টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

  • মো. মশিউর রহমান খান, প্রভাষক (ইংরেজি), জয়পুরহাট বিএড কলেজ, জয়পুরহাট সদর, জয়পুরহাট
শেয়ার
টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

পর্ব-৪২

Keep + verb + ing

    কোনো কাজ করতে থাকোএমন কথা প্রকাশ করতে তোমরা নিচের structure-টি ব্যবহার করো। 

 

Structure

Keep + verb + ing (করতে থাকা), subject + verb + ext.

 

Practice

1.       Keep reading, you will be a writer.

পড়তে থাকো, একজন লেখক হবে।

2.       Keep staying, you will success.

লেগে থাকো, সফলতা পাবে।

3.       Keep offering, you will offer.

প্রস্তাব করো, প্রস্তাব পাবে।

4.       Keep working, you will get money.

কাজ করতে থাকো, তুমি টাকা পাবে।

5.       Keep staying, you will win.

লেগে থাকো, তুমি জিতবে।

6.       Keep practicing, you will be able to speak English fluently.

চেষ্টা করতে থাকো, তুমি অনর্গল ইংরেজি বলতে থাকবে।

 

Am to/ is to/ are to

    কোন কাজ করতে হয়এমন কথা প্রকাশ করতে  তোমরা নিচের structure-টি ব্যবহার করো।

 

Structure

Subject + am to/ is to/ are to + verb1 + obj + ext.

 

Practice

1.       I am to catch fish.

আমাকে মাছ ধরতে হয়।

2.       He/she is to bear the basket.

তাকে ঝুড়ি বহন করতে হয়।

3.       They are to dance the club.

তাদের ক্লাবে নাচতে হয়।

4.       You are to drive a car.

তোমাকে গাড়িটি চালাতে হয়।

5.       We are to understand the matter.

আমাদের ব্যাপারটি বুঝতে হয়।

 

l Was to/ were to

    কোন কাজ করতে হয়েছিলএমন কথা প্রকাশ করতে  তোমরা নিচের structure-টি ব্যবহার করো।

 

Structure

Subject + was to/ were to + verb1 + obj + ext.

 

Practice

1.       I was to accept.

আমাকে গ্রহণ করতে হয়েছিল।

2.       He/she was to declare the war.

তাকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হয়েছিল।

3.       They were to cut the tree.

তাদের গাছ কাটতে হয়েছিল।

4.       You were to open the shop.

তোমাকে দোকান খুলতে হয়েছিল।

5.       We were to speak in English.

আমাদের ইংরেজি বলতে হয়েছিল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র

অষ্টম অধ্যায়

মজুদ পণ্যের হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

২৬। যে পদ্ধতিতে মজুদের মোট মূল্যকে ব্যবসায়ের মোট মজুদ একক দ্বারা ভাগ করে মজুদের একক প্রতি গড়মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তাকে কী বলে?

    ক. সরল গড়মূল্য পদ্ধতি

খ. ভারযুক্ত গড়মূল্য পদ্ধতি

    গ. স্থিরমূল্য পদ্ধতি ঘ. বাজারমূল্য পদ্ধতি

২৭। ব্যাবসায়িক মজুদ পণ্য মূল্যায়নে ব্যবহৃত গড়মূল্য পদ্ধতি কত প্রকার?

    ক. দুই    খ. তিন

    গ. চার    ঘ. পাঁচ

২৮। ব্যবসায়ের মজুদ পণ্য মূল্যায়নের জন্য বহুল প্রচলিত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় পদ্ধতি কোনটি?

    ক. আগের মূল্যের মজুদ আগে ছাড়া পদ্ধতি FIFO.

    খ. শেষের মূল্যের মজুদ আগে ছাড়া পদ্ধতি LIFO.

    গ. নির্দিষ্ট ব্যয় শনাক্তকরণ পদ্ধতি

    ঘ. সরল গড়মূল্য পদ্ধতি

২৯।

সীমিত এবং মূল্যবান পণ্যের ব্যবসায়ের মজুদ পণ্য মূল্যায়নের জন্য কোন পদ্ধতি বেশি উপযোগী?

    ক. আগের মূল্যের মজুদ আগে ছাড়া পদ্ধতি

    খ. শেষের মূল্যের মজুদ আগে ছাড়া পদ্ধতি

    গ. নির্দিষ্ট ব্যয় শনাক্তকরণ পদ্ধতি

    ঘ. সরল গড়মূল্য পদ্ধতি

৩০। ব্যবসায়ে ৪০ টাকা মূল্যের ৭০০ একক এবং ৪৪ টাকা মূল্যের ৫০০ একক পণ্যের মজুদ রয়েছে। সরল গড়মূল্য পদ্ধতিতে মজুদ পণ্যের মূল্যায়ন করা হলে মজুদ পণ্যের একক প্রতি গড়মূল্য কত হবে?

