<p>কাতারে পালিয়ে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে হত্যা মামলার আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিমকে (১৯) আটক করা হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তার জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শী এ নিহতের বাবা জানান, গত বছরের ৩১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ করে মুরাদ হাসানসহ (১৬) অনেকেই। তাদের ওই নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীর সমর্থকরা। ওই সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণাকারীদের মারধরসহ ধাওয়া করেন তারা। এক পর্যায়ে মুরাদসহ অনেককেই ধাওয়া দিয়ে স্থানীয় চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে নিয়ে যায় তারা। তখন অন্যরা সামান্য আহত হয়ে পালিয়ে রক্ষা পেলেও মুরাদ পারেনি। মুরাদের বুকের ওপর উঠে ছুরিকাঘাত করেন হামিম। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। </p> <p>তারা জানায়, এরপর থেকেই হামিম পলাতক ছিলেন। এ অবস্থায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা হয়। মুরাদ নান্দাইল পৌরসভার কাকচর মহল্লার মো. তফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি নান্দাইল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। অপরদিকে অভিযুক্ত সিংরুইল ইউনিয়নের আলাবক্সপুর গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে। কালাম উপজেলা বিআরডিবি অফিসের পিয়ন।</p> <p>মুরাদের বাবা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি হামিম পালিয়ে ছিলেন। পুলিশ খুঁজে পাচ্ছিল না। হামিমকে রক্ষা করতে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে তার পরিবার। এর মধ্যে পাসপোর্ট, ভিসাসহ সব কিছুই সম্পন্ন হয়। </p> <p>তোফাজ্জল বলেন, জানতে পারি, এক সপ্তাহ ধরেই হামিমকে নিয়ে তার পরিবার বিমানবন্দরের আশপাশে অবস্থান করছেন। একজন দালালের মাধ্যমে হামিমের পরিবার দেড় লাখ টাকায় পাসপোর্ট, আট লাখ টাকায় ভিসা, চার লাখ টাকা বিমান বালাসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে। </p> <p>শুক্রবার বিকেলে বিমান বন্দরে প্রবেশ করানো হয় হামিমকে। বিমানটি ছাড়বে রাত ৮টায়। এর মধ্যে চুক্তি হওয়া একজন বিমান বালার মাধ্যমে হামিমকে নিয়ে অনেক ধাপ পাড় হলেও সবশেষ আঙ্গুলের ছাপের প্রয়োজন হয়। আর তখনি বেকায় পড়েন হামিম। প্রকাশ হয়, তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি।</p>