<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ হয় কিশোর জিহাদ। পরিবারের পক্ষ থেকে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, আন্দোলনের সময় কোনোভাবে হয়তো মারা গেছে ছেলেটা। কিন্তু ৭০ দিন পর জিহাদকে উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ। এতে পুলিশের কর্মনিষ্ঠার প্রতি ধারণাই পাল্টে গেছে তার বাবার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে জিহাদকে উদ্ধার করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে ১৮ আগস্ট জিহাদ নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা বেলাল হোসেন আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে জিরাবোর বাসা থেকে জিহাদ (১৭) ও তার বোন ফাতেমা (২) নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজাখুঁজি করে পাশের এক বাসায় ফাতেমাকে পেলেও জিহাদকে কোথাও পাওয়া যায়নি। পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নিখোঁজ জিহাদের সন্ধান পেয়ে উচ্ছ্বসিত তার পরিবার। জিহাদের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকার পতনের রাতে জিহাদ নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক জায়গায় মাইকিং করে, পোস্টার লাগিয়েও তার সন্ধান পাইনি। এক পর্যায়ে ভেবেছিলাম, ও হয়তো মারা গেছে। শেষ ইচ্ছা ছিল, কোনোভাবে যাতে ছেলের লাশটা অন্তত পাই। হাসপাতাল, থানা, মর্গসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেলাল হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার রাতে জিহাদকে টঙ্গী থেকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন এসআই অলোক স্যার। আমরা তখনো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, জিহাদকে জীবিত ফিরে পেয়েছি। এ ঘটনার পর পুলিশের প্রতি আমার ধারণা পাল্টে গেছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশের কার্যক্রম যেভাবে চলছে, তাতে পুলিশের ওপর মানুষের ভরসা একপ্রকার উঠেই গিয়েছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলোক কুমার দে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রযুক্তির সহায়তা ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জিহাদকে টঙ্গী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ জানায়, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করেই সে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল।</span></span></span></span></span></p>