    ক. ৪০ টাকা    খ. ৪২ টাকা

    গ. ৪৪ টাকা    ঘ. ৮৪ টাকা

৩১। কাঁচামাল ফেরত পত্রের মূল কপি কার কাছে সংরক্ষিত থাকে?

    ক. প্রদানকারী বিভাগে  

    খ. উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিভাগে

    গ. গুদামে 

    ঘ. ব্যবস্থাপনার কাছে

৩২।

সাধারণত কাঁচামাল অধিযাচন পত্রের কয়টি প্রতিলিপি প্রস্তুত করা হয়?

    ক. ২টি    খ. ৩টি

    গ. ৪টি    ঘ. ৫টি

৩৩। ক্রয় বিভাগের নিকট কাঁচামাল ক্রয় করতে অনুরোধ জানানোর জন্য একটি ফরম ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাকে কী বলে?

    ক. ক্রয় অধিযাচন পত্র  খ. সাধারণ মাল অধিযাচন পত্র

    গ. অতিরিক্ত মাল অধিযাচন পত্র

    ঘ. মাল ফেরত পত্র

৩৪। গাড়ির ফুয়েলিং স্টেশনে নিম্নের কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য?

    ক. LIFO  খ. FIFO

    গ. সাধারণ গড় পদ্ধতি  ঘ. ভারযুক্ত গড় পদ্ধতি

৩৫। কাঁচামাল বা পণ্যের জন্য যে ক্রয় অধিযাচন পত্র প্রস্তুত করে?

    ক. গুদামরক্ষক   খ. বিভাগের কর্মকর্তা

    গ. ব্যবস্থাপক       ঘ. ফোরম্যান

৩৬।

মূল্য যখন ওঠানামা করে তখন কাঁচামাল নির্গমনে কোন পদ্ধতি যুক্তিযুক্ত?

    ক. FIFO  খ. LIFO

    গ. ভারযুক্ত গড় পদ্ধতি  ঘ. সাধারণ গড় পদ্ধতি

 

    উত্তর : ২৬. ক ২৭. ক ২৮. ক ২৯. গ ৩০. খ ৩১. ক ৩২. খ ৩৩. ক ৩৪. গ ৩৫. ক ৩৬. ক।

মন্তব্য

টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

    মো. মশিউর রহমান খান, প্রভাষক (ইংরেজি), জয়পুরহাট বিএড কলেজ, জয়পুরহাট সদর, জয়পুরহাট
শেয়ার
টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

পর্ব-৪৪

          It looks like

    কোথাও যেন কোনো কিছু করেছি (যেমন : দেখেছিলাম, করেছিলাম, বলেছিলাম)এমন কথা প্রকাশ করতে তোমরা নিচের Structure-টি ব্যবহার করো।

 

Structure

It looks like + sub + verb + obj + somewhere.

 

Practice

1.       It looks like I saw him somewhere.

আমি কোথায় যেন তাকে দেখেছিলাম।

2.       It looks like I have seen you somewhere.

আমি কোথায় যেন তোমাকে দেখেছি।

3.       It looks like I have seen this mobile phone somewhere.

আমি কোথায় যেন এই মোবাইল দেখেছিলাম।

4.       It looks like I heard this incident somewhere.

আমি কোথায় যেন এই ঘটনাটি শুনেছিলাম।

5.       It looks like I told the same word

somewhere.

আমি কোথায় যেন এই একই কথা বলেছিলাম।

6.       It looks like I have seen your elder sis ter somewhere.

আমি কোথায় যেন তোমার বড় বোনকে দেখলাম।

7.       It looks like he told me the word somewhere.

সে কোথায় যেন কথাটি আমাকে বললেন।

8.       It looks like you mis took somewhere.

তুমি কোথায় যেন ভুল করলে।

 

 What else

    আমি আর কী করতে পারি/পারতাম? আমরা আর কী তোমার বাসায় খেতে পারি/পারতাম? তুমি আর কী বলতে পারো/পারতে? সে আর কী লিখতে পারে/পারত? আমরা আর কী শিখতে পারি/পারতাম?   তারা আর কী করতে পারে/পারত?এমন কথা প্রকাশ করতে তোমরা নিচের Structure-টি ব্যবহার করো। 

 

          Structure

What else + could + sub + verb + obj+ ?

 

          Practice

1.       What else could I do?

আমি আর কী করতে পারি/পারতাম?

2.       What else could we eat at your home?

আমরা আর কি তোমার বাসায় খেতে পারি/পারতাম?

