<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সাবেক মিত্রদের সঙ্গে জনসমক্ষে বিবাদ, অনাস্থা প্রস্তাব এবং জনপ্রিয়তা কমতে থাকায় ট্রুডোর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই গত সোমবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দলের পরবর্তী নেতা বেছে না নেওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন তিনি। ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডার ভবিষ্যৎ কোন পথে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। অল্পের জন্য অনাস্থা ভোটে উতড়ে গেছেন তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁর পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়েছে। চলতি বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। তবে কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে ট্রুডোর ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রাম্পের হুমকি মোকাবেলার প্রক্রিয়া নিয়ে মতবিরোধের কারণে গত ডিসেম্বরে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে ট্রুডোর মন্ত্রিসভার অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক এক্স বার্তায় ফ্রিল্যান্ড লিখেন, ট্রুডো তাঁকে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বলায় তিনি চলে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি এবং </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমেরিকা ফার্স্ট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনমত জরিপে ট্রুডোর প্রতি জনসমর্থন কমতে থাকায় লিবারেল পার্টির অনেক আইনপ্রণেতা প্রকাশ্যে ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি করেন। গত সোমবার ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর ফিনল্যান্ডসহ অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কানাডার পার্লামেন্ট অধিবেশন আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতের অনুরোধ করেছেন ট্রুডো। এতে অনুমোদন দিয়েছেন গভর্নর জেনারেল ম্যারি সাইমন। ট্রুডোর পদত্যাগের পর তাঁর উত্তরসূরি হওয়ার প্রতিযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন লিবারেল পার্টির নেতারা। আর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। কারণ আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে কানাডায় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনমত জরিপ বলছে, ট্রুডোর নেতৃত্বে নির্বাচন করলে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রুডো বলেন, লিবারেল পার্টি তার পরবর্তী নেতা বেছে নেওয়ার পর আমি দলীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করতে চাই।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রুডো পদত্যাগের কথা জানানোয় পরবর্তী নেতা বেছে নিতে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে লিবারেল পার্টিকে। সাধারণত এই ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করতে কয়েক মাস সময় লাগে। আর এর আগেই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে লিবারেলরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে, যাঁকে দলের সদস্যরা নির্বাচিত করেনি। যদিও এমনটা কখনো ঘটেনি কানাডায়। তাই লিবারেলরা একটি সংক্ষিপ্ত সম্মেলন আয়োজন করতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : আলজাজিরা</span></span></span></span></span></p>