<p>অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ ‘বি’র শেষ ম্যাচটা ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আর তাতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি বাংলাদেশের।</p> <p>দুবাইয়ে ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। ৪৭তম ওভারে ২ উইকেট হারালে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ওই ওভারে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিউমিকা ফেরান সেট ব্যাটার কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেনকে। ওপেনিংয়ে নেমে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচ বের করে নিয়েছিলেন কালাম। ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ৮ চার ও ১ ছক্কায়। জাওয়াদ আবরারকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রানের দুর্দান্ত শুরুও এনে দিয়েছিলেন তিনি।</p> <p>কালাম আউটের পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ শ্রীলঙ্কার হাতে যায়। তবে অপরাজিত ২৪ রান করা ফরিদ হাসান শেষ ওভারে প্রায় জয় এনেই দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণটা আর মেলাতে পারলেন না তিনি। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে সতীর্থ ইকবাল হোসেন ইমন রান আউট হলে তার চেষ্টাটা বৃথা যায়। এতে বাংলাদেশ ২২১ রানে অলআউট হলে ৭ রানের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের সেরা বোলার ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেওয়া তিউমিকা।</p> <p>এর আগে বোলিংয়ে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৬ রানে শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট তুলে নিয়ে। কিন্তু চারে নামা ভিমাত দিসারার কাছে দিনহারা হয় বাংলাদেশ। সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও ‘নিঃসঙ্গ শেরপার’ মতে লড়ে যান শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩২ বলে ১০৬ রানের ইনিংসটি সাজান ১০ চারে।</p> <p>মাঝে অবশ্য দিনসারাকে সঙ্গ দিয়েছেন বিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা তিন ব্যাটার লাকভিন আবেসিংহে (২১), ভিরান চামুদিতা (২০) ও অধিনায়ক তিউমিকা (২২)। বাংলাদেশের হয়ে ৫০ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আল ফাহাদ।</p>