জাপানে প্রথম কূটনৈতিক সফরে তালেবান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জাপানে প্রথম কূটনৈতিক সফরে তালেবান
ছবিসূত্র: এএফপি

আফগানিস্তানের শাসনকারী একটি গোষ্ঠী জাপানে পৌঁছেছে। পূর্ব এশীয় দেশটির গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়েছে। জাপানে তাদের এটিই প্রথম সফর।

জাপানের আসাহি শিম্বুন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এই প্রতিনিধিদল রবিবার এক সপ্তাহব্যাপী সফরের জন্য জাপানে পৌঁছেছে।

তালেবানদের জন্য এই সফর বিরল। ২০২১ সালে ক্ষমতা ফিরে পায় তালেবানরা।

তালেবান প্রতিনিধিরা মানবিক সহায়তা চাইবেন এবং জাপানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবানের অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লতিফ নাজারি এই সফরকে ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য’ হওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

প্রতিনিধিদলের অংশ নাজারি শনিবার এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ, উন্নত, সমৃদ্ধ ও উন্নত আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হওয়ার জন্য বিশ্বের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া চাই।’

আফগান কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানের সরকারি সম্প্রচারক এনএইচকে জানিয়েছে, তালেবান প্রতিনিধিরা ‘জাপানি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়’ করার পরিকল্পনা করছেন।

অঞ্চলের বাইরে বিরল ভ্রমণ

যদিও তালেবান সরকার মধ্য এশিয়া, রাশিয়া এবং চীনসহ প্রতিবেশি এবং আঞ্চলিক দেশগুলোতে নিয়মিত সফর করে, তবে তারা খুব কমই এই অঞ্চলের বাইরে ভ্রমণ করে। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে নরওয়েতে কূটনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপ সফর করেছে।

আরো পড়ুন
‘শান্তি স্থাপনে প্রয়োজনে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য’

‘শান্তি স্থাপনে প্রয়োজনে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য’

 

২০২১ সালে পূর্ববর্তী বিদেশি-সমর্থিত সরকারের পতন এবং তালেবান কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পর কাবুলে জাপানের দূতাবাস সাময়িকভাবে কাতারে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু তারপর থেকে জাপান দেশটিতে কূটনৈতিক ও মানবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে।

কাবুলে নগর উন্নয়ন ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের বাইরে আইএসআইএল (আইএসআইএস)-এর একটি মারাত্মক আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করার কয়েকদিন পরেই তালেবানের এই জাপান সফর, যা আইএসআইএল গোষ্ঠীটির ধারাবাহিক হামলার সর্বশেষ ঘটনা।

জাপানের দূতাবাস রবিবার এক্স-এ পোস্ট করে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছেন, ‘এই সন্ত্রাসী হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’

সূত্র: আলজাজিরা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইস্তাম্বুলের মেয়রকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা তুরস্কের বিরোধীদের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইস্তাম্বুলের মেয়রকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা তুরস্কের বিরোধীদের
ছবি : এএফপি

গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও তুরস্কের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি। ২০২৮ সালে ওই নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

গ্রেপ্তার দেখানোর কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে ইমামোলুকে। তবে রবিবার তাকে দুর্নীতির মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এদিকে, সোমবার বিকাল থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ষষ্ঠ দিনের মতো ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রে জড়ো হয়েছেন। রবিবার এখানেই বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। রাজধানী আঙ্কারাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য ঠিকভাবে উপস্থাপন না করায় গণমাধ্যমকে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে বিরোধীরা।

বিক্ষোভকারীদের ‘শয়তান’ বলে বর্ণনা করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তারা ‘সহিংসতার আন্দোলন’ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

গত কয়েকদিনের আন্দোলনে তুরস্কের এগারোশোর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মন্তব্য

ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, যেকোনো দেশ ভেনিজুয়েলার কাছ থেকে তেল বা গ্যাস কিনলে, তাদের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি ভেনিজুয়েলীয়দের বিরুদ্ধে নির্বাসন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর শুল্ক আরোপ করছেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী—উভয়ের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং আর্থিকব্যবস্থা ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ট্রাম্প এদিন তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের লালিত স্বাধীনতার প্রতি ভেনিজুয়েলা অত্যন্ত শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করেছে।

তাই কোনো দেশ যদি ভেনিজুয়েলা থেকে তেল ও/অথবা গ্যাস ক্রয় করে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের করা যেকোনো বাণিজ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে বাধ্য হবে।’

এর আগে গত মাসে ট্রাম্প দাবি করেন, কারাকাস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যেখানে দ্রুত ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের গ্রহণ করার কথা ছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনিজুয়েলায় নির্বাসিতদের পাঠানোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং ভেনিজুয়েলাও জানায়, তারা আর এসব ফ্লাইট গ্রহণ করবে না।

তবে কারাকাস শনিবার ঘোষণা দেয়, তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২০০ ভেনিজুয়েলীয় নাগরিককে নির্বাসিত করেছে, যারা হন্ডুরাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে গেছেন।

