বাঙালি মানেই ভাত ছাড়া চলবে না। সারা দিন একবার মুখে এই খাবার না তুললে মনে হয় কিছুই খায়নি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, ভাতের খোঁজ করবেই।
তবে সমস্যা হচ্ছে এই প্রিয় খাবারটি খাওয়ার পর অনেকেরই চোখে অনেক ঘুম জমে।
বাঙালি মানেই ভাত ছাড়া চলবে না। সারা দিন একবার মুখে এই খাবার না তুললে মনে হয় কিছুই খায়নি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, ভাতের খোঁজ করবেই।
তবে সমস্যা হচ্ছে এই প্রিয় খাবারটি খাওয়ার পর অনেকেরই চোখে অনেক ঘুম জমে।
সেরার সেরা ভাত
সারা দিন কাজ করে চলার জন্য আমাদের শরীরের শক্তির প্রয়োজন।
শুধু তা-ই নয়, এতে রয়েছে থিয়ামিন, নিয়াসিন, জিংক ও ফসফরাস।
ভাত খেলে ঘুম পায় কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতেম, ভাত হলো একটি হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার। তাই এই খাবার শরীরে পৌঁছে খুব দ্রুত গ্লুকোজে পরিণত হয়। তারপর এই গ্লুকোজ পৌঁছে যায় ব্রেইনে। সেখানে স্যাটাইটির অনুভূতি তৈরি হয়। সেই কারণেই জুড়িয়ে আসে চোখ। একটু বিছানায় গা এলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। এ ছাড়া ভাত খেলে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন বের হয়, যা শরীরকে শান্ত করে দেয়। সেই কারণেও চোখে ঘুম আসে।
সমস্যা সমাধান করবেন যেভাবে
অফিসে গিয়ে পেট ভরে ভাত খেলে চোখে ঘুম আসতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে ভাত খাওয়ার পরিমাণ কিছুটা হলেও কমান। এর পাশাপাশি ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিমের মধ্যে একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখুন। নিরামিশাষীরা খেতে পারেন সয়াবিন বা টোফু। এর পাশাপাশি এক বাটি সবজি অবশ্যই খেতে হবে। তাহলেই দেখবেন চোখে ঘুম আসবে না। উল্টো শরীরে এনার্জির ঘাটতিও মিটে যাবে।
রুটির ওপর রাখুন ভরসা
কম পরিমাণে ভাত খাওয়ার পরও যদি দুপুরে ঘুম চলে আসে, সে ক্ষেত্রে দুপুরের দিকে তা এড়িয়ে চলাই ভালো। তার বদলে অফিসে নিয়ে যেতে পারেন আটার রুটি। সেই সঙ্গে একটা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও শাক-সবজি অবশ্যই খাবেন। আর লাঞ্চ করার এক ঘণ্টা বাদে খেয়ে নিন একটা গোটা ফল। তাহলেই দেখবেন চোখ থেকে ঘুম চলে যাবে। তবে কারো যদি রুটিতে অ্যালার্জি থাকে, সে ক্ষেত্রে খেতে পারেন ওটস। অন্যথায় শরীরের হাল বিগড়ে যেতে পারে।
সবাই ভাত খেতে পারেন
অনেকেই মনে করেন, ডায়াবেটিস থাকলে বুঝি ভাত খেতে নেই। এমনকি হার্টের অসুখে ভুক্তভোগীরাও অনেক সময় ভাত এড়িয়ে চলেন। তবে এসব করার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো নিয়মিত এই খাবার খেতেই পারেন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
সম্পর্কিত খবর
ওজন বাড়ার পেছনে দায়ী হচ্ছে আমাদের লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস। এই কারণে বেশির ভাগ মানুষ ওজন কমাতে বাইরের খাবার বন্ধ করে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন। কিন্তু অনেক সময় ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার পরেও ওজন কমে না, বরং বেড়ে যায়। এর জন্য অনেক কারণই দায়ী হতে পারে।
অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া
ঘরে তৈরি খাবার স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণে মানুষ প্রায়ই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে।
খাবারের মাঝে কিছু না কিছু খেতে থাকা
