<p>সঙ্গীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করার অনেক উপায় আছে। চুম্বন বিনিময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপায়। কারণ চুম্বন দম্পতিদের সম্পর্ককে মজবুত করে এবং একে অপরের প্রতি মানসিক সংযুক্তিও বাড়ায়। বাস্তব জীবনের মতো পর্দায় চুমুর দৃশ্যও দর্শকদের আগ্রহের কারণ। হলিউডে এটি একেবারেই সাধারন একটি বিষয় হলেও বলিউডে একটু রাখঢাখ থাকেই। </p> <p>তবে চুম্বন নিয়ে বলিউডেও কম চর্চা হয়নি। এমনকী এও শোনা গিয়েছে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে নিজেদের সামলাতে পারেনি নায়ক-নায়িকারা। এই চুমুর দৃশ্য নিয়ে অনেক হইচইও হয়। ‘ধুম ২’ সিনেমায় হৃতিক রোশান ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের চুমু নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। আবার ‘রাজা হিন্দুস্তানি’-তে আমির খান ও কারিশমা কাপুরের সেই চুম্বন দৃশ্য আজও আলোচনায়। সেন্সরের ধরা বাধা নিয়মে অনেক চুমুর দৃশ্যই কেটে ছোট করা হয়। </p> <p>দর্শকেরা সিনেমায় আসলে চুমুর দৃশ্য দেখেন যা বেশিরভাগ সময়েই সৃজনশীলতার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে বলিউডে চুম্বন দৃশ্য কোনও ব্যাপারই নয়। কিন্তু বলিউডের দীর্ঘতম চুম্বন দৃশ্যের শ্যুটিং কিন্তু হয়েছিল আজ থেকে বহু বছর আগে। ১৯৩৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কর্মা’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল সেই তোলপাড় করা চুম্বন দৃশ্য। এখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন দেবিকা রানি এবং হিমাংশু রাই। এই চুম্বন দৃশ্যটি চার মিনিট ধরে শ্যুট করা হয়েছিল। সেই সময়েই অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর বিয়ে হয়। ফলে দুজনেই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। আর এটিই ছিল বলিউডের দীর্ঘতম চুম্বনদৃশ্য। আসলে, দেবিকাকে সিনেমাটিতে অচেতন হিমাংশুকে জাগানোর জন্য চুম্বন করতে দেখা যায়।</p> <p>প্রথমে এই সিনেমাটি ইংরেজি ভাষায় লন্ডনে প্রিমিয়ার হয়। সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়ায়। পরবর্তী সময়ে হিন্দি ভাষায় ‘নাগন কি রাগিনি’ নামে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতে খুব বেশি সাফল্য পায়নি সিনেমাটি। এতে অভিনয় করা দেবিকা রানি এবং হিমাংশু রাই বাস্তব জীবনেও স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। তাদের চার মিনিটের চুম্বন দৃশ্য সেই সময় রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিল। এখনো এটিকে বলিউডের সবচেয়ে দীর্ঘ চুমুর দৃশ্য বলে বিবেচনা করা হয়।</p>