<p>কিউবায় প্রবল বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যেই গতকাল সন্ধ্যায় হারিকেন অস্কার আছড়ে পড়ে। ঝড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শক্তিশালী এই হারিকেনের ফলে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গছে। অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। হারিকেন আছড়ে পড়ার পর চারিদিকে ধ্বংসের ছবি দেখা গেছে। একের পর এক বাড়ি ধ্বংস  করে চলে গেছে এই শক্তিশালী ঝড়।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের হারিকেন সেন্টার(এনএইচসি) জানিয়েছে, গতকাল দক্ষিণপূর্ব বাহামার গ্রেট ইনাগু দ্বীপে হারিকেন অস্কার আছড়ে পড়ে। কিউবার গুয়ান্তানামোতে হারিকেনের মধ্যভাগপৌঁছায় স্থানীয় সময় ছয়টা ১০ মিনিট নাগাদ। তখন ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার।</p> <p>আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে পাঁচ থেকে ১০ ইঞ্চি বৃষ্টি হবে। কোথাও কোথাও ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ঝড় ও বৃষ্টির ফলে বহু জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। এর ফলে গুয়ান্তানামো, হবগুইন, লাস তুনাস এলাকায় প্রবল বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। হারিকেন অস্কারের ফলে প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। গাছ উপড়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গা জলের তলায় চলে গেছে। ফলে গুয়ান্তানামো ও তার আশপাশের এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের শিকার কিউবা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729312788-ea2c33f007e33bf09ca81a920a60e7f7.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের শিকার কিউবা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/19/1436722" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কিউবার শক্তিমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, দেশের বিদ্যুৎ-সংকট সোমবার বা মঙ্গলবার সকালে কাটতে পারে। তখন বিদ্যুতের গ্রিড আবার আগের মতো কাজ শুরু করতে পারে। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, হারিকেন অস্কারের তাণ্ডবের ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। যে সব জায়গায় প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, সেখানেই অস্কার তাণ্ডব চালিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার থেকে কিউবায় ব্ল্যাকআউট চলছে। সরকার জরুরি নয় সেই সব জায়গায় বিদ্যুৎ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার পুরো গ্রিড ব্যবস্থা বসে যায়। ফলে এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন।</p> <p>শনিবার সকালে আবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়। প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ৬০ বছরের পুরনো বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি জোগাড় করতে গিয়ে তারা অসুবিধায় পড়েছেন। হাভানার কিছু এলাকায় গতকাল রবিবার বিদ্যুৎ এসেছে। কিন্তু রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা অন্ধকার ছিল।</p> <p>নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন ধরে সাবধান করে দিয়ে বলছেন, কিউবার পাওয়ার গ্রিড ভেঙে পড়ার মুখে রয়েছে। কারণ, তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অনেক পুরনো। আর সরকারও জ্বালানি কেনার অবস্থায় নেই। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই ক্ষেত্রে কিউবার অবস্থা সমানে খারাপ হয়েছে।</p>