<p style="text-align:justify">সংকট মোকাবেলায় দ্রুত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল হক বলেছেন, সংস্কারের নামে ইচ্ছা করে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) মেয়াদ বাড়াবেন না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন।</p> <p style="text-align:justify">মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মুশতাক, বিপ্লবী যুব সমাজের আহ্বায়ক বাবর চৌধুরী প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও জনগণের নজিরবিহীন বিপুল সমর্থনকে উপযুক্তভাবে কাজে লাগাতে পারছে না। নিজেদের আসল কাজে প্রয়োজনীয় মনোযোগ না দিয়ে তাদের নানা দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে তারা খেই হারিয়ে ফেলছেন এবং নন-ইস্যুকে তারা বড় ইস্যু করে তুলছেন। এমতাবস্থায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করে ক্ষমতার টিকে থাকার চেষ্টা করলে ঝুঁকিতে পড়বে। এমনকি পথও হারাতে পারে।</p> <p style="text-align:justify">গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘দেশ চালানোর ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। আমলা নির্ভরশীল হয়ে দেশ পরিচালনা করছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘সচিবালয় এখনো অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে পেশাদারিভাবে সক্রিয় করা যায়নি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈরাজ্য অব্যাহত রয়েছে। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বৈষম্যের নতুন উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">দেশের বাজার পরিস্থিতি এখনো বেসামাল উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, সরকার কোনভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এরপর শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও কর আরোপের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিসিবির ট্রাক সেলে খাদ্যপণ্য বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব তৎপরতা বাজারের আগুনে পুড়তে থাকা মানুষের কাছে ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ যখন দিশাহারা, তখন এসব পদক্ষেপ কষ্টে থাকা মানুষের দুর্ভোগ আরো চরমে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে শিল্পে সরবরাহ করা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে, বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন। সরকারের এসব পদক্ষেপ বৈষম্যবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।</p> <p style="text-align:justify">আইএমএফের পরামর্শে নিত্যপণ্যের ওপর ভ্যাট ও কর বাড়ানোর আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।</p>