<p>চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে সিগারেটও রয়েছে। শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রভাবে দাম বেড়েছে সিগারেটের। সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন শুল্ক-কর পরিশোধ করে সিগারেটের চালান বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক-দুটোই বাড়ানো হয়। ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিগারেটের মূল্যস্তর অনুযায়ী স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে। সে অনুযায়ী সিগারেট প্রস্তুতকারী কম্পানিগুলো শুল্ক-কর পরিশোধ করছে। এতে খুচরা বাজারে বেড়েছে সিগারেটের দাম।</p> <p>বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম আগে ছিল ১৮ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। জন প্লেয়ার গোল্ডলিফ ব্র্যান্ডের প্রতিটি শলাকার দাম ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ২ টাকা বেড়ে প্রতি শলাকা লাকি সিগারেটের দাম ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া স্টার ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা। ডার্বি, পাইলট, হলিউড বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকায়। এ ছাড়া রয়্যালসের প্রতি শলাকার দাম ৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা।</p> <p>জানা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম নির্ধারণের পর ২০ শলাকার বেনসন অ্যান্ড হেজেসের প্যাকেটের দাম হয়েছে ৩৭০ টাকা, গোল্ডলিফ ২৮০ টাকা, লাকি স্ট্রাইক ২১০ টাকা, স্টার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাইলট, ডার্বি স্টাইল, হলিউড ১৪৪ টাকা এবং রয়্যালসের ২০ শলাকার প্যাকেটের নতুন মূল্য ১২৬ টাকা।</p> <p>রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর এক চা দোকানি বলেন, ‘সিগারেটের দাম বাড়িয়েছে কম্পানিগুলো। ফলে বেশি দামে সিগারেট কেনা লাগছে। তবে বেচাকেনা আগের মতোই আছে।’</p>