3.       What else could you talk?

তুমি আর কী বলতে পারো/পারতে?

4.       What else could he write?

সে আর কী লিখতে পারে/পারত?

5.       What else could we learn?

আমরা আর কী শিখতে পারি/পারতাম?

6.       What else could they do?

তারা আর কী করতে পারে/পারত?

মন্তব্য

ক্ষীর

    অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে তোমরা ক্ষীর সম্পর্কে পড়েছ। ভূরিভোজের পর শেষ পাতে মিষ্টি খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় বিশেষ এই পদ—
শেয়ার
ক্ষীর
গুড়ের ক্ষীর।ছবি : সংগৃহীত

কোনো গভীর বা ঘনিষ্ঠ অবস্থা বোঝাতে আমরা প্রায়ই বলি বিষয়টি জমে ক্ষীর। দুধকে আগুনে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষীর বানানো হয়। অর্থাৎ দুধের ঘনীভূত অবস্থা বা জমে যাওয়া অবস্থাটিই ক্ষীর। এখানেই শেষ না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ আঁকাআঁকির কারণে খ্যাতি পেয়েছিলেন।

তবে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সাহিত্যকর্মে মন দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতেন। উৎসাহিত হয়ে তিনি প্রথমে লিখেছিলেন শকুন্তলা। এরপর ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর রূপকথাধর্মী গ্রন্থ ক্ষীরের পুতুল। শিশুসাহিত্যে বিশেষ স্থান দখল করে রাখা এই সাহিত্যকর্ম পরবর্তী সময়ে ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, হিন্দি, মারাঠিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়।

বাঙালির ক্ষীরপ্রেমের শিকড় সুদূর অতীতে। ধারণা করা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই ক্ষীর তৈরি হয়ে আসছে। বিশেষ করে মোগল আমলে এই খাবার রাজকীয় পদ হিসেবে উচ্চ মর্যাদা পায়। তখন দুধ ঘন করে রান্না করে নানা রকম বাদাম ও মসলা মিশিয়ে এটি পরিবেশন করা হতো।

পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব স্বাদ ও রীতি অনুসারে তৈরি হতে থাকে বৈচিত্র্যময় ক্ষীর। কোনো অঞ্চলে লালচে রঙের পায়েসের মতো ক্ষীর জনপ্রিয়। আবার কোথাও একদম ঘন মালাইয়ের মতো ক্ষীর বেশি প্রিয়।

ক্ষীর তৈরির প্রধান উপাদান হলো দুধ। দুধকে ধীরে ধীরে ঘন করে তাতে চাল, চিনি, গুড় বা কনডেন্সড মিল্ক মেশানো হয়।

তারপর এটি ধীর আঁচে রান্না করে তৈরি করা হয় ঘন ও সুগন্ধি একটি মিশ্রণ। স্বাদ বাড়াতে অনেকে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কিশমিশ কিংবা এলাচ-দারচিনির মতো মসলা যোগ করে। ঈদ, পূজা, নববর্ষ কিংবা বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের ভূরিভোজে ক্ষীর না হলে চলে!

অনেকে পায়েস, ফিরনি ও ক্ষীরকে একই পদ ভেবে ভুল করে। পায়েস কিছুটা পাতলা হয়, অন্যদিকে ফিরনি আঠালো দেখতে। ক্ষীর হয় একেবারেই জমাট এবং এতে চালের দানাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হলেও আস্ত থাকে। ক্ষীরের তৈরি অনেক মিষ্টি আমাদের দেশে জনপ্রিয়, বিশেষ করে ক্ষীর কদম, কানসাট, ক্ষীরের বরফি, পাতক্ষীর, ক্ষীরের পুতুল নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই।

আল সানি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এসএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান

    মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা
শেয়ার
এসএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান
ভূমিকম্পের তরঙ্গ রেকর্ড করার যন্ত্র সাইসমোগ্রাফ। ছবি : সংগৃহীত

সপ্তম অধ্যায়

তরঙ্গ ও শব্দ

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৩। শীতকালের চেয়ে গ্রীষ্মকালে বায়ুতে শব্দের বেগ বেশি হয় কেন?

    উত্তর : আমরা জানি, বায়ুর তাপমাত্রা যত বাড়ে, বায়ুতে শব্দের বেগও তত বাড়ে। প্রতি 10C তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বায়ুতে শব্দের বেগ 0-6 ms-1 হারে বৃদ্ধি পায়।

    যেহেতু শীতকালের চেয়ে গ্রীষ্মকালে বায়ুর উষ্ণতা বেশি থাকে, তাই শীতকালের চেয়ে গ্রীষ্মকালে বায়ুতে শব্দের বেগ বেশি হয়।

৪।  তরঙ্গের প্রকারভেদ সংক্ষেপে আলোচনা করো।

    উত্তর : উৎপত্তির কারণ অনুসারে তরঙ্গসমূহ যান্ত্রিক ও তাড়িতচৌম্বক দুই প্রকার হতে পারে। যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনে মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, কিন্তু তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ সঞ্চালনে মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।

তবে সঞ্চালনের ধরন অনুসারে তরঙ্গসমূহকে অনুপ্রস্থ ও অনুদৈর্ঘ্য এ দুই ভাগে ভাগ করা হয়। অনুপ্রস্থ তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাসমূহ তরঙ্গবেগের দিকের সঙ্গে লম্বভাবে কম্পিত হয় এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের ক্ষেত্রে কণাগুলো তরঙ্গবেগের দিকের সমান্তরালে কম্পিত হয়।

৫।  তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য কী কী?

    উত্তর : তরঙ্গের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ :

          i. প্রতিটি কণা পর্যাবৃত্ত গতি লাভ করে।

          ii. মাধ্যমের ভেতর দিয়ে নির্দিষ্ট বেগে সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

          iii. কণাগুলোর দশা এক কণা থেকে অপর কণাতে পরিবর্তিত হয়।

          iv. মাধ্যমের কণাগুলো কখনো স্থির থাকে না।

          v. মাধ্যমের প্রতিটি বিন্দুর চাপ ও ঘনত্ব একইভাবে পরিবর্তিত হয়।

৬।

  কিভাবে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ শনাক্ত করবেব্যাখ্যা করো।

    উত্তর : অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি সংকোচন ও প্রসারণ উৎপন্ন করে মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। সুতরাং কোনো তরঙ্গ যদি মাধ্যমে সংকোচন ও প্রসারণ উৎপন্ন করে সঞ্চালিত হয়, তবে এটিকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ হিসেবে শনাক্ত করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি সংকোচন ও একটি প্রসারণ মিলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য গঠিত হয়। এ ছাড়া অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ শনাক্ত করার আরেকটি উপায় হলো এ তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলো স্পন্দনের দিক তরঙ্গের দিকের সমান্তরাল হয়।

৭।  বায়ু ও পানির মধ্য দিয়ে শব্দসংকেত অগ্রসর হওয়ার সময় কোন মাধ্যমে শব্দের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হবে? ব্যাখ্যা করো।

    উত্তর : সাধারণত 00C তাপমাত্রায় বায়ুতে শব্দের দ্রুতি 332 ms-1 পানিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 1450 ms-1 এবং পানির মধ্যে শব্দ বাতাসের চেয়ে প্রায় চার গুণ দ্রুত চলে। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে বায়ু ও পানির মধ্য দিয়ে শব্দসংকেত অগ্রসর হওয়ার সময় পানির মাধ্যমে শব্দের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি।

৮।  বাতাস ও পানিতে শব্দের দ্রুতি সমান নয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

    উত্তর : শব্দের দ্রুতি মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে, যার কারণে কঠিন মাধ্যমে শব্দ সবচেয়ে দ্রুত চলে; তরল মাধ্যমে তার চেয়ে ধীরে চলে, বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, 00C বা 273 K তাপমাত্রায় ও স্বাভাবিক চাপে শুষ্ক বায়ুতে শব্দের দ্রুতি 332 ms-1। পুকুরের পানিতে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে বাইরে থেকে যে শব্দ খুব আস্তে শোনা যায়, পানিতে ডুব দিয়ে শুনলে ওই শব্দ বেশ জোরে শোনা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, শব্দ বাতাস বা বায়ু মাধ্যমের চেয়ে পানি অর্থাৎ তরল মাধ্যমে দ্রুত চলে। হিসাব করে দেখা গেছে, পানির মধ্যে শব্দ বাতাসের চেয়ে প্রায় চার গুণ দ্রুত চলে। পানিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 1450 ms-1

৯। তরঙ্গবেগ এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যকার সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

    উত্তর : কম্পমান বস্তুর একটি পূর্ণ কম্পনে যে সময় লাগে, সেই সময়ে তরঙ্গ যেটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে, তা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সমান। সুতরাং কম্পাঙ্ক f হলে f সংখ্যক পূর্ণকম্পনকালীন সময়ে (1s) তরঙ্গ দূরত্ব অতিক্রম করে। সংজ্ঞানুসারে এটিই হলো তরঙ্গবেগ, v = fπ; এটিই তরঙ্গবেগ এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যকার সম্পর্ক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