<p>ছুরিকাঘাতে এক পোলিশ সেনার মৃত্যুর পর বেলারুশের সঙ্গে পোলিশ সীমান্তে আবারও একটি বাফার জোন বা নো-গো জোন চালু করবে পোল্যান্ড। এটি বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেসলা মরোকজেক।</p> <p>পোল্যান্ডের বেসরকারি টিভি চ্যানেল টিভিএন ২৪-কে মরোকজেক বলেন, ‘এই আদেশে বুধবার সই হবে। সরকারি আদেশটি বাস্তবায়নে আমরা যথেষ্ট সময় পাব। বৃহস্পতিবার থেকে এটি কার্যকর হবে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, এই বিশেষ জোনটি প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সীমান্তের দুটি অংশে সর্বাধিকসংখ্যক অনিয়মিত পারাপার ঠেকাতে সচেষ্ট থাকবে।</p> <p>এই বিশেষ বাফার জোনের প্রায় ২০০ মিটার অঞ্চল পোল্যান্ডের হয়ে যাবে। এ ছাড়া সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার সীমান্তবর্তী বিয়ালোয়াইজা জঙ্গলে পড়বে।</p> <p>পোলিশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, সীমান্তে ভিড় করা মানুষের সংখ্যা সম্প্রতি বেড়েছে। গত সপ্তাহে সীমান্তে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। সীমান্তে টহলরত একজন সেনা ২৮ মে অভিবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।</p> <p>এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপপন্থী প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্কের মধপন্থী সরকার সীমান্ত বরাবর পুনরায় বাফার জোন চালুর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।</p> <p>গত সপ্তাহে পোল্যান্ডের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী পাওয়েল জালেভস্কি রয়টার্সকে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত এই সীমান্ত নিরাপদ নয়। এই বিশেষ নো গো জোন তৈরির উদ্দেশ্য হলো পোলিশ সেনারা আবারো এমন আক্রমণের সম্মুখীন হলে যেন বিপদে না পড়েন সেটি নিশ্চিত করা।</p> <p>পোলিশ বর্ডার গার্ডের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, এ বছরে অনিয়মিতভাবে ১৭ হাজার বার সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা নথিভুক্ত করেছে তারা।</p> <p>২০২১ সাল থেকে বেলারুশ অনিয়মিত অভিবাসীদের ইউরোপীয় সীমান্তে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে পোল্যান্ড। তাদের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অস্থিতিশীল করতেই এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেংকো। </p> <p>বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ঠেলে দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী পোল্যান্ডের সীমান্তকে ব্যবহার করছে বেলারুশ। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ওয়ারশ ও মিনস্কের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আগের চেয়ে আরো বেড়েছে। যদিও শুরু থেকেই এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে রাশিয়া ও বেলারুশ।</p> <p>সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস</p>