আসাম সীমান্তে কড়াকড়ি, সান্ধ্যকালীন কারফিউ জারি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আসাম সীমান্তে কড়াকড়ি, সান্ধ্যকালীন কারফিউ জারি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলায় সান্ধ্যকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ ও গবাদি পশু পাচার রোধে জেলা কর্তৃপক্ষ এই কড়াকড়ি আরোপ করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম পিটিআই। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে 'জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে' এবং 'অবৈধ কার্যকলাপ রোধে' কাছাড় জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল যাদব ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-এর ১৬৩ ধারার অধীনে এই আদেশ জারি করেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নির্দেশিকা অনুযায়ী সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের মাঝে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনও ধরনের গতিবিধি করা যাবে না।

 এ ছাড়া কাছাড় জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটার বেল্টের মধ্যে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের মধ্যে চিনি, চাল, গম, ভোজ্য তেল এবং লবণের মতো জিনিসপত্র বহনকারী যানবাহন, গাড়ি বা রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, যেকোনো দেশ ভেনিজুয়েলার কাছ থেকে তেল বা গ্যাস কিনলে, তাদের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি ভেনিজুয়েলীয়দের বিরুদ্ধে নির্বাসন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর শুল্ক আরোপ করছেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী—উভয়ের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং আর্থিকব্যবস্থা ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ট্রাম্প এদিন তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের লালিত স্বাধীনতার প্রতি ভেনিজুয়েলা অত্যন্ত শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করেছে।

তাই কোনো দেশ যদি ভেনিজুয়েলা থেকে তেল ও/অথবা গ্যাস ক্রয় করে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের করা যেকোনো বাণিজ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে বাধ্য হবে।’

এর আগে গত মাসে ট্রাম্প দাবি করেন, কারাকাস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যেখানে দ্রুত ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের গ্রহণ করার কথা ছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনিজুয়েলায় নির্বাসিতদের পাঠানোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং ভেনিজুয়েলাও জানায়, তারা আর এসব ফ্লাইট গ্রহণ করবে না।

তবে কারাকাস শনিবার ঘোষণা দেয়, তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২০০ ভেনিজুয়েলীয় নাগরিককে নির্বাসিত করেছে, যারা হন্ডুরাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে গেছেন।

এই চুক্তি হয় তখন, যখন ১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র দুই শতাধিক ভেনিজুয়েলীয়কে এল সালভাদরের একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগার ও শ্রম শিবিরে পাঠায়। ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছিল, তারা সবাই কুখ্যাত অপরাধী গোষ্ঠী ট্রেন ডি আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্য। ট্রাম্প তখন কথিত গ্যাং সদস্যদের বিতাড়িত করতে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপ করছে ‘বিভিন্ন কারণের জন্য, যার মধ্যে একটি হলো ভেনিজুয়েলা কৌশলে ও প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার উচ্চ পর্যায়ের অপরাধী ও অন্যান্য অপরাধীদের গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।

তিনি আরো জানান, সব নথিপত্র স্বাক্ষরিত ও নিবন্ধিত হবে এবং এই শুল্ক আগামী ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্তি দিবসে’ কার্যকর হবে। ট্রাম্প এই দিনটিকে বিশেষ উপাধি দিয়ে উল্লেখ করেন। কারণ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ওয়াশিংটনের মতে, অন্যায্য বাণিজ্য চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। এরই মধ্যে তিনি চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক ফেন্টানিল প্রবাহ বন্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এবং বাণিজ্য ভারসাম্যের অসঙ্গতির যুক্তি দেখিয়ে।

এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি কম্পানি শেভরনকে ভেনিজুয়েলায় তাদের কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়, যা দেশটির অর্থনৈতিকভাবে চাপে থাকা কর্তৃপক্ষের জন্য বড় আঘাত।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক : স্টেটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক : স্টেটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি : এএফপি

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি এ আর মাসুদি ও অজয়কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে আট সপ্তাহ সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

তবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে ওই দিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।

প্রতিবেদন অনুসারে, রাহুলের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে প্রথম অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ২০১৯ সাল থেকে রাহুলের এই নাগরিকত্ব বিতর্ক চলে আসছে।

ওই সময়ে সুব্রহ্মণ্যম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান রাহুলের বিরুদ্ধে। তার দাবি, ব্রিটেনের প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া কিছু নথিপত্রে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। পরে এই নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিঘ্নেশ শিশির নামের এক বিজেপিকর্মী।

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট লাইভ ল অনুসারে, হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাহুলের নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে।

এই বিষয়ে অবস্থান জানানোর জন্য আদালতের কাছে আরো দুই মাস সময় চান ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল সূর্যভান পাণ্ডে। তবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।

আনন্দবাজার বলছে, এর আগে নাগরিকত্ব বিতর্কে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার আবেদন জানিয়েও জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যমও দিল্লির একটি আদালতের কাছে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের আরজি জানিয়েছিলেন।

তার দাবি ছিল, ব্রিটেনের এক সরকারি কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুলই নিজেকে ‘ব্রিটিশ নাগরিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন একটি নথিতে। ভারতের আইন দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি দেয় না। সে কথা উল্লেখ করে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম।

মন্তব্য

মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১
২২ মার্চ মায়ানমারের মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে জান্তার বিমান হামলার পর ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মেডিক্যাল ক্লিনিকে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রীও রয়েছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এই বিমান হামলাটি হয় মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে, যা বর্তমানে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমার এক বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে, যেখানে জান্তা, অভ্যুত্থানবিরোধী গেরিলা বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে রবিবার এক গ্রামবাসী এএফপিকে বলেন, ‘এটি (বিমান) খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল এবং আমরা যখন লুকিয়ে ছিলাম, তখন আমি একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। যখন আমি এলাকা পরিষ্কার করতে গেলাম, তখন শুধু মানবদেহের ছিন্নভিন্ন অংশ দেখতে পেলাম।

এটা দেখে ভয়ানক অনুভূতি হচ্ছিল, আর এখনো আমার মন থেকে সেই দৃশ্য মুছতে পারছি না।’

এই প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। হামলায় একটি বাড়ির ভেতরে খোলা অস্থায়ী ক্লিনিকটি বিধ্বস্ত হয়।

পরিচয় না প্রকাশের শর্তে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সোমবার বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে সব বেসামরিক লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। তারা সব সময় সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানের শব্দ শুনছে এবং যেকোনো সময় লুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকছে।’

যদিও মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ভূখণ্ড হারিয়েছে, তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় চালিত শক্তিশালী বিমানবাহিনীই এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বাহিনীকে প্রতিহত করার মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। সশস্ত্র সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা (এসিএলইডি) জানিয়েছে, মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রতিবছর বেসামরিক জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় ৮০০টি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি।

 

এ ছাড়া এসিএলইডি পূর্বাভাস দিয়েছে, জান্তা ভবিষ্যতেও বিমান হামলার ওপর আরো বেশি নির্ভর করবে, কারণ তারা ভূমিতে ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপে রয়েছে।

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইরান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত ইরান
ফাইল ছবি : এএফপি

ইরান সোমবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন পারমাণবিক চুক্তির জন্য আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘পরোক্ষ আলোচনার পথ খোলা আছে।’ তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতি অপর পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত’ তেহরান কোনো সরাসরি আলোচনায় যাবে না।

 

এই শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ও ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির মধ্যে ইরান কোনো সরাসরি আলোচনায় যাবে না।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির আওতায় ইরানকে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার শর্তে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।  

পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করে আসছে।

তবে তেহরান দাবি করে, তাদের সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম শুধু শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ৭ মার্চ ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তেহরান রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  

ইরানি সংবাদ সংস্থা ফার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ চিঠিটি তেহরানে হস্তান্তর করেন। পরে শুক্রবার খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ‘তাদের কোথাও নিয়ে যাবে না’।

পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেন, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো অকল্যাণকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন।

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের চিঠি তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন : ইরান

ট্রাম্পের চিঠি তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন : ইরান

 

আরাগচি বৃহস্পতিবার বলেন, ট্রাম্পের চিঠিটির ‘বেশির ভাগই হুমকি’, তবে এটি কিছু সুযোগও সৃষ্টি করতে পারে এবং তেহরান শিগগিরই এর জবাব দেবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভেন উইটকফ শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্পের লক্ষ্য হলো সামরিক সংঘাত এড়ানো এবং ইরানের সঙ্গে আস্থা গড়ে তোলা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চিঠিটি হুমকি হিসেবে দেওয়া হয়নি।  

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে পশ্চিমা সমর্থিত শাহের পতনের পর থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে।

তার পর থেকে তেহরানে সুইস দূতাবাস দুই দেশের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্র ওমান এর আগে ইরানের পারমাণবিক ইস্যুতে তথাকথিত ‘মাসকাট প্রক্রিয়া’র মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনার মধ্যস্থতা করেছিল, যা ‘এই মুহূর্তে স্থগিত রয়েছে’ বলে আরাগচি গত অক্টোবরে জানিয়েছিলেন।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