<p>ক্যারিয়ারে কী জেতেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এক ফুটবল বিশ্বকাপ ছাড়া সম্ভাব্য সব পুরস্কারই তার নামের পাশে আছে। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত নন তিনি। তাই তো এই বয়সেও নতুন নতুন লক্ষ্য অর্জন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। ক্যারিয়ারে বহু রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মালিক যেমন এবার লক্ষ্য স্থির করেছেন হাজারতম গোলের।</p> <p>ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে এসেও আল নাসরের হয়ে জাদুকরী মুহূর্ত উপহার দিচ্ছেন রোনালদো। ৩৯ বছর বয়সের রোনালদো এখনো তরুণদের রোল মডেল। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই কাজটা বহু বছর ধরেই করে আসছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। ‘সিআর সেভেনের’ এমন ক্রীড়া নৈপুণ্য দেখে বেশ অভিভূত হয়েছেন ইমানুয়েল পেতিত। ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডারের মতে, সর্বকালের অন্যতম সেরা রোল মডেল হওয়ার পেছনে তার ইগো বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তিনি।</p> <p>দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পেশাদার ফুটবলের শীর্ষস্থান থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের অভিভূত করে আসছেন রোনালদো। এটা যে সহজ কোনো কাজ নয়, তা স্মরণ করে দিয়ে পেতিত বলেছেন, ‘ফুটবল ইতিহাসের সেরা রোল মডেল হিসেবে ধরা যেতে পারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। যখন দেখবে কোথা থেকে এসে আজ ৩৯ বছর বয়সে নিজেকে কোথায় নিয়ে গেছে। সে স্পোটিং সিপি থেকে এসে তারকা হওয়ার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে পরিশ্রম করেছে। দীর্ঘ সময় নিজেকে শীর্ষ পর্যায়ে দেখার আকাঙ্ক্ষা ছিল তার। সব রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নেওয়া সেই আকাঙ্ক্ষা ছিল তার।’</p> <p>রোনালদোকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে তার ইগো ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন পেতিত। পর্তুগালের অধিনায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘তার বড় রকমের ইগো আছে। তবে এই ইগোই তাকে প্রতিদিন সেরা হতে সহায়তা করেছে। সে গত ১৫ বছর ধরে একটা উদাহরণ তৈরি করেছে। এ জন্য তার প্রতি আমার দারুণ শ্রদ্ধা রয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ে যেতে চায় এবং এখনো যারা আছে সেসব ক্রীড়াবিদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। মানসিক এবং শারীরিকভাবে অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রোনালদো।’</p>