<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেক্সিমকো গ্রুপের সব ধরনের ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নামে-বেনামে সব ধরনের ঋণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপ। ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিংব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তিনি রীতিমতো লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছিলেন। বিপুল ঋণ, