

সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই : প্রেসসচিব

 

রবিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা সালাউদ্দিন আম্মার।

তিনি লিখেছেন, ‘এ জন্যই আমাকে জুলাইয়ের ইতিহাস লিখতে অনুরোধ করার পরও আজ পর্যন্ত রাজি হইনি।’ 

‘আমি ইতিহাস লিখতে চাই তখন, যখন ইতিহাসের জায়গা নিয়ে কেউ কামড়াকামড়ি করবে না, যখন জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া একেকজন কারাগারে সাজাভোগ করছেন, যখন কয়েকজনের রাষ্ট্রদ্রোহীর অপরাধে ফাঁসির আদেশ হবে। যখন জুলাইয়ে নিজের অংশগ্রহণ অস্বীকার করতে উদগ্রীব হবে একটা দল।

 ঠিক তখনই আমি কারাগারে বসে লিখব জুলাইয়ের ইতিহাস। ইতিহাস এত সহজ নয়!! আপাতত রমাদান মোবারক।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

প্রথম আলো ও রাফীর বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি একরামুলের স্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথম আলো ও রাফীর বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি একরামুলের স্ত্রীর
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি একটি ওটিটি প্ল্যাটফরমে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘আমলনামা’। এটি নির্মাণ করেছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী। অবশ্য ওয়েব ফিল্মটি মুক্তির পর বিতর্কের মুখে পড়েছেন রাফী। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ২০১৮ সালে র‍্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম।

এ ছাড়া প্রথম আলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

মূলত ‘আমলনামা’র একটি দৃশ্যে ২০১৮ সালের আলোচিত ঘটনা একরামুল হককে হত্যার সময়কার চিত্র তুলে ধরেন রাফী। সেই দৃশ্য নিয়েই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

আজ রবিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন আয়েশা বেগম।

প্রথম আলোর ওই ফটোকার্ডে লেখা, “অনেকে বলছেন, কথিত বন্ধুকযুদ্ধে টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়েই ‘আমলনামা’।”

ফটোকার্ডটি শেয়ার করে স্বামী একরামুল হকের বিষয়টি তুলে ধরে আয়েশা বেগম বলেন, ‘পরিচালক রায়হান রাফী একটি কাল্পনিক মুভি বানিয়েছেন, এই মুভিতে রায়হান রাফী নিজেই প্রথমে স্বীকার করেন যে মুভিটি কোনো সত্য ঘটনার সঙ্গে মিল নেই, তিনি তার মনমতো করে কাল্পনিকভাবে এই মুভিটি বানিয়েছেন। আর আপনারা আজ এই মুভি দেখে আমাদের দোষারোপ ও লজ্জিত করছেন। আপনারা এই মুভিটা আমার স্বামীর ঘটনা বলে অপপ্রচার করতেছেন, আমার স্বামী কোনো প্রকার মাদকদ্রব্যের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

আমার স্বামীকে খুনিরা পরিকল্পিতভাবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আজ আপনারা এই মুভি দেখে আমার স্বামীর আসল ঘটনা বলে উল্লেখ করিতেছেন।’

তিনি রায়হান রাফীর উদ্দেশে বলেন, ‘রায়হান রাফী যদি বলেন যে এই মুভিটি একরামুল হকের সত্যি ঘটনার ওপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে, তাহলে তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে বাধ্য হবো। আর আমি রায়হান রাফীকে বলব, এই মুভিটি একরামুল হকের আসল ঘটনার সঙ্গে কোনো মিল নেই এই কথাটা সবার সামনে বলার জন্য অনুরোধ করছি।’

এরপর আয়েশা প্রথম আলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রথম আলো এই ঘটনাকে একরামুল হকের আসল ঘটনা বলে প্রচার করেছে, এই মুহূর্তে আমাকে ও আমার দুই মেয়েকে জাতির সামনে অপমান, লজ্জিত ও দোষারোপ করতেছে।

আর পুরো জাতি জানে আমার স্বামী কোনো রকম মাদকদ্রব্য ও অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি মাদকের বিরোধিতা করেছিলেন তাই খুনিরা আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে ও নাটকীয়ভাবে হত্যা করে।’

প্রথম আলোর উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রথম আলোকে বলব তারা যা প্রচার করেছে তা ভুলবশত করেছে, আর যদি তারা তা স্বীকার না করে তাহলে আমি ও আমার দুই মেয়ে মিলে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে বাধ্য হবো। আর আমি প্রথম আলোকে অনুরোধ করছি, অতি শিগগিরই এই ঘটনা একরামুল হকের ঘটনার সঙ্গে যে কোনো মিল নেই, এই কথাটি সবার সামনে বলার জন্য।’

