<p>খেলায় অবদানের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিন সাবেক ক্রিকেটার। আইসিসির সম্মানসূচক ‘হল অব ফেমে’ জায়গা পেয়েছেন অ্যালিস্টার কুক, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও নিতু ডেভিড। আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।</p> <p>আগামী রোববার দুবাইয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন তিন কিংবদন্তিকে স্বাগত জানাবে আইসিসি। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও ওপেনার কুক ১১৩তম সদস্য হিসেবে ‘হল অব ফেমে’ জায়গা পেয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের সাবেক বাঁহাতি নারী স্পিনার নিতুর ১১৪ য়ের বিপরীতে ১১৫ তম সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ডি ভিলিয়ার্স।</p> <p>গত বছর ভারতের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে হল ফেমে জায়গা পেয়েছিলেন ডায়ানা এডুলজি। এবার পূর্বসূরীর সঙ্গী হলেন ভারতের হয়ে ১০ টেস্ট (৪১ উইকেট)  ও ৯৭ ওয়ানডে (১৪১) খেলা নিতু। ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট নেওয়া প্রথম ভারতীয় নারী ক্রিকেটার ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী। ভারতের ২০০৮ এশিয়া কাপ জয়ী দলের সদস্যেই ছিলেন তিনি।</p> <p>অন্যদিকে টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার কুক। কিছুদিন আগে জো রুট ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ টেস্ট রানের মালিক হওয়ার আগে এতদিন রেকর্ডটির মালিক ছিলেন কুক। ক্যারিয়ারে ১৬১ টেস্টে ৩৩ সেঞ্চুরিতে ১২ হাজার ৪৭৩ রান করেন তিনি। দীর্ঘ সংস্করণে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের অধিকারী কুক অবশ্য সীমিত ওভারে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৯২ ওয়ানডে করেছেন ৩২০৪ রান। আর ৪ টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ৬১ রান।</p> <p>ক্রিকেটে বিধ্বংসী ব্যাটারদের তালিকা করা হলে নিশ্চিতভাবেই শুরুর দিকে থাকবেন ডি ভিলিয়ার্স। দীর্ঘ ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ২০ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি। মাঠের এমন কোনো দিক নেই তিনি শট খেলতে পারেন না। সব দিকে খেলার দক্ষতা থাকায় তার নাম হয়েছে ‘৩৬০ ডিগ্রি’। ওয়ানডের দ্রুততম ফিফটি, সেঞ্চুরি ও  দেড় শ রানের রেকর্ডের মালিক ২২৮ ওয়ানডেতে করেছেন ৯৫৭৭ রান। সীমিত ওভারের অন্য সংস্করনে করেছেন ১ হাজার ৬৭২ রান। টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ খেলেছেন ৭৮টি। আর ১১৪ টেস্টে ৮ হাজার ৭৬৫ রান করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি।</p>