<p style="text-align:justify">গুমবিরোধী সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর কথা উঠে এসেছে পাঠ্যবইয়ে। নতুন বছরে অষ্টম শ্রেণির ইংলিশ ফর টুডে বইয়ের ১৩৯ পৃষ্ঠায় ‘অভ্যুত্থানে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক অধ্যায়ে সংগঠনটির নাম উঠে এসেছে।</p> <p style="text-align:justify">পাঠ্যপুস্তকের ১৪০ পৃষ্ঠায় মায়ের ডাকের বিক্ষোভের একটি ছবিও রয়েছে। মায়ের ডাক বিগত আওয়ামী লীগ আমলে গুমের বিরোধিতা করে এসেছে।</p> <p style="text-align:justify">সংগঠনটির নাম উল্লেখ করে বইয়ে বলা হয়েছে, আমরা ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের মতো নারীদের উদ্যোগ দেখেছি, যাদের পরিবারের সদস্যদের গুম করা হয়েছিল। সংগঠনটি স্বৈরাচারী শাসনামলের বিরুদ্ধাচরণের এবং ন্যায়বিচার চাওয়ার প্রতীক হয়ে উঠেছিল।</p> <p style="text-align:justify">এতে আরো বলা হয়, তারা বিক্ষোভ করেছিল এবং তাদের নিপীড়িত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু থামানো যায়নি তাদের।</p> <p style="text-align:justify">গুমের শিকার আটটি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠন গড়ে তোলেন। এখন প্রায় এক হাজার পরিবার এই প্ল্যাটফর্মের সদস্য, যাদের পরিবারের কেউ না কেউ গুমের শিকার হয়েছেন। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামল থেকেই তারা সোচ্চার ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গুম সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনও দিয়েছে। প্রতিবেদনে তারা বিগত শাসনামলে ঘটে যাওয়া গুমের এক হাজার ৬৭৬টি অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে।</p> <p style="text-align:justify">গত ১৬ ডিসেম্বর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘গুম কমিশনের প্রতিবেদন লোমহর্ষক। মানুষ মানুষের প্রতি কী পরিমাণ নৃশংস হতে পারে, এতে আছে তার বিবরণ। অবিশ্বাস্য বর্ণনা!’</p>