যদি আপনি ঘরে তৈরি খাবার খান এবং মাঝে কিছু না কিছু খেতে থাকেন, তাহলে আপনার ওজন কমার বদলে বাড়তে পারে।
ক্যালরি ডেফিসিট
ওজন কমানোর জন্য সঠিক পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করা জরুরি। প্রত্যেকের শরীরের জন্য আলাদা আলাদা ক্যালরির প্রয়োজন হয়। ভিডিও দেখে বা কোনো ইনফ্লুয়েন্সারের পরামর্শে নিজের ডায়েট চার্ট তৈরি করবেন না।
বিঞ্জ ইটিং
বিঞ্জ ইটিং-এ আপনি বাদাম বা ডার্ক চকোলেট খান। এই জিনিসগুলো সপ্তাহে একবার খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু নিয়মিতভাবে বিঞ্জ ইটিং করলে ওজন বাড়তে পারে। অনেক সময় শরীরের এই জিনিসগুলোর প্রয়োজন হয়, কিন্তু বারবার বিঞ্জ ইটিং করার কারণে আপনি ওজন কমানোর পথে থাকতে পারেন না। যার ফলে আপনার ওজন কমানোর যাত্রা প্রভাবিত হতে পারে।
তেলের বেশি ব্যবহার
যদি আপনি ঘরে খাবার বানানোর সময় বেশি তেল অর্থাৎ তেল ও ঘি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ওজন কখনো কমবে না। নিয়মিতভাবে বেশি তেলে ভাজা পরোটা ও সবজি খেলে ওজন বাড়তে পারে। ঘরের খাবার প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার ও শুদ্ধ হয়, কিন্তু তাতে বেশি তেল দিলে ক্যালরির পরিমাণ বাড়তে পারে।
পুষ্টির অভাব
আপনি ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি খাবার খাচ্ছেন, কিন্তু শরীর কি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে? অনেক সময় ওজন কমানোর চক্করে আমরা কম খাবার খাই, যার ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব হয়। এতে শুধু ওজনই বাড়ে না, শরীরে পুষ্টিকর উপাদানেরও অভাব হয়। তাই কম ক্যালরিযুক্ত সঠিক খাবার গ্রহণ করুন।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ওজন কমাতে হবে। আর ওজন কমাতে হলে মেনে চলতে হবে ডায়েট চার্ট। তাই একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে। সেভাবে চললে ওজন কমবে ঠিকভাবে।
দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। আবার যারা এসিতে থাকতে অভ্যস্ত তাদের এই গরমে বেশিক্ষণ এসি ছাড়া থাকাটাও মুশকিল। এদিকে ধূমপানে আসক্তদের জন্যও বিরক্তিকর এই সময়। ঠাণ্ডা ঘর ছেড়ে বাইরে গিয়ে বারবার ধূমপান করাটা শক্ত কাজ।
এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ক্ষতি হচ্ছে আপনারই। কোন কোন ক্ষতি হতে পারে আপনার, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।
প্রথমত, আগুনের ফুলকি ছুটে গিয়ে যেকোনো সময়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যের জন্যও তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে ধূমপান করলে শরীর ঠাণ্ডা করার নিজস্ব যে ‘কুলিং প্রসেস’ আছে তা নষ্ট হয়।
যারা পরোক্ষভাবে সিগারেটের ধোঁয়া খাচ্ছেন তাদের জন্যও এই অভ্যাস মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত ধূমপান করলে এমনিতেই ফুসফুস, গলা ও মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এসি চলাকালে বদ্ধ ঘরের মধ্যে সিগারেট খেলে সেই ধোঁয়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যেই আবর্তিত হতে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সিগারেটের ধোঁয়া যেমন শরীরে প্রবেশ করে, তেমন ঘরের অশুদ্ধ বায়ুও ফুসফুসে যায়। ফলে শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতির পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
