<p>এই বছরের এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় সুপার টাইফুন ইয়াগি ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ঝড়টি হাই ফং ও কোয়াং নিন প্রদেশে আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২০৩ কিলোমিটার পর্যন্ত। ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র এসব তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হাই ফং প্রদেশে শহরজুড়ে ধাতব ছাদের শিট ও বাণিজ্যিক সাইন বোর্ড উড়তে দেখা গেছে।</p> <p>এর আগে শুক্রবার ইয়াগি চীনের হাইনান দ্বীপে আঘাত হানে, যা চীনের হাওয়াই নামে পরিচিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। ঝড়ের কবলে পড়ে চীনে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে প্রায় ১০০ জন। শুক্রবার ইয়াগি আসার আগে চীন হাইনান দ্বীপ থেকে প্রায় চার লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছিল। ট্রেন, নৌকা ও ফ্লাইট এবং স্কুলগুলোও বন্ধ ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চীনে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাত, গন্তব্য ভিয়েতনাম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/06/1725624681-ef6de2d87caafb6f06f3c6d0e5937440.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চীনে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাত, গন্তব্য ভিয়েতনাম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/06/1422757" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উত্তর ভিয়েতনামের উপকূলে অবস্থিত হাই ফং শহরের জনসংখ্যা ২০ লাখ। শহরটি ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের কিছু অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, যেখানে বহুজাতিক কারখানাগুলো অবস্থিত। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের চারটি বিমানবন্দর দিনের বেশির ভাগ সময়ের জন্য তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। রাজধানী হ্যানয়সহ উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে স্কুল বন্ধ রয়েছে। </p> <p>ইয়াগি এ বছরের এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় শক্তিশালী টাইফুন এবং এটি এই সপ্তাহের শুরুতে উত্তর ফিলিপাইনে আঘাত হানার পর থেকে দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়েছে। ইয়াগির প্রভাবে উত্তর ফিলিপাইনে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।</p> <p>বিজ্ঞানীরা বলছেন, টাইফুন ও হারিকেন জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আরো শক্তিশালী ও নিয়মিত হচ্ছে। উষ্ণ মহাসাগরের পানি ঝড়গুলোকে বেশি শক্তি সংগ্রহ করতে সাহায্য করে, যা দ্রুতগতির বাতাসের কারণ হয়। একটি উষ্ণ বায়ুমণ্ডলও বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে, যা আরো তীব্র বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>