<p>ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটার কথা মনে আছে তো। দিল্লির সেই ম্যাচে বিশ্ব ক্রিকেট সাক্ষী হয়েছিল প্রথম কোনো ঘটনার। সেদিন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ‘টাইমড আউট’ করেছিলেন বাংলাদেশের তখনকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।</p> <p>সেই ঘটনা নিয়ে পরে অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। দুই পক্ষরা কোনো সমাধানে না আসলেও একটা বিষয়ে নিশ্চিতভাবেই সতর্ক হয়েছিলেন ব্যাটাররা। যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বোলারের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। সেই ঘটনার এক বছর পার হওয়ায় মনে হয় ভুলে গেছিলেন টম ও’কনয়েল। তা না হলে ম্যাথুসের মতো ভুল করবেন কেন চট্টগ্রামের ব্যাটার।</p> <div style="text-align:center"> <figure class="image" style="display:inline-block"><img alt="33" height="600" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Bhanu/ছদদ.jpg" width="1000" /> <figcaption>ছবি : ফেসবুক</figcaption> </figure> </div> <p>চট্টগ্রামের দলীয় ইনিংসের সপ্তম ওভারে প্রথম বলে হায়দার আলি আউট হওয়ার পরেই ব্যাটিংয়ে আসেন ও’কনয়েল। তবে বোলার মোহাম্মদ নওয়াজের মুখোমুখি হতে সময় ক্ষেপন করেন তিন। এতটাই সময় ক্ষেপন করেন যে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নিজেকে নিজেই আউট করেছেন তিনি। তাই যখন ক্রিজে আসলেন মাঠের আম্পায়ার তাকে আউট ঘোষণা করে। তার আগে অবশ্য আউটের আবেদন করে রাখেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।</p> <p>আউট হয়ে ড্রেসিংরুমের পথেই ধরেছিলেন ও’কনয়েল। তবে কয়েক মুহূর্ত পরেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলান মিরাজ। চট্টগ্রামের ব্যাটারকে ব্যাটিং করার জন্য অনুমতি দেন তিনি। লক্ষ্যটা ২০৪ রান হওয়াতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। কেননা সে সময় ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে প্রতিপক্ষ। লক্ষ্যটা তাড়া করা কঠিন ভেবেই হয়তো সিদ্ধান্ত নেন তিনি।</p> <p>ফল অনুযায়ী বলা যায় নিজের সিদ্ধান্তে সঠিকই ছিলেন মিরাজ। ও’কনয়েল জীবন পেয়েও যে কিছু করতে পারেননি। উল্টো ফিরতি বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছেন। নওয়াজের মুখোমুখি প্রথম বলেই মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।</p> <p>টাইমড আউট নিয়ে এমসিসির ৪০.১.১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘উইকেট পতনের পর কিংবা ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হবেন। এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে নতুন ব্যাটসম্যান আউট হবেন বা টাইমড আউট।’</p>