<p style="text-align:justify">কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।</p> <p style="text-align:justify">রাজধানী অটোয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার দল লিবারেল পার্টি নতুন নেতা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন।</p> <p style="text-align:justify">ট্রুডো বলেন, ‘মার্চ মাসে আস্থা ভোট হবে। সেখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ আসবে।’</p> <p style="text-align:justify">ট্রুডো ২০১৫ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে কানাডায় রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এরমধ্যে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সোমবার ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।</p> <p style="text-align:justify">এখন সাময়িকভাবে তিনি কতদিন প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।</p> <p style="text-align:justify">চলতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাস্টিন ট্রুডোও একই সময়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় ট্রুডোকেই বাণিজ্য ঝুঁকির প্রাথমিক মোকাবেলাটা করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি শপথ নেওয়ার পর পরই মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। এমনটি হলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে কানাডা।</p> <p style="text-align:justify">দলের মধ্যে ট্রুডোকে নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধতা ছিল। যা আরো দানা বাঁধে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পর।</p> <p style="text-align:justify">পদত্যাগপত্রে ফ্রিল্যান্ড বলেছিলেন, সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির মোকাবেলা করার জন্য কানাডাকে মূলধন (ফিসক্যাল পাউডার ড্রাই) প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মানে হলো ‘ব্যয়বহুল রাজনৈতিক কৌশল এড়ানো’, যা কানাডা বহন করতে পারে না।</p> <p style="text-align:justify">এএফপি বলছে, এই ফ্রিল্যান্ডকেই ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে মনে করছে কানাডিয়ান গণমাধ্যম। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মার্ক কারনির নামও আলোচনায় রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">আজকের সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছেন, কানাডার গভর্নর জেনারেলের কাছ থেকে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবির অনুমতি পেয়েছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">এই সময়ের মধ্যে উদারপন্থীরা নতুন নেতা বেছে নিতে পারবেন। একইসঙ্গে বিরোধীদের অনাস্থা ভোট আনার সম্ভাবনাও সীমিত করতে পারে।</p>