কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্ব যখন প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের অভূতপূর্ব হুমকির মুখে, তখন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঐতিহ্যবাহী মিত্র ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ট্রান্স-আটলান্টিক সফর শুরু করেছেন।
ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যে তিনটি হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন কার্নি—ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি এবং আসন্ন অভ্যন্তরীণ নির্বাচন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা সত্ত্বেও তিন দিনের প্যারিস, লন্ডন এবং কানাডার সর্ব উত্তরের নুনাভুত অঞ্চলে উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রত্যাশা করছেন তিনি।
অটোয়া থেকে যাত্রা শুরুর আগে গত রবিবার এক বিবৃতিতে মার্ক কার্নি বলেন, আদিবাসী, ফরাসি ও ব্রিটিশদের ঐক্যের ওপর কানাডা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আমার ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য সফর আমাদের দুটি শক্তিশালী ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করবে।
কানাডার কেন নির্ভরযোগ্য অংশীদার প্রয়োজন, কার্নি তা খোলাসা করেননি। কানাডার পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে মন্দার আশঙ্কা এবং কানাডার সার্বভৌমত্বের প্রতি ওয়াশিংটনের অবজ্ঞার কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় অটোয়া পুরনো মিত্রদের দিকে ঝুঁকছে।
গতকাল সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা কার্নির।
দুই দেশের মধ্যে আরো শাক্তিশালী অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তোলার উপায় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে কার্নির দপ্তর।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এলিসি জানিয়েছে, দুই নেতা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সংকট এবং প্যারিস ও অটোয়ার কৌশলগত অংশীদারির কেন্দ্রে থাকা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন।
এরপর কার্নি লন্ডনের উদ্দেশে ওড়াল দেবেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ফেরার পথে কানাডার নুনাভুত অঞ্চলের ইকালুইত সফর করবেন তিনি। ট্রাম্পের আরেক লক্ষ্যবস্তু গ্রিনল্যান্ডের পাশেই এই অঞ্চলটির অবস্থান। সূত্র : এএফপি