<p style="text-align:justify">অবসরের ঘোষণা দিলেন লুইস সুয়ারেজ। এতে করে তার ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে যাচ্ছে আগামী শনিবার। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।</p> <p style="text-align:justify">বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা সোমবার মন্টেভিডিওর সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন সুয়ারেজ। এই মাঠেই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিদায়ি ম্যাচ খেলবেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। কান্নাভেজা চোখে বিদায় নিয়ে ৩৭ বছর বয়সী ইন্টার মায়ামি স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার) দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলব। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল না। তবে আমি প্রশান্তি নিয়েই আশা করি যে ক্যারিয়ারের (জাতীয় দল) শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আমার সেরাটা দেব।’</p> <p style="text-align:justify">২০০৭ সালে উরুগুয়ের হয়ে অভিষেক হয় সুয়ারেজের। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে দলের হয়ে ১৪২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন ৬৯টি। যা উরুগুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ক্যারিয়ারে চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন বার্সেলোনা ও লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড। তবে কখনো বিশ্বকাপের ট্রফি জেতা হয়নি। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও উরুগুয়ের হয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">২০১১ সালের কোপা আমেরিকা জয়ে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখেন সুয়ারেজ। ৪ গোল করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন তিনি। ফাইনালে প্যারাগুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচেও করেছেন একটি গোল। জাতীয় দলের হয়ে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে জানিয়েছেন তিনি। মায়ামির স্ট্রাইকার বলেছেন,‘কোনো কিছুর বিনিময়ে কোপা আমেরিকার ট্রফি ছাড়তে রাজি নই। আমার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন। তাই কোনো কিছুতেই এটি হারাতে রাজি নই।’</p> <p style="text-align:justify">আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেও ক্লাব ফুটবল চালিয়ে যাবেন সুয়ারেজ। ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু লিওনেল মেসির সঙ্গে মায়ামির হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বেশ কিছু বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন সুয়ারেজ। তার মধ্যে অন্যতম ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড় দিয়ে চার মাস নিষিদ্ধ থাকা।</p> <p style="text-align:justify">তারও আগে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপে ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে ভিলেন হওয়ার পথে ছিলেন সুয়ারেজ। তবে ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে ম্যাচটি পরে ভিলেন থেকে নায়ক বনে যান তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে পেনাল্টিতে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ঘানা ট্রাইব্রেকারে হেরে যায়। তার লাল কার্ড দেখা পরে যেন শাপেবর হয় দলের। </p>