<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে ৩১ জনকে আসামি করে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন তার বাবা জামাল উদ্দিন। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে করা এই মামলায় এজাহারনামীয় ৩১ জনের বাইরে অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে একই দিন একই থানায় ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ এ তথ্য জানান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলিফ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাস, ওমকার দাশ, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিবকুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওমদাশ, পপি, অজয়, দেবীচরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী তারেক আজিজ সাংবাদিকদের জানান, মামলার আসামিদের বেশির ভাগ নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকার সেবক কলোনির (মেথরপট্টি) পরিচ্ছন্নতাকর্মী। চন্দন দাসকে মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার এজাহারে আলিফের বাবা উল্লেখ করেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধনে তার ছেলে আলিফকে হত্যা করে আসামিরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক নম্বর আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এজাহারভুক্ত আসামিদের রাজনৈতিক পদ-পদবি জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ রকম কেউ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামাল উদ্দিন গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি মামলা করেছি। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের পুলিশ শনাক্ত করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলিফ হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার আগে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। আলিফ হত্যা ও পুলিশের করা এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন আলিফ হত্যা মামলার আসামি।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্রেপ্তার ৩৯ জনের মধ্যে আসামিরা চট্টগ্রামের কোতোয়লি থানা এলাকার পাথরঘাটা সেবক কলোনি এবং ব্যান্ডেল রোড এলাকায় বসবাস করেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। আসামি শুভ কান্তি দাশের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। তিনি বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হত্যা মামলায় দেরি হওয়ার বিষয়ে জামাল উদ্দিন উল্লেখ করেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলের দাফন সম্পন্ন করে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা জোগাড় করি। তারপর থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে সামান্য  দেরি হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আলিফ হত্যাকাণ্ডের সময় চন্দন কমলা রঙের গেঞ্জি ও হেলমেট পরেছিলেন। ভিডিওতে তাকে কোপাতে দেখা গেছে। চন্দনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর তার ভক্ত-অনুসারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হামলার ঘটনায় আইনজীবী আলিফ নিহত হন। </span></span></span></span></p>