<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেছেন, ‘জাতীয় রাজনীতি সংস্কার করা যদি না হয়, তাহলে ছাত্ররাজনীতি সংস্কার হবে না, শিক্ষার্থীদের কল্যাণ হবে না।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে উঠে আসা নেতৃত্বকে পরিচর্যা করে তাদের জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করা; যেটা জাতীয় দলগুলো ব্রেক করেছে। এই জিনিসিটা অতীতে মিসিং ছিল। এটি মিসিং থাকার কারণেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ থাকার ফলেও আমরা সহিংসতা লক্ষ্য করেছি।’</p> <p style="text-align:justify">আরিফ সোহেল বলেন, ‘সহিংসতা যেমন ছিলে, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধও ছিলে। প্রতিরোধ না থাকলে আর নব্বই ঘটতো না। প্রতিরোধ একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে নব্বইয়ের পরে। প্রতিরোধ থাকলে শেখ হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকত না।’</p> <p style="text-align:justify">আজ সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">আরিফ সোহেল বলেন, ‘অনেকে বলছেন, এতদিন হাসিনা ক্ষমতায় ছিল, ভালো হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে তার আসল চেহারা দেখা হত না, সে কতো বড় দানব ছিল জানা হত না। যদি ছাত্র সংসদগুলো চালু থাকত দেশের মানুষ আরো সচেতন থাকত।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি ছিল, আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বেও ছাত্ররাজনীতি ছিল। ছাত্রনেতারা মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশের সংকটের সময়ে দেশের মানুষ যখন প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেছিল, তখন ছাত্রদের ডাকে সাধারণ মানুষ আন্দোলনে অংশ নিয়ে সরকারের পতন ঘটিয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘নব্বইয়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে চব্বিশের আন্দোলন ছিল ছাত্রদের আন্দোলন। এ জন্য ছাত্রদের রাজনৈতিক সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ বাংলাদেশে যখনই বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়, তখনই ছাত্রদের ডাকে জনতা মাঠে নেমে আসে। তাহলে সেই ছাত্ররা কি রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে? রাজনৈতিক সচেতনতা থেকে দূরে থাকবে? থাকবে না। থাকলে দেশের ক্ষতি হবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি হবে। সুতরাং ছাত্ররাজনীতি করতে হবে।’</p>