<p>বরিশালে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কার্যালয় ভাঙচুরে প্রধান অভিযুক্তের গ্রেপ্তার দাবিতে ফার্মেসি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। রবিবার (৫ জানুয়ারি) নগরীতে মাইকিং করে সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।</p> <p>ধর্মঘটের ফলে নগরীর কয়েক হাজার ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বরিশালের জনসাধারণ। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজনরা ওসুধ না পেয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। তবে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান বন্ধ দেখা যায়।</p> <p>রবিবার ভোরে বরিশাল নগরীর সদর রোডে দুই ঘণ্টা ধরে সমিতির অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন সংগঠনের নেতা আবদুস সালাম। তিনি এই ঘটনায় অভিযুক্ত পর্যটন হোটেল মালিক ইকবাল আজমকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। গ্রেপ্তার না হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।</p> <p>সমিতির কম্পিউটার অপারেটর দেবাশীষ হালদার বলেন, ‘ইকবাল আজম সমিতির নিজস্ব ভবনের জমির মালিকাকানা দাবি করে ২১টি মিথ্যা মামলা করেন। আমাদের বৈধ ক্রয় দলিল থাকার পরও অফিসের জমি নিজের দাবি করে ভাঙচুর ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছেন তারা। এ ঘটনায় আমাদের দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’</p> <p>বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সমিতির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রোগীর স্বজনদের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন। অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা।’</p>