এই চুক্তি হয় তখন, যখন ১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র দুই শতাধিক ভেনিজুয়েলীয়কে এল সালভাদরের একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগার ও শ্রম শিবিরে পাঠায়। ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছিল, তারা সবাই কুখ্যাত অপরাধী গোষ্ঠী ট্রেন ডি আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্য। ট্রাম্প তখন কথিত গ্যাং সদস্যদের বিতাড়িত করতে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপ করছে ‘বিভিন্ন কারণের জন্য, যার মধ্যে একটি হলো ভেনিজুয়েলা কৌশলে ও প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার উচ্চ পর্যায়ের অপরাধী ও অন্যান্য অপরাধীদের গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।

তিনি আরো জানান, সব নথিপত্র স্বাক্ষরিত ও নিবন্ধিত হবে এবং এই শুল্ক আগামী ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্তি দিবসে’ কার্যকর হবে। ট্রাম্প এই দিনটিকে বিশেষ উপাধি দিয়ে উল্লেখ করেন। কারণ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ওয়াশিংটনের মতে, অন্যায্য বাণিজ্য চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। এরই মধ্যে তিনি চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক ফেন্টানিল প্রবাহ বন্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এবং বাণিজ্য ভারসাম্যের অসঙ্গতির যুক্তি দেখিয়ে।

এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি কম্পানি শেভরনকে ভেনিজুয়েলায় তাদের কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়, যা দেশটির অর্থনৈতিকভাবে চাপে থাকা কর্তৃপক্ষের জন্য বড় আঘাত।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক : স্টেটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক : স্টেটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি : এএফপি

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি এ আর মাসুদি ও অজয়কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে আট সপ্তাহ সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

তবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে ওই দিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।

প্রতিবেদন অনুসারে, রাহুলের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে প্রথম অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ২০১৯ সাল থেকে রাহুলের এই নাগরিকত্ব বিতর্ক চলে আসছে।

ওই সময়ে সুব্রহ্মণ্যম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান রাহুলের বিরুদ্ধে। তার দাবি, ব্রিটেনের প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া কিছু নথিপত্রে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। পরে এই নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিঘ্নেশ শিশির নামের এক বিজেপিকর্মী।

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট লাইভ ল অনুসারে, হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাহুলের নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে।

এই বিষয়ে অবস্থান জানানোর জন্য আদালতের কাছে আরো দুই মাস সময় চান ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল সূর্যভান পাণ্ডে। তবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।

আনন্দবাজার বলছে, এর আগে নাগরিকত্ব বিতর্কে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার আবেদন জানিয়েও জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যমও দিল্লির একটি আদালতের কাছে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের আরজি জানিয়েছিলেন।

তার দাবি ছিল, ব্রিটেনের এক সরকারি কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুলই নিজেকে ‘ব্রিটিশ নাগরিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন একটি নথিতে। ভারতের আইন দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি দেয় না। সে কথা উল্লেখ করে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম।

মন্তব্য

মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১
২২ মার্চ মায়ানমারের মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে জান্তার বিমান হামলার পর ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মেডিক্যাল ক্লিনিকে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রীও রয়েছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এই বিমান হামলাটি হয় মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে, যা বর্তমানে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমার এক বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে, যেখানে জান্তা, অভ্যুত্থানবিরোধী গেরিলা বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে রবিবার এক গ্রামবাসী এএফপিকে বলেন, ‘এটি (বিমান) খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল এবং আমরা যখন লুকিয়ে ছিলাম, তখন আমি একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। যখন আমি এলাকা পরিষ্কার করতে গেলাম, তখন শুধু মানবদেহের ছিন্নভিন্ন অংশ দেখতে পেলাম।

এটা দেখে ভয়ানক অনুভূতি হচ্ছিল, আর এখনো আমার মন থেকে সেই দৃশ্য মুছতে পারছি না।’

এই প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। হামলায় একটি বাড়ির ভেতরে খোলা অস্থায়ী ক্লিনিকটি বিধ্বস্ত হয়।

পরিচয় না প্রকাশের শর্তে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সোমবার বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে সব বেসামরিক লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। তারা সব সময় সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানের শব্দ শুনছে এবং যেকোনো সময় লুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকছে।’

যদিও মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ভূখণ্ড হারিয়েছে, তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় চালিত শক্তিশালী বিমানবাহিনীই এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বাহিনীকে প্রতিহত করার মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। সশস্ত্র সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা (এসিএলইডি) জানিয়েছে, মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রতিবছর বেসামরিক জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় ৮০০টি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি।

 

এ ছাড়া এসিএলইডি পূর্বাভাস দিয়েছে, জান্তা ভবিষ্যতেও বিমান হামলার ওপর আরো বেশি নির্ভর করবে, কারণ তারা ভূমিতে ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপে রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