এদিকে আয়েশা বেগমের পোস্টটি নজরে এসেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরেরও। তিনি পোস্টটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আয়েশা বেগমের অভিযোগ গুরুতর। আশা করি, রায়হান রাফী এবং প্রথম আলো বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন/সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৬ মে রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের নোয়াখালীপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে র‍্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন তিনবারের কাউন্সিলর একরামুল। ওই বছরের ৩১ মে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা এ হত্যাকাণ্ডকে ঠাণ্ডা মাথার হত্যা উল্লেখ করে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। ক্রসফায়ারের সময় তার সেলফোনে রেকর্ডকৃত কথোপকথনের অডিও ক্লিপ তিনি সাংবাদিকদের দিয়েছিলেন। যা তোলপাড় ফেলে দেয় পুরো দেশে।

মন্তব্য

নারীর ইমামতিতে নামাজ, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নারীর ইমামতিতে নামাজ, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি একজন নারী নামাজের ইমামতি করছেন এমন একটি ভিডিও বাংলাদেশের ঘটনা বলে প্রচারিত হয়েছে। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে “মহিলা ইমামতি করে, পুরুষেরা পিছে নামাজ পড়ে!! আমরা কোন বাংলাদেশে আছি বর্তমানে।” শিরোনামে প্রচার করা হয়েছে।

তবে প্রচারিত ওই ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয়।

এটি ২০১৮ সালে ভারতের কেরালায় জুমার নামাজে এক নারীর ইমামতির ভিডিও বলে জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রিউমার স্ক্যাকার জানিয়েছে, ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক সাভেরার ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘In a first, Kerala women leads friday prayers’ শিরোনামে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

 ভিডিওটির শিরোনামে এটি ভারতের কেরালার বলে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তীতে, ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি কেরালার মালাপ্পুরামে কুরআন সুন্নাত সোসাইটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জামিদা শুক্রবারের নামাজে ইমামতি করেন। তিনি বলেন, ‘ইসলামে কোথাও বলা নেই যে শুধু পুরুষরাই ইমাম হতে পারেন।’ নামাজটি ভেঙ্গারায় সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে প্রায় ৮০ জন পুরুষ ও মহিলা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে অন্যান্য ভারতীয় গণমাধ্যম থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়। 

সুতরাং ভারতের কেরালার জুম্মার নামাজে মহিলা ইমামতির ঘটনার পুরোনো ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মাগুরার ঘটনায় ন্যায়বিচারের পাশাপাশি জুলুমও শুরু হয়েছে : রাশেদ খাঁন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাগুরার ঘটনায় ন্যায়বিচারের পাশাপাশি জুলুমও শুরু হয়েছে : রাশেদ খাঁন
সংগৃহীত ছবি

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন নিজের ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘অভিযুক্ত বাবা ও দুই ভাই মিলে মায়ের সহযোগিতায় আছিয়াকে নির্যাতন করেছে বলে যে অভিযোগ এসেছে, তা আমার কাছে বিশ্বাস করতে কিঞ্চিৎ হলেও সন্দেহ লাগছে। এছাড়া ভুক্তভোগী পরিবারের বয়ানের মধ্যেও অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মহলকে অবহিত করেছি।’

আজ রবিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা লিখেছেন।

তিনি ওই পোস্টে আরো লিখেছেন, ‘আবেগপ্রবণ হয়ে যেন নিরপরাধ কোন ব্যক্তিকে বা পুরো পরিবারকে অপরাধী বানিয়ে শাস্তি না দেওয়া হয়। বরং যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শুধু অপরাধীকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় পরিবারের একজনের অপরাধে পুরো পরিবারকে অপরাধী বানালে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিলে, সমাজচ্যুত করলে এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। ন্যায়বিচার অর্থ হলো শুধু অপরাধ ও অপরাধীর বিচার।
অতিরিক্ত শাস্তিও কিন্তু জুলুমের শামিল। এই জুলুমও কোন ধর্মে এলাও করেনা, আমার নিজ ধর্ম ইসলামও করেনা।  

রাশেদ খান লিখেছেন, ‘আমার সন্দেহ লাগছে, মাগুরাও ঘটনায় ন্যায়বিচারের পাশাপাশি জুলুমও শুরু হয়েছে। আর আমাদের রাজনীতিকরা হলো পপুলিজমে বিশ্বাস করে।

তারা ভাবে এই বিষয়ে কথা বললে, জনপ্রিয়তায় ধস নামবে। কিন্তু তারা ভুলে যায়, সমাজ সংস্কার ও জনগণকে সচেতন করাও একজন রাজনীতিকের দায়িত্ব। A leader is one who knows the way, goes the way, and shows the way. সুতরাং পপুলিজমের পথে না হেঁটে ন্যায্য কথা বলে যেতে হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