<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেনি। তবে এসব কলেজ শুধু নামেই, বাস্তবে শিক্ষার্থীও নেই, শিক্ষকও নেই। এসব কলেজ থেকে চলতি বছর গড়ে তিনজন করে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্ত শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিনাজপুর বোর্ডে। এই বোর্ড থেকে ২০টি কলেজের কেউ পাস করেনি। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৬৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আটটি কলেজ থেকে ৩০ জন অংশ নিয়ে একজনও পাস করেনি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে আটজনের সবাই ফেল করেছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চারটি কলেজ থেকে ২৮ জন অংশ নিয়ে শতভাগ ফেল করেছে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচজন অংশ নিয়ে একজনও পাস করেনি। যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাত কলেজ থেকে ১৮ জনের সবাই ফেল করেছে। ময়মনসিংহ বোর্ডের চার কলেজের সবাই ফেল করেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পাঁচ কলেজ থেকে অংশ নেওয়া ১৭ জনের সবাই ফেল করেছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ১২টি কলেজ থেকে ৪৬ জন অংশ নিলেও কেউ পাস করেনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র জানায়, ৬৫ কলেজ থেকে মোট ২২১ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সেই হিসেবে প্রতি কলেজ থেকে গড়ে তিনজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক স ম আব্দুস সামাদ আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব কলেজ থেকে একজনও পাস করেনি সেগুলো সরেজমিন তদন্ত করে আমরা প্রথমে পাঠদানের অনুমতি বাতিল করতে পারি। এসব কলেজ থেকে এক-দুজন করে পরীক্ষা দিয়েছে। মন্ত্রণালয় বা মাউশি অধিদপ্তর স্বীকৃতি বাতিলের পরামর্শ দেয়, তাহলে আমরা সে ব্যবস্থাও নেব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, প্রতিবছরই শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান থাকে। ২০২২ সালের এইচএসসিতে শূন্য পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫০টি। সে হিসাবে এ বছর শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫টি বেড়েছে। এবার এক হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাস করেছে। তবে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৯৫৩টি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ফাঁকি রয়েছে। এমন অনেক কলেজ রয়েছে যেখানে এক-দুজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করে শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করে। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গড়াডোবা ইউনিয়নে গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ এবার শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। অথচ এ কলেজটি থেকে এবার একজনই পরীক্ষা দিয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের শূন্য পাস করা আটটি কলেজের মধ্যে রাজধানীতে অবস্থিত তিনটি কলেজ। সেগুলো হলো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিরপুরে অবস্থিত নর্থ ওয়েস্টার্ন কলেজ, উত্তরার ওয়েসিস ইন্টারমেডিয়েট কলেজ ও আমেরিকান কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। এই তিন কলেজ থেকে মাত্র সাতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার পরও এ কলেজগুলোর অনুমোদন বছরের পর বছর বহাল আছে। এসব কলেজ যে ভবনে অবস্থিত সেখানে একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্ত শিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করে না, এমন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী থাকে কম দুই-একজন। এসব প্রতিষ্ঠান নন-এমপিও। আমরা গত বছর আমরা চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এবারও যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>