<p>রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর থেকে পাঁচটি জাহাজ মিয়ানমারের থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছেছে। সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সামরিক জান্তার নৌবাহিনীর সঙ্গে সামুদ্রিক মহড়ায় যোগ দিতে রুশ নৌবাহিনীর জাহাজ যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে পৌঁছেছে।</p> <p>মিয়ানমারের গ্লোবাল নিউ লাইট জানিয়েছে, যৌথ সামরিক মহড়ায় যোগ দিতে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর থেকে চারটি করভেট এবং একটি লজিস্টিক জাহাজ রবিবার ইয়াঙ্গুনের থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছেছে। রাশিয়ান জাহাজগুলো ‘হারবার ফেজ’ অনুশীলন পরিচালনা করবে বলে সংবাদপত্রটি জানিয়েছে তবে বিস্তারিত কিছু বলেনি। </p> <p>গতকাল রবিবার মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ঘোষণা করে, তারা ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর আন্দামান সাগরে একটি লাইভ-ফায়ার সামুদ্রিক নিরাপত্তা অনুশীলন করবে। তারা মাছ ধরার নৌকা এবং বিমানগুলোকে এলাকার আশপাশে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে। তবে রাশিয়ান কোনো জাহাজ বা কর্মী সেই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে কি না, তা জানায়নি।</p> <p>উভয় নৌবাহিনী গত বছরের নভেম্বরেও আন্দামান সাগরে একটি সম্মিলিত মহড়া করেছিল। চীনের পাশাপাশি, মস্কো মিয়ানমার জান্তার ঘনিষ্ঠ মিত্র। মিয়ানমারের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিরোধিতাকে দমন করার জন্য অস্ত্র ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে রাশিয়া।</p> <p>বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থলে সেনারা চাপের মধ্যে থাকায় মিয়ানমার জান্তা ক্রমবর্ধমানভাবে তাদের বিমানবাহিনীর ওপর নির্ভর করছে। তাদের কাছে রয়েছে রাশিয়ান সুখোই এসইউ-৩০, মিগ-২৯ এবং ইয়াক বিমান। </p> <p>মিয়ানমার জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকসহ ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন। রাশিয়া বলেছে, তারা নতুন নির্বাচনের জন্য জেনারেলদের পরিকল্পনাকে সমর্থন করে অন্যদিকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করে। তারা এটিকে ‘ন্যায়সংগত’ বলে বর্ণনা করেছে।</p> <p>এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মিয়ানমার জান্তার অধীনে যেকোনো নির্বাচন হবে একটি ‘প্রতারণা’। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে সামরিক বিরোধীরা আক্রমণ চালাতে পারে, আরো রক্তপাত ঘটতে পারে। গত আগস্টে মিয়ানমার জান্তার অন্য প্রধান মিত্র চীন বলেছিল, তারা নির্বাচনের জন্য সামরিক পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে।</p> <p>এই মাসের শুরুর দিকে সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এএফপিকে জানায়, মিন অং হ্লাইং নভেম্বরে চীনে যাবেন। অভ্যুত্থানের পর তার প্রথম সফর হবে এটি।</p> <p>ছবি : এএফপি</p>