<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত এস আলম গ্রুপ এবং ব্যবসায়ী পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সম্প্রতি কমিশন এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এস আলম গ্রুপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক ইয়াসিন আরাফাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র কালের কণ্ঠকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেক সংসদ সদস্য ও নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরপরই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের তোড়জোড় শুরু করে দুদক।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকার পতনের পরপরই এস আলম গ্রুপ ও চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা লোপাটের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনুসন্ধানে পৃথক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা শিগগিরই বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে তাঁরা কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এস আলম গ্রুপের হাজার কোটি টাকা লোপাট</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিযোগে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের ৫০ হাজার কোটি টাকাই এস আলমের পকেটে। মাত্র বছর দশেক আগেও দেশের শীর্ষ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। আইনকানুন পরিপালন, গ্রাহককে সেবা দেওয়া ও আর্থিক সূচকে অন্য সব ব্যাংককে ছাড়িয়ে গিয়েছিল এই ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থার কারণে স্থানীয় আমানত কিংবা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে এটি সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। ব্যাংকটির আকার এতটাই বড় হয়ে উঠেছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হতো, ইসলামী ব্যাংক ঝুঁকিতে পড়লে পুরো খাতে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পদ্ধতিগত ঝুঁকি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তৈরি হবে, যা রোধ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। ওই বছর সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংককে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জামায়াতমুক্ত</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্যোবিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ। এরপর সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশ। এই টাকা বের করতে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এস আলমের পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর অঞ্চল-১৫-এর কমিশনার আহসান হাবিব গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য জানতে চেয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কর অঞ্চল-১৫ সূত্রে জানা গেছে, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, মা চেমন আরা বেগম ও ভাই আবদুল্লাহ হাসানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের মাতা-পিতা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাইফুল আলমসহ তাঁর পুরো পরিবারের সদস্যদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি তাঁদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য চেয়েছে কর অঞ্চল-১৫।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসান হলেন এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেডের পরিচালক। আর এস আলমের মা চেমন আরা বেগম এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিসের পরিচালক।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশজুড়ে নানা কর্মকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচিত এস আলম গ্রুপ। এই শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। সদ্য বিদায়ী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী ছিল এস আলম গ্রুপ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এস আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশকে ব্যাংক দখল, অর্থপাচার, ভ্যাট ফাঁকিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে এসব কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বিগত সরকারের আমলে যাঁরা অনৈতিক কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের সম্পদের প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে বাস্তব তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। তথ্যে অসংগতি থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>