<p style="text-align:justify">৪৩তম বিসিএসের নতুন প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়াদের সবাই কিংবা অধিকাংশই হিন্দু বলে দাবি করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনটির দাবি অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।</p> <p style="text-align:justify">৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবরে গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে, পরবর্তীকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে ১৮৯৬ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ প্রদান করে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বরে নতুন করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।</p> <p style="text-align:justify">এ ক্ষেত্রে আপাতদৃষ্টিতে ১৫ অক্টোবরে প্রকাশিত পুরোনো প্রজ্ঞাপনের তুলনায় নতুন করে প্রকাশ করা প্রজ্ঞাপনে ১৬৮ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়, বিসিএসের তালিকায় ১৬৮ জন হিন্দু প্রার্থীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাদ পড়াদের অধিকাংশ হিন্দু বা সংখ্যালঘু দাবিতেও সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, ৪৩তম বিসিএসের নতুন প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া ১৬৮ জনের সবাই কিংবা অধিকাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী শীর্ষক দাবিগুলো সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রথম প্রজ্ঞাপনে নাম থাকা এমন ২০৯ জনকে নতুন প্রজ্ঞাপনটিতে বাদ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১২০ জনই বা অধিকাংশই (অন্তত ৫৭ শতাংশ) ইসলাম ধর্মাবলম্বী। একইসঙ্গে প্রথম প্রজ্ঞাপনটিতে বাদ পড়া এমন প্রায় ৪১ জনকে নতুন করে যোগ করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় পাঁচজন হিন্দু বা সংখ্যালঘুও রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, গত বছরের ১৫ অক্টোবর প্রথম দফায় ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে, পরবর্তীতে ওই প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে ২০২৪ সালের গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। যেখানে ১৮৯৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।</p>