ফ্লোরিডায় বিশেষ নির্বাচন, ডেমোক্র্যাটদের হারাল রিপাবলিকান দল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্লোরিডায় বিশেষ নির্বাচন, ডেমোক্র্যাটদের হারাল রিপাবলিকান দল
ছবিসূত্র : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মাইকেল ওয়াল্টজ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার শূন্য আসন পূরণে গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ কংগ্রেশনাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোশ ওয়েইলকে পরাজিত করেছেন রিপাবলিকান স্টেট সিনেটর র‍্যান্ডি ফাইন।

এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের আশাভঙ্গ হয়েছে। গত নভেম্বরে রিপাবলিকানরা আসনটিতে ৩০ পয়েন্টের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন।

কিন্তু এবার সেখানে সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করায় আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী বছর কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে।

গতকালের নির্বাচনে জয়লাভ করার পরও প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখনো খুব কমই। তবে আগামী বছরের নির্বাচন পর্যন্ত দলটি একটি টেকসই অবস্থান ধরে রাখতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। 

গাজার একজন শক্তিশালী সমর্থক ডেমোক্র্যাট ওয়েল।

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি অনুদান সংগ্রহ করে আলোড়ন তুলেছিলেন। অন্যদিকে ফাইন ফিলিস্তিনি-বিরোধী। তিনি ফিলিস্তিনবিরোধী অবস্থান নিয়ে ১০ লাখ ডলারের অনুদান সংগ্রহ করেন। অনুদান সংগ্রহের ক্ষেত্রে বড় এ ব্যবধান এবং উভয় প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতার কারণে ফ্লোরিডার এ নির্বাচন জাতীয়ভাবে বেশ আলোচিত ছিল।

শেষমুহূর্তে জয়ের জন্য বাড়তি প্রচেষ্টা চালান রিপাবলিকানরা। ভোটের লড়াইয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে ব্যবধানে কমে আসায় তারা এই বাড়তি প্রচেষ্টা চালান। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ দলটির অন্যান্য জনপ্রিয় নেতারা এবং তাদের দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। দিন শেষে এ প্রচেষ্টা সফল হয়। রিপাবলিকানদের ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়।

সূত্র : বিবিসি
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পকেটে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ, তরুণের গোপনাঙ্গে আঘাত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পকেটে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ, তরুণের গোপনাঙ্গে আঘাত
প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

এক তরুণের পকেটে রাখা মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে প্যান্টে আগুন লেগে যায়। পুড়ে যায় তার শরীরের নিচের অংশ। ভারতের মধ্য প্রদেশে গত মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী এক যুবকের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের ফলে কুঁচকিতে আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মার্চ মাসের শেষের দিকে।

পুলিশের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, ১৯ বছর বয়সী অরবিন্দ নামের এক তরুণ বাজার থেকে সবজি কিনে মোটরবাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় টোল বুথের কাছে প্যান্টের পকেটে রাখা মোবাইল ফোনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।

বিস্ফোরণে তার গোপনাঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের ফলে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে হাইওয়েতে বাইক থেকে পড়ে যান ও গুরুতর আহত হন। চলন্ত বাইক থেকে পড়ে যাওয়ায় তার মাথায় আঘাত লাগে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

দুর্ঘটনার পর সারঙ্গপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার করানো হয় অরবিন্দের।

পরে আঘাত গুরুতর হয়ে ওঠায় তাকে শাজাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহতর পরিবার জানিয়েছে, অরবিন্দ টাকা জমিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন। সেটিতেই বিস্ফোরণ হয়েছে।

এ ছাড়া সারঙ্গপুর হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের বিস্ফোরণের কারণে ওই যুবক যৌনাঙ্গেও আঘাত পেয়েছেন। যদিও এই মুহূর্তে তিনি বিপদমুক্ত।

তবে তার চিকিৎসা চলছে।

মন্তব্য

ফ্লাইটে শিশুর গলা থেকে সোনার চেইন চুরি, ক্রুর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্লাইটে শিশুর গলা থেকে সোনার চেইন চুরি, ক্রুর বিরুদ্ধে মামলা
প্রতীকী ছবি : এএফপি

স্বল্পমূল্যের ভারতীয় এয়ারলাইনস ইন্ডিগোর এক ক্রু সদস্যর বিরুদ্ধে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর গলা থেকে সোনার চেইন চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে দায়ের করা এফআইআরে শিশুটির মা প্রিয়াঙ্কা মুখার্জি বলেন, ফ্লাইটের এক অ্যাটেনডেন্ট তার সন্তানকে টয়লেটের দিকে নিয়ে গেলে শিশুটির গলা থেকে সোনার চেইনটি নিখোঁজ হয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, ইন্ডিগোর ৬ই ৬৬১ ফ্লাইটে দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি কেরালার তিরুবনন্তপুরম থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে ভ্রমণ করছিলেন।

ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট অদিতি আশ্বিনী শর্মার বিরুদ্ধে করা এফআইআরে বলা হয়েছে, তিনি শিশুটির গলা থেকে ২০ গ্রাম ওজনের সোনার চেইনটি চুরি করেছেন, যার আনুমানিক মূল্য ৮০ হাজার রুপি। পুলিশ এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তিরুবনন্তপুরম থেকে বেঙ্গালুরুগামী ৬ই ৬৬১ নম্বর ফ্লাইটে আমাদের এক কর্মীকে ঘিরে গ্রাহকের উত্থাপিত একটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবগত।

আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তে পূর্ণ সহায়তা প্রদান করছি।’

মন্তব্য

গাজায় নিহত সহায়তাকর্মীদের শেষ মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ

    ইসরায়েলের দাবি খণ্ডন
এএফপি, বিবিসি
এএফপি, বিবিসি
শেয়ার
গাজায় নিহত সহায়তাকর্মীদের শেষ মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ
ছবি : ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রকাশিত ভিডিও থেকে নেওয়া

গাজায় নিহত এক সহায়তাকর্মীর মোবাইল থেকে উদ্ধার করা একটি ভিডিওতে তাদের শেষ মুহূর্তের চিত্র দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)। ভিডিওতে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত অ্যাম্বুল্যান্স ও জ্বলজ্বল করা জরুরি আলোর মধ্যে তীব্র গুলির শব্দ শোনা যায়। 

জাতিসংঘ ও পিআরসিএস জানিয়েছে, ২৩ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনীর এক হামলায় ১৫ জন মানবিক সহায়তা কর্মী নিহত হন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা কোনো অ্যাম্বুল্যান্সে ‘এলোপাতাড়ি হামলা’ চালায়নি; বরং ‘সন্দেহজনক যানবাহনে’ আসা ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়।

ওই ঘটনায় এখনো এক প্যারামেডিক নিখোঁজ রয়েছেন। 

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি জানান, যে গাড়িগুলোর ওপর গুলি চালানো হয়েছে, সেগুলোর জন্য আগে থেকে অনুমোদন ছিল না এবং সেগুলোর আলোও বন্ধ ছিল। অন্যদিকে পিআরসিএস শনিবার যে ভিডিও প্রকাশ করেছে, তা সেনাবাহিনীর এসব দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ভিডিওতে দেখা যায়, হেডলাইট ও জরুরি বাতি চালু অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সগুলো চলছিল।

 

সম্ভবত একটি চলমান গাড়ি থেকে ধারণ করা ওই ভিডিওতে আরো দেখা যায়, একটি লাল ফায়ার ট্রাক ও একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স রাতে চলাচল করছে। এগুলো রাস্তায় থেমে একটি অন্য গাড়ির পাশে দাঁড়ালে দুজন ইউনিফর্মধারী ব্যক্তি গাড়ি থেকে নামেন। এর পরই তীব্র গুলির শব্দ শোনা যায়।  

