<p>গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বোমা হামলায় আরো ৩৪ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো দেড় শতাধিক মানুষ। এদিকে লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাতভর শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে বৈরুত। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>লেবাননের বৈরুতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঠিক বাইরেও বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে। আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে খবরে বলা হয়, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলার রাতে হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এর লক্ষ্য স্পষ্ট নয়। ওই বিমানবন্দরটি দাহেহ এলাকার সীমানায়, সেখানে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি।</p> <p>গত ২৪ ঘণ্টায় ২০টির মতো হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এগারোটিই হয়েছে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে। লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা বাংকার-বাস্টিং বোমা দিয়ে হামলা চালাচ্ছে।  এগুলো খুব গভীর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এমনকি সুড়ঙ্গেও আঘাত হানতে সক্ষম। এ ধরনের বোমা একটি ভবনকে পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারে। বেশির ভাগ হামলার ঘটনা ঘটেছে দাহিয়েহ এলাকায়। </p> <p>ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ নেতা হাশেম সাফিউদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চালানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরবর্তী হিজবুল্লাহ প্রধান হতে যাচ্ছেন হাশেম সাফিউদ্দীন। তিনি বর্তমানে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হিসেবে কাজ করছেন।</p> <p>লেবাননের সেনাবাহিনী বলেছে, দেশটির দক্ষিণে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। আরো ২০টি শহর ও গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ হামলা নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে তাদের পক্ষে জানানো হয়েছে, সেনারা সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হত্যা করেছে। আর হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সীমান্তের উভয় পাশে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।</p> <p>এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলে দামে প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগের মধ্যে পড়েছেন। বাইডেন বলেন, এখনই এসব হচ্ছে না, তবে তিনি ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাতে সমর্থন দেবেন না। </p> <p>জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ডেনন সিএনএনকে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে তার দেশের অনেক বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে এবং তেল আবিব শিগগির সেই পদক্ষেপ দেখাবে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে ওয়াশিংটন কিছুই জানে না।</p> <p>সূত্র : বিবিসি </p>