ডিম খাওয়া আমাদের শরীরে জন্য খুবই উপকারী। সকালের নাশতায় কিংবা শরীরে প্রোটিনের সহজ জোগান হলো ডিম। দিনে একাধিক ডিমও অনেকে খেয়ে থাকেন। বিভিন্নভাবে ডিম খাওয়া যায়, যেমন— ডিমের পোচ, ডিমের অমলেট, ডিম সেদ্ধ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ থাকলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়, যদি সেটি ভালো করে রান্না করা হয়।
অনেকের মতে, ডিম্বনালি দিয়ে ডিম যাওয়ার সময় অনেক সময়ই তাতে মাংসের টুকরো বা রক্ত মিশে যায়। এতে শরীরে ক্ষতি করার মতো কিছু থাকে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ডিমে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবের ফলেই সেটির রং বদলে যায়।
তবে সাদা খোলের চেয়ে খয়েরি রঙের খোলযুক্ত ডিমে রক্তের দাগযুক্ত কুসুম বেশি পাওয়া যায়। কারণ খয়েরি খোলের রং অনেক সময়ই সেই দাগকে ঢেকে দেয়। ফলে পরীক্ষার সময় সেটি ধরা পড়ে না। বাজারে চলে আসে। তবে অনেক সময় ডিমের সাদা অংশেও রক্তের দাগ দেখা যায়। এতেও শরীরে কোনো ক্ষতি হয় না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ডিমের মধ্যে ব্লাড স্পট বা অন্য কোনো অস্বাভাবিকতা নির্ণয়ের জন্য কোনো খাবার তৈরির সময় এর সঙ্গে ডিম যোগ করার আগে একটি আলাদা পাত্রে একটি একটি করে ডিম ভাঙ্গা উচিত।
এতে আপনার পুরো রেসিপিটি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকেনা এবং ডিমের খোসা মিশে যাওয়ারও ভয় থাকেনা। ইচ্ছে করলে পরিষ্কার একটি ছুরি দিয়ে ডিমের কুসুমের রক্তের চিহ্নটি সরিয়ে তারপর রান্না করতে পারেন। এটিসহ রান্না করলেও কোনো সমস্যা নেই।
সূত্র : নিউজ ১৮
থাইরয়েড এখন খুবই সাধারণ একটি সমস্যা, যা তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করছে। এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় না হলেও সঠিক ওষুধ, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে কিছু খাবার আছে, যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এসব খাবার হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ও থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষতি করে।
সয়াবিন ও সয়া পণ্য
সয়াবিনে থাকে ফাইটোস্ট্রোজেন ও জেনিস্টাইন। যা থাইরয়েড হরমোনের কাজে বিঘ্ন ঘটায় এবং শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে।
থাইরয়েড রোগীদের খুব কম পরিমাণে সয়াবিন খাওয়া যেতে পারে, তবে নিয়মিত নয়।
কিছু সবজি—যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু ও মুলা
এসব সবজিতে থাকে গয়ট্রোজেন নামক এক উপাদান। যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে।
এসব সবজি পরিমাণমতো ও মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।
গ্লুটেন জাতীয় খাবার
যাদের গ্লুটেন সংবেদনশীলতা আছে বা হ্যাশিমোটো থাইরয়েডিটিস আছে, তাদের জন্য গ্লুটেন খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি
বার্গার, পিৎজা, প্যাকেটজাত খাবার ইত্যাদি শরীরে ক্যালোরি বাড়ায় ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। এগুলোর বদলে খেতে পারেন তাজা ফল, সবজি ও শস্যদানা জাতীয় খাবার।
ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল
এই উপাদানগুলো থাইরয়েডের কাজকে ব্যাহত করে, রক্তচাপ ও হৃদ্স্পন্দন বাড়িয়ে দেয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। কফির পরিবর্তে ভেষজ চা বা ফলের রস খেতে পারেন।
কেউ যদি আগে থেকেই থাইরয়েড সমস্যায় ভুগে থাকেন বা অন্য রোগে আক্রান্ত থাকেন, তবে যেকোনো খাদ্য পরিবর্তনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা