কেনিয়ার তরুণদের প্রিয় গণপরিবহণ ‘মাটাটু’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেনিয়ার তরুণদের প্রিয় গণপরিবহণ ‘মাটাটু’
ছবিসূত্র : ডয়চে ভেলে

কেনিয়ায় গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া মিনিবাস ‘মাটাটু' নামে পরিচিত। এগুলোর মধ্যে কিছু মাটাটু আছে যেগুলোর ভেতর ও বাইরের সজ্জা বেশ রঙিন। পুরো বাসের বাইরের অংশটুকুতে থাকে গ্রাফিতি, আর ভেতরে আছে জোরে গান শোনার ব্যবস্থা। এছাড়া ভেতরে হালকা আলোরও ব্যবস্থা থাকে।

এমন মাটাটু তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয়। এমন এক তরুণ যাত্রী জেরোম ওগায়া বলেন, ‘আমি এমন মাটাটুতে উঠতে পছন্দ করি। কারণ অন্য মাটাটুর তুলনায় সেটিতে চড়লে অনুভূতিটা খুবই রোমাঞ্চকর হয়। যখন আপনি এমন মাটাটুতে চড়েন যেখানে অনেক গ্রাফিতি আছে, যেটার স্টাফরা সবাই আনন্দ করেন এবং জোরে গান বাজে, তখন আমার মতো তরুণদের সেটা ভালো লাগারই কথা।

কিন্তু কেনিয়ার একটি গণপরিবহণ কীভাবে শিল্প, সংগীত ও রাস্তার জীবনকে একত্রিত করে একটি সাংস্কৃতিক আইকনে পরিণত হলো?

এ ধরনের মাটাটু তৈরি করা সংস্থা মাটওয়ানা কালচারের প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান ওয়াইয়ামা বলেন, ‘আমার মনে হয় কেনিয়ার একজন রাষ্ট্রদূত হওয়ার ভালো উপায় হলো রঙিন মাটাটু তৈরি করা। কারণ এর মাধ্যমে আপনি শিল্প প্রদর্শন করতে পারেন, এমনকি এর পেছনের জীবনধারাও তুলে ধরতে পারেন। আর এই কাজ আমার মধ্যে পরিপূর্ণতা নিয়ে আসে।’

কেনিয়ার মাটাটু সংস্কৃতির একটি সমৃদ্ধ ও বর্ণিল ইতিহাস আছে।

১৯৬০-এর দশকে দেশটিতে গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু হওয়ার সময় মাটাটু শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। মাটাটু টার্মটি কিকুয়ো শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ ৩- যা মূল ভাড়া ৩ সেন্টকে বোঝায়। কিন্তু পুরোপুরি উপভোগ করার মতো মাটাটু সংস্কৃতি তৈরি করতে কী লাগে- সাহসি গ্রাফিতি আর উচ্চ শক্তির স্পন্দন?

ব্রায়ান ওয়াইয়ামা জানান, ‘মাটওয়ানা কালচার সংস্থাটি শুরু করার কারণ ছিল, মাটাটু সম্পর্কে মানুষের উপলব্ধি তুলে ধরা। আমরা সাধারণত গ্রাফিতি শিল্পী ও গ্রাফিক ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজ করি। এর মাধ্যমে নতুন সৃষ্টিশীল কাজ করা যায়।

মাটাটুর ক্ষেত্রে গ্রাফিতি সত্যিই বড় ভূমিকা পালন করে। যখন একটি মাটাটু আপনার কাছে আসে বা যখন আপনি একটি ভিডিও বা মাটাটুর একটি ছবি দেখেন, তখন গ্রাফিতিটাই প্রথম জিনিস, যা আপনি দেখতে পান। আমার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল, ব্রিটিশ হাই কমিশনের জন্য কাজ করা। রাজা চার্লসের কেনিয়া সফরের জন্য একটি ভ্যান তৈরি করতে হয়েছিল।’

মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বন্যপ্রাণী দেখতে লাখ লাখ পর্যটক কেনিয়ায় যান। তাদের কাছে রাস্তায় চলা রঙিন মাটাটুও একটি আকর্ষণ। তাহলে কেনিয়ার মাটাটু সংস্কৃতিকে নতুন স্তরে রূপান্তরিত করার জন্য ব্রায়ান কেন তার শেফের কাজ ছেড়ে দিলেন? 

উত্তরে তিনি জানান, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি একজন শেফ ছিলাম। কিছুদিন কাজ করেছি, কিন্তু আমার এমন কিছুর প্রয়োজন ছিল, যা আমাকে আরও পরিপূর্ণতা দিবে। সে কারণেই আমি মাটাটু শিল্পে কাজের সিদ্ধান্ত নেই। এরপর বাকিটা ইতিহাস।’

তিনি আরো বলেন, ‘মাটাটু শিল্পের মাধ্যমে কেনিয়ার পরিচয়কে বিশ্বের কাছে আরো ভালোভাবে তুলে ধরা যায়। এটা এমন একটা জিনিস, যা শুধু আফ্রিকাতেই নয়, বরং সারা বিশ্বে অনন্য। পাশাপাশি, যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্যও এটা একটা বিশাল খাত। তাই মাটাটু শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য আমরা শুধু কেনিয়াতেই নয়, আফ্রিকা ও বিশ্বজুড়ে অনেক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার আশা করছি।’
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র অবমাননার জন্য মার্কিন শিক্ষক গ্রেপ্তার

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র অবমাননার জন্য মার্কিন শিক্ষক গ্রেপ্তার

পল চেম্বার্স নামের ওই মার্কিন নাগরিক উত্তর থাইল্যান্ডের নরেসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। দেশের রাজতন্ত্রকে অবমাননার জন্য মঙ্গলবার এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ।

পল চেম্বার্স নামের ওই মার্কিন নাগরিক উত্তর থাইল্যান্ডের নরেসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। ব্যাংকক থেকে ৩৬০ কিমি দূরে উত্তরাঞ্চলের পিটসানুলোকের একটি পুলিশ স্টেশনে প্রথমে রিপোর্ট করেন চেম্বার্স।

এরপর গ্রেপ্তার হন তিনি। গত সপ্তাহে থাই সামরিক বাহিনীর করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ডেকে পাঠায়।

কী অভিযোগ?

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পিটসানুলোকের এক পুলিশ জানান, মূলত দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হন ওই মার্কিন নাগরিক। থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রকে অবমাননার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনলাইন অপরাধেরও অভিযোগ ওঠে।

মানবাধিকার আইনজীবীদের সংস্থা থাই লইয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুনানি পূর্ববর্তী গ্রেপ্তারির জন্য চেম্বার্সকে পিটসানুলোক প্রভিন্সিয়াল আদালতে তোলা হয়েছিল। ওই সংস্থা থেকেই চেম্বার্সের হয়ে লড়বেন আইনজীবী ওয়ানাপাট জেনরুমজিট।  

তিনি জানিয়েছেন, একটি অনলাইন সেমিনারকে কেন্দ্র করে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উনি ওই সেমিনারে বক্তা ছিলেন।

ওই মানবাধিকার সংস্থা আরো জানিয়েছে, চেম্বার্সের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রাজতন্ত্র সংক্রান্ত আইনে কী বলে?

থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র অবমাননার বিরুদ্ধে আইন খুবই কঠিন। থাই ক্রিমিনাল কোডের ১১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজা, রানি অথবা তাদের উত্তরাধিকারীকে হুমকি দিলে অথবা অপমান করলে তিন থেকে ১৫ বছরের জেল হতে পারে।

মন্তব্য

ধসে পড়ল নাইটক্লাবের ছাদ, নিহত ৯৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধসে পড়ল নাইটক্লাবের ছাদ, নিহত ৯৮
ছবিসূত্র : এএফপি

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে একটি নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার ভোরে উদ্ধার অভিযানের প্রধান এই তথ্য জানিয়েছেন।

জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে মৃতের সংখ্যা ৯৮ জনে পৌঁছেছে।

এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’ ঘটনার পরে উদ্ধারকারীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য ছুটে যান। ৩৭০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী জীবিতদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছেন। কয়েক ডজন অ্যাম্বুলেন্স আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন ক্লাবে ৫০০ থেকে ১ হাজার জন লোক ছিল। ক্লাবটিতে ৭০০ জন বসার এবং প্রায় ১ হাজার জন দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা রয়েছে।  নাইট ক্লাবটির ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল সেটি এখনো জানা যায়নি।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি ব্যান্ড গান পরিবেশন করছে।

এ সময় স্টেজের কাছ থেকে একজনকে আঙুল দিয়ে দেখান যে ক্লাবের পেছনে কিছু একটা পড়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছাদে থাকা লাইটগুলো ধসে পড়তে থাকে। এর কয়েক মুহূর্ত পরই পুরো ছাদটি ধসে পড়ে।

দেশটির রাষ্ট্রপতি লুইস আবিনাদারের মতে, মৃতদের মধ্যে মন্টে ক্রিস্টি পৌরসভার গভর্নর নেলসি ক্রুজও ছিলেন। মৃতের সংখ্যা ১৫ জন থেকে শুরু হয়েছিল এবং এরপর তা বাড়তে থাকে।

সন্ধ্যা নাগাদ ৭৯ জনে পৌঁছায় এবং আজ সকালে ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

ক্লাবের ছাদের একসময় একটি বড় গর্ত দেখা গেছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। একটি ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ডোমিনিকানদের রক্তদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

জরুরি অপারেশন সেন্টারের পরিচালক জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, ‘যতক্ষণ জীবনের আশা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকল কর্তৃপক্ষ এই লোকদের উদ্ধারের জন্য কাজ করবে।’ রাষ্ট্রপতি আবিনাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।

সূত্র : এএফপি


 

মন্তব্য

ইসরায়েলি হামলায় জীবন্ত পুড়ে মারা গেলেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইসরায়েলি হামলায় জীবন্ত পুড়ে মারা গেলেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিক
ছবিসূত্র : এক্স থেকে নেওয়া

খান ইউনিসে বসবাসকারী সাংবাদিকদের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলার পর জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহমেদ মনসুর মারা গেছেন। এ ঘটনায় গাজাবাসী শোক প্রকাশ করেছে।

দুই সন্তানের জনক মনসুর ইসরায়েলি হামলায় নিহত তিনজনের মধ্যে একজন। যাদের মধ্যে সাংবাদিক হিলমি আল-ফাকাওয়ি এবং নাগরিক ইউসুফ আল-খাজিন্দারও ছিলেন।

তাঁবুতে থাকা আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। যাদের মধ্যে হাসান ইসলায়েহ, আহমেদ আল-আগা, মোহাম্মদ ফায়েক, আবদুল্লাহ আল-আত্তার, ইহাব আল-বারদিনি, মাহমুদ আওয়াদ, মাজেদ কুদাইহ এবং আলী ইসলায়হ রয়েছেন। তাদের মধ্যেও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

জীবন্এত পুড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ভিডিওতে স্থানীয় প্যালেস্টাইন টুডে সংবাদ সংস্থার সংবাদদাতাকে গত সোমবার আগুনে পুড়ে যেতে দেখা যায়। তার সহকর্মীরা তাকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে। প্রথমে মনসুরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে ফিলিস্তিনি সংবাদ ওয়েবসাইট আরব৪৮ অনুসারে, গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রতিরক্ষা মনসুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
 

সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফাও জানিয়েছে, মানসুর গতকাল মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  মিডল ইস্ট আইয়ের সংবাদদাতা আহমেদ আজিজ হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘তাঁবুতে থাকা মানুষ আহমেদ মনসুরকে আগুন থেকে উদ্ধার করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারছিলেন না। কারণ তাঁবুতে থাকা স্পঞ্জ, কাঠ এবং নাইলন দ্রুত আগুন ধরে যায়।’

শাত নামে তার একজন সহকর্মী জানান, হঠাৎ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ।

তাঁবুতে থাকা সকল সাংবাদিকদের ঘুম ভেঙে যায়। তারা ভীত ও বিভ্রান্ত হয়ে তাঁবু ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শাত মোবাইল হাতে তুলে ধরেন—অভ্যস্তভাবে ভিডিও ধারণের জন্য প্রস্তুত হন। 

হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া সাংবাদিক আবেদ শাত বলেন, ভোর ৩টার দিকে কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সাংবাদিকরা যেখানে অবস্থান করছিলেন, সেই তাঁবুতে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। শাত বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য তাঁবুটি সকলের কাছে পরিচিত ছিল। এটা থেকে নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে, সাংবাদিকদের ওপর ইচ্ছা করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।’

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সাংবাদিকরা হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় নিচ্ছেন, যেখানে অপেক্ষাকৃত ভালো ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা থাকে। আবেদ শাত বলেন, আমরা এখানেই থাকি, এখানেই ঘুমাই, এখানেই কাজ করি। পরিবারকে এতটা দেখি না, যতটা একে-অপরকে দেখি। আমাদের বন্ধন এখন শুধু কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা তার চেয়েও গভীর।

হামলা চালানো হয় টিভি চ্যানেল ‘প্যালেস্টাইন টুডে’-র সাংবাদিকদের তাঁবুতে। দূর থেকে শাত ছবি তুলছিলেন, কিন্তু জ্বলন্ত তাঁবুর কাছাকাছি গিয়েই তিনি দেখেন, তার এক সহকর্মী আগুনের মধ্যে পুড়ছেন। ক্যামেরা নামিয়ে রেখে ছুটে যান তাকে বাঁচাতে। শাত বলেন, আগুন ভয়াবহ ছিল। আমি তার পা ধরে টান দিতে চেষ্টা করি, কিন্তু প্যান্ট ছিঁড়ে যায়। এরপর অন্যভাবে চেষ্টা করি, কিন্তু কিছুতেই পারছিলাম না। শেষমেশ আমাকে সরে যেতে হয়। এরপর কিছু মানুষ পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। শাত বলেন, আমি হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়ি, তারপর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল ২১১ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে। ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য ‘সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দাবি করেছে, তারা এই হামলা চালিয়েছে হাসান আবদেল ফাত্তাহ মুহাম্মদ ইসলাইহকে লক্ষ্য করে। ইসরায়েলের অভিযোগ, তিনি হামাসের সদস্য, সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ছিলেন। কিন্তু সেই দাবি প্রমাণে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

সাংবাদিক ইসলাইহর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল অনুসারী রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে দক্ষিণ ইসরায়েলের ওপর চালানো হামলার সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে রিপোর্ট করেছিলেন, যার জেরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাকে বারবার হুমকি দিয়েছ ঘুমন্ত সাংবাদিকদের তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে একজনকে ধরার সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তির ব্যাখ্যা দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী।

সূত্র : মিডিল ইষ্ট আই, আলজাজিরা, আরব নিউজ

মন্তব্য

প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবারের মতো ভারত সফরে দুবাইয়ের যুবরাজ
সংগৃহীত ছবি

প্রথমবারের মতো ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছেন দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান। আজ মঙ্গলবার তিনি ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিনের এই সফর শেষ হবে ৯ এপ্রিল।

প্রথমদিনই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুবরাজ হামদান। 

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন যুবরাজ। এ ছাড়া আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তার। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের।

 

খালিজ টাইমস জানায়, দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ভারতে পৌঁছানোর পর দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রতিমন্ত্রী সুরেশ গোপী। তার সম্মানে বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