<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চন্দ্রসৌন্দর্যের উপলব্ধি থেকে নতুন বছরের প্রথম পূর্ণিমা উদযাপন করেছে পূর্ণিমাবিলাসী দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ। নানা আয়োজনে চন্দ্রোৎসবে মেতেছিল তারা। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে গতকাল</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মঙ্গলবার</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সন্ধ্যা</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৬টায়</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুরু হয় অনুষ্ঠান। শেষ হয় আজ বুধবার সকাল ৮টায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিন্দুবাড়ী এলাকায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেনুভিটা মানমন্দির</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চত্বরে এ আয়োজন করা হয়। আগতরা সেখানে টেলিস্কোপে পূর্ণ চাঁদসহ নানা গ্রহ ও উপগ্রহ দেখার সুযোগ পায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চন্দ্রোৎসব উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী কাবেরী জান্নাত কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, স্রেফ চন্দ্র দেখাই নয়, এই আয়োজন আগতদের প্রকৃতির সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্মিলন ঘটিয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়োজকরা জানান, গতকাল বিকেল ৫টা থেকে আয়োজন শুরু হয়। শুরুতে চলে যন্ত্রসংগীত। সন্ধ্যা ৬টায় চন্দ্র উদয়লগ্নে চাঁদের গানের মধ্য দিয়ে আলোকবাতি প্রজ্বালন করা হয়। পরে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেনুভিটা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মানমন্দির</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা বেনু। এরপর চলে পুঁথিপাঠ। চন্দ্রবিষয়ক তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয় সেখানে। এ সময় জলতরঙ্গ বাজিয়ে শোনান শিল্পী ইশরাত জাহান মৌ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠান ছিল রাতভর। কেউ কেউ মধ্যরাতে মশাল জ্বালিয়ে জ্যোত্স্নাময় বন ঘুরে বেড়ান। বাঁশি, দোতারাসহ অন্য লোকজ বাদ্যযন্ত্রের সুরে উপলব্ধি করেছেন চন্দ্রসৌন্দর্য। কেউ কেউ মানমন্দির চত্বরে ফেলা তাঁবুতে শুয়ে উপভোগ করে জ্যোত্স্না রাত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানমন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা বেনু কালের কণ্ঠকে বলেন, এটি তাঁর নির্মাণ করা দেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ মানমন্দির। মানমন্দিরটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের থিমে আঙিনা ও পুরো ভবনের নকশা করা। ভবনের সামনে আছে অ্যাস্ট্রো উঠান। মোট ১০টি টেলিস্কোপ আছে। এর মধ্যে ছোটটির দৈর্ঘ্য চার ইঞ্চি, বড়টি ১৪ ইঞ্চির। এগুলোর মধ্যে সোলার টেলিস্কোপ আছে দুটি। যেগুলো দিয়ে সূর্য দেখা যায় দিনের বেলায়। পুরো মানমন্দির ৮০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।</span></span></span></span></p>