ইরানের সিরাজ শহরে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মাজারে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবারের হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং আরো ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে ক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইরানে শিয়া মাজারে সশস্ত্র হামলা, নিহত ১৫
অনলাইন ডেস্ক

আল আরাবিয়্যাহ জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, হামলার জবাব দেওয়া হবে।
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ জানিয়েছে, বুধবার রাতে সিরাজ শহরে একটি মাজারে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। শিয়া সম্প্রদায়ের শাহ চেরাগ মাজারে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তিন বন্দুকধারী।
আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমরা প্রার্থনার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম; তখনই গুলির শব্দ শুনতে পাই। আমি পালানোর চেষ্টা করি।
শিয়াদের মাজারে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এ ধরনের বর্বর হামলার উচিত জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
তিনি বলেছেন, দেশ ভাগ করার ষড়যন্ত্রে বিফল হয়ে ইরানের শত্রুরা এবার হিংসা ছড়াচ্ছে। এই বর্বরোচিত কাজের সমোচিত জবাব দেওয়া হবে।
সূত্র : আল আরাবিয়্যাহ।
সম্পর্কিত খবর

সুদানে মার্কিন সহায়তা বন্ধে কমলো স্বাস্থ্যসেবা, শিশুসহ প্রাণ গেল ৮ রোগীর
অনলাইন ডেস্ক

কলেরার চিকিৎসার জন্য তিন ঘন্টা হেঁটেও চিকিৎসা না পেয়ে দক্ষিণ সুদানে আটজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে। আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই খবর জানিয়েছে। মার্কিন সাহায্য কর্তনের ফলে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা নিতে তিন ঘন্টা হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের মৃত্যু হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় নেওয়ার পর খরচ কমানোর জন্য নানা ধরনের সহায়তা বন্ধ করতে শুরু করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ পর মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম। সেভ দ্য চিলড্রেন এই বছরের শুরু পর্যন্ত পূর্ব দক্ষিণ সুদানের জংলেই রাজ্যে ২৭টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করেছিল। কিন্তু মার্কিন সহায়তা কর্তনের ফলে সাতটি সম্পূর্ণভাবে এবং ২০টি আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় বলে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদানে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত পরিবহন পরিষেবাও তহবিলের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে আটজন কলেরা রোগীকে নিকটতম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪০° সেলসিয়াস (১০৪° ফারেনহাইট) তাপে হেঁটে যেতে হয়েছিল।
দক্ষিণ সুদানে সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার নিয়ামান্ডি বলেছেন, ‘অন্যান্য দেশের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, বিশ্বব্যাপী এ নিয়ে নৈতিক ক্ষোভ থাকা উচিত।’
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ইউএসএআইডির ৯০ শতাংশেরও বেশি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগামী বছরগুলোতে অপুষ্টি, এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের কারণে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে।
দক্ষিণ সুদানের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি লোক সংঘাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্বে লড়াই শুরু হওয়ার পর দেশটি একটি নতুন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। গত অক্টোবরে কলেরা প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত মাসে ২২ হাজারের বেশি রোগীর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে শত শত মানুষ মারা গেছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেনের এই প্রতিবেদন করা মৃত্যুর তথ্য তাদের কাছে নেই।
ওই মুখপাত্র আরো বলেছেন, আমরা আমেরিকান করদাতাদের এমন সহায়তা প্রদানের জন্য বলব না, যা দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত আচরণকে সমর্থন দেন, যদিও জরুরি জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ সুদানের সরকারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রপতি সালভা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটিতে মানবিক সহায়তা প্রায়ই বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়, মূলত দুর্নীতির উদ্বেগের কারণে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ হ্রাস ছাড়াও, অন্যান্য দাতারা ধীরে ধীরে অনুদান কমিয়ে দেওয়ার ফলে দক্ষিণ সুদানে মানবিক সহায়তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার নিয়ামান্ডি বলেছেন, সেভ দ্য চিলড্রেন ২০২৫ সালে দেশে ৩০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার প্রত্যাশা করছে, যা গত বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার ছিল।
সূত্র : রয়টার্স

বিস্ময়করভাবে ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক (ভিডিও সহ)
অনলাইন ডেস্ক

চীনের পাল্টা শুল্কের জবাবে ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী চীনা বেশকিছু পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে। এ ঘটনা নাটকীয়ভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধকে আরো তীব্র করে তুলেছে।
এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বুধবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের মতো রপ্তানিকারক দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির হার আরো বেড়েছে।
শুল্ক আরোপের ফলে ওয়াশিংটনের শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু একটি প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে চীনের পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক এখন বিস্ময়করভাবে ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
গত বুধবার (২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চীন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ বাতিল করার আহ্বান জানায় এবং পরদিন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। জবাবে চীনের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। যা দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘চীন যদি মঙ্গলবারের (৮ এপ্রিল) মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকরভাবে চীনের ওপর অতিরিক্ত আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। এ ছাড়া চীনের অনুরোধকৃত সব আলোচনা বাতিল করা হবে।’
ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, তার সরকার বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা শুল্কর ক্ষেত্রে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মিত্রদের অগ্রাধিকার দেবে। মার্কিন শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা জেমিসন গ্রিয়ার সিনেটকে বলেন, আর্জেন্টিনা, ভিয়েতনাম এবং ইসরায়েল তাদের মধ্যে অন্যতম যারা তাদের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্প তার সহকর্মী রিপাবলিকানদের সঙ্গে এক নৈশভোজে বলেছিলেন, ‘দেশগুলো চুক্তিতে আসতে মরে যাচ্ছে। এই দেশগুলো আমাদের গালে চুমু খাচ্ছে।’ কিন্তু বেইজিং পিছু হটার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। শেষ পর্যন্ত দেশটি বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মার্কিন পণ্যের ওপর চীনের ৩৪ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস করেন, তার নীতি কম্পানিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করে আমেরিকার হারানো উৎপাদন ভিত্তিকে পুনরুজ্জীবিত করবে। কিন্তু অনেক ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদ শুল্কের ফলে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক থেকে ‘প্রতিদিন প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আয়’ করছে।
এর আগে এক্স, ট্রুথ সোশ্যালসহ একাধিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, 'তেলের দাম কমেছে, সুদের হার কমেছে, খাদ্যের দাম কমেছে, কোনো মূল্যস্ফীতি নেই। যেসব দেশ আমাদের শোষণ করত, শুল্কের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত যুক্তরাষ্ট্র এখন সপ্তাহে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আদায় করছে।’ পোস্টে চীনকে ‘সবচেয়ে বড় শোষক’ বলে আখ্যা দেন ট্রাম্প।
সূত্র : এএফপি

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র অবমাননার জন্য মার্কিন শিক্ষক গ্রেপ্তার
ডয়চে ভেলে

পল চেম্বার্স নামের ওই মার্কিন নাগরিক উত্তর থাইল্যান্ডের নরেসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। দেশের রাজতন্ত্রকে অবমাননার জন্য মঙ্গলবার এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ।
পল চেম্বার্স নামের ওই মার্কিন নাগরিক উত্তর থাইল্যান্ডের নরেসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। ব্যাংকক থেকে ৩৬০ কিমি দূরে উত্তরাঞ্চলের পিটসানুলোকের একটি পুলিশ স্টেশনে প্রথমে রিপোর্ট করেন চেম্বার্স।
কী অভিযোগ?
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পিটসানুলোকের এক পুলিশ জানান, মূলত দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন ওই মার্কিন নাগরিক। থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রকে অবমাননার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনলাইন অপরাধেরও অভিযোগ ওঠে।
মানবাধিকার আইনজীবীদের সংস্থা থাই লইয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুনানি পূর্ববর্তী গ্রেপ্তারির জন্য চেম্বার্সকে পিটসানুলোক প্রভিন্সিয়াল আদালতে তোলা হয়েছিল। ওই সংস্থা থেকেই চেম্বার্সের হয়ে লড়বেন আইনজীবী ওয়ানাপাট জেনরুমজিট।
তিনি জানিয়েছেন, একটি অনলাইন সেমিনারকে কেন্দ্র করে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উনি ওই সেমিনারে বক্তা ছিলেন।
রাজতন্ত্র সংক্রান্ত আইনে কী বলে?
থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র অবমাননার বিরুদ্ধে আইন খুবই কঠিন। থাই ক্রিমিনাল কোডের ১১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজা, রানি অথবা তাদের উত্তরাধিকারীকে হুমকি দিলে অথবা অপমান করলে তিন থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

ধসে পড়ল নাইটক্লাবের ছাদ, নিহত ৯৮
অনলাইন ডেস্ক

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে একটি নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোরে উদ্ধার অভিযানের প্রধান এই তথ্য জানিয়েছেন।
জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৯৮ জনে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন ক্লাবে ৫০০ থেকে ১ হাজার জন লোক ছিল। ক্লাবটিতে ৭০০ জন বসার এবং প্রায় ১ হাজার জন দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা রয়েছে। নাইট ক্লাবটির ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল সেটি এখনো জানা যায়নি।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি ব্যান্ড গান পরিবেশন করছে।
দেশটির রাষ্ট্রপতি লুইস আবিনাদারের মতে, মৃতদের মধ্যে মন্টে ক্রিস্টি পৌরসভার গভর্নর নেলসি ক্রুজও ছিলেন। মৃতের সংখ্যা ১৫ জন থেকে শুরু হয়েছিল এবং এরপর তা বাড়তে থাকে।
ক্লাবের ছাদের একসময় একটি বড় গর্ত দেখা গেছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একটি ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ডোমিনিকানদের রক্তদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘যতক্ষণ জীবনের আশা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকল কর্তৃপক্ষ এই লোকদের উদ্ধারের জন্য কাজ করবে।’ রাষ্ট্রপতি আবিনাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
সূত্র : এএফপি