ভিডিওতে দুইজন চিকিৎসাকর্মীর কণ্ঠও শোনা যায়।

একজন বলেন, ‘গাড়িটা, গাড়িটা’, অন্যজন উত্তর দেন, ‘মনে হয় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ এর কয়েক সেকেন্ড পরই তীব্র গুলির শব্দ শুরু হয় এবং স্ক্রিন কালো হয়ে যায়।

পিআরসিএস জানায়, নিহত সহায়তাকর্মী রিফাত রাদওয়ানের মোবাইল ফোন থেকে এই ভিডিওটি উদ্ধার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘এই ভিডিও নির্ভেজালভাবে প্রমাণ করে, অ্যাম্বুল্যান্সে ইসরায়েলি বাহিনীর এলোপাতাড়ি হামলা না চালানোর দাবি মিথ্যা। কিছু গাড়ি আলো বা জরুরি চিহ্ন ছাড়া এগিয়ে এসেছিল—সেই কথাও অসত্য।

এই ফুটেজ সত্যকে উন্মোচিত করে এবং মিথ্যা বর্ণনাকে ভেঙে দেয়।’

নিহতদের মধ্যে ছিলেন পিআরসিএসের আট কর্মী, গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার ছয় সদস্য ও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর এক কর্মী। তাদের মরদেহ রাফার কাছে একটি গণকবরে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ)। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, মরদেহগুলো ‘বালু ও কাপড়ে ঢাকা ছিল, যাতে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়’ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের পর সেগুলো উদ্ধার করা যায়। এই হামলার তদন্ত চলছে বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

ভয় ও প্রার্থনায় শেষ মুহূর্ত
ওসিএইচএ জানিয়েছে, ওই দিন ভোরে প্রথম দলটিকে ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সহকর্মীদের খোঁজে এগিয়ে যাওয়া আরো কয়েকটি উদ্ধার ও সহায়তা দলের ওপর ধারাবাহিক হামলা চালানো হয়।  

পিআরসিএস বলেছে, রাফায় গোলাবর্ষণের মধ্যে আটকে পড়া বেসামরিক লোকদের ডাকে সাড়া দিয়েই এই বহরটি পাঠানো হয়েছিল।  

ভিডিওতে যে চিকিৎসাকর্মী দৃশ্য ধারণ করছিলেন, তাকে বারবার কালেমা শাহাদাত পাঠ করতে শোনা যায়—‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসূল’—কম্পিত কণ্ঠে তিনি এটি বারবার উচ্চারণ করেন, গুলির শব্দের মধ্যে। তাকে আরো বলতে শোনা যায়, ‘মা, ক্ষমা করো, কারণ আমি এই পথ বেছে নিয়েছি—মানুষের সেবা করার পথ।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমার শাহাদাত (মৃত্যু) কবুল করো হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করো।’

ভিডিও শেষ হওয়ার আগে ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ইহুদিরা আসছে, ইহুদিরা আসছে।’

এই হামলায় সহায়তাকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ফিলিস্তিন অঞ্চলে ওসিএইচএর প্রধান জোনাথন হুইটল বলেন, নিহতদের মরদেহ ‘ইউনিফর্ম ও হাতে গ্লাভস পরা’ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এতে ইসরায়েলি বাহিনীর ‘যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনা’ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আমি ১৫ জন চিকিৎসা ও সহায়তাকর্মীর হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত। এতে ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে উঠছে।’ এ ছাড়া তুর্ক একটি ‘স্বাধীন, দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের’ আহ্বান জানান।

‘আমাদের সব কর্মীই সাধারণ নাগরিক’
এদিকে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্যারামেডিক মুনথের আবেদ বলেন, ‘দিনে হোক বা রাতে—সব সময়ই একইভাবে গাড়ির বাইরের ও ভেতরের আলো জ্বলে। গাড়ির গায়ে স্পষ্ট করে লেখা থাকে যে এটি ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের অ্যাম্বুল্যান্স। গাড়ির সব আলো জ্বলছিল, যতক্ষণ না তা সরাসরি গুলির শিকার হয়।’

তিনি ও তার দলের সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আবেদ বলেন, ‘আমাদের সব কর্মীই সাধারণ নাগরিক। আমরা কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নই। আমাদের একমাত্র কাজ অ্যাম্বুল্যান্স সেবা দেওয়া ও মানুষের জীবন রক্ষা করা—এর বাইরে কিছু নয়।’

এ ছাড়া জাতিসংঘে গতকাল দেওয়া এক ভাষণে পিআরসিএস প্রেসিডেন্ট ড. ইউনিস আল-খাতিব সেই ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আমি নিহত হওয়া এক সহকর্মীর কণ্ঠস্বর শুনেছি। গুলি খাওয়ার ঠিক আগেই তার শেষ কথা ছিল…‘আমাকে মাফ করে দিও মা, আমি শুধু মানুষকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। আমি জীবন বাঁচাতে চেয়েছিলাম।’ এটি হৃদয়বিদারক।” তিনি এ ঘটনাকে ‘নৃশংস অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে ‘জবাবদিহি’ ও ‘একটি স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত’ দাবি করেন।

মন্তব্য

জনগণের দুঃসময়ে বিলাসিতা, ইরানে এবার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জনগণের দুঃসময়ে বিলাসিতা, ইরানে এবার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট বরখাস্ত
সদ্য বরখাস্ত হওয়া ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহরাম দাবিরি। ছবি : প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা ইরানে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান তার ডেপুটিকে বরখাস্ত করেছেন, যিনি সম্প্রতি ব্যয়বহুল অ্যান্টার্কটিকা সফরে গিয়েছিলেন।

সদ্য বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি প্রেসিডেন্ট শাহরাম দাবিরিকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি ও তার স্ত্রী বলে ধারণা করা এক নারী নেদারল্যান্ডসের পতাকাবাহী বিলাসবহুল জাহাজ প্ল্যানসিয়াসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। ২০০৯ সাল থেকে জাহাজটি অ্যান্টার্কটিকায় বিলাসবহুল ভ্রমণ করিয়ে থাকে। এক এজেন্সির তথ্যানুসারে, আট দিনের এ ধরনের একটি ট্রিপের খরচ জনপ্রতি তিন হাজার ৮৮৫ ইউরো।

সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনায় শনিবার প্রকাশিত এক চিঠিতে দাবিরিকে বরখাস্তের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান লেখেন, ‘এমন একটি প্রেক্ষাপটে, যেখানে জনগণের ওপর অর্থনৈতিক চাপ চরমে...সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যয়বহুল বিনোদনমূলক সফর, তা ব্যক্তিগত খরচেই হোক না কেন, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বা সমর্থনযোগ্য নয়।’

৬৪ বছর বয়সী দাবিরি পেশায় একজন চিকিৎসক এবং পেজেশকিয়ানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গত আগস্টে তিনি ডেপুটি প্রেসিডেন্ট (সংসদবিষয়ক) হিসেবে নিযুক্ত হন।

ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রেসিডেন্টের অনুগত অনেকেই দাবিরিকে বরখাস্তের দাবি জানান।

পরে দাবিরির দপ্তরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ইরনা জানায়, তিনি ওই সফরে গিয়েছিলেন সরকারি দায়িত্ব গ্রহণের আগেই। তবে বিতর্কটিকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের জন্য বড় এক ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছর নির্বাচনের সময় তিনি দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করা ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এর আগে মার্চের শুরুতে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রিয়ালের দরপতন ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অর্থমন্ত্রী আবদুল নাসের হেম্মাতিকে পার্লামেন্ট বরখাস্ত করে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