<p>সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের খোঁজ মিলেছে। শনিবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ হয়। </p> <p>প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তাদের হাতে এসেছে বেশ কয়েকটি নথি, যেখান থেকে প্রথমবার শনাক্ত করা গেল বেঁচে আছেন মেজর (অব.) সৈয়দ জিয়া। গত ২৯ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে নিজের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছেন মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে। অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানোর। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সেই ‘পানামা ফারুক’ই তাহসানের শ্বশুর" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/04/1736001498-7dd8766a626322140650188234a6cd50.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সেই ‘পানামা ফারুক’ই তাহসানের শ্বশুর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2025/01/04/1464915" target="_blank"> </a></div> </div> <p>দুই মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া ওই নথির সূত্র ধরে কথা হয় মেজর জিয়ার আইনজীবীর সঙ্গে। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিয়া আমাকে নিজে মেসেঞ্জারে ফোন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে মামলাগুলো হয়েছে, সবই মিথ্যা। তিনি এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তার ব্যাপারে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা প্রত্যাহার করার জন্য। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন, তার পলিটিক্যাল মোটিভেটেড মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য।’ </p> <p>এই আইনজীবী জানান, ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়া। তবে কোন দেশে, তা জানা যায়নি। </p> <p>প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশের খাতায় জিয়া একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ছিলেন। কখনো আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনো বা আইএস ও আল-কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে তাকে। জিয়াকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল সে সময়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘সৈয়দ আশরাফের ৩ জানাজা হবে শুনে বিরক্ত হন শেখ হাসিনা’" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/04/1735984993-ed4aa4c0b4f87b83bf5a89dc6d113d71.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘সৈয়দ আশরাফের ৩ জানাজা হবে শুনে বিরক্ত হন শেখ হাসিনা’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/01/04/1464814" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হকের দাবি, ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী হওয়ায় তাকে সামনে রেখে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় টার্গেট করা হয়েছিল তাঁকে। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে।</p> <p>টিভি প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লগার দীপন, অভিজিত্, জুলহাস হত্যাসহ সাতটি মামলার আসামি সৈয়দ জিয়া। এর মধ্যে তিনটি ফাঁসির দণ্ড ঝুলছে তাঁর মাথায়। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন, মৃত নাকি জীবিত আছেন, সেই প্রশ্নের সমাধান ১৪ বছরেও হয়নি।</p> <p>আলোচিত জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায়, জিয়াকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তাই গত ২৫ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহারে লিখিত আবেদন করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে।</p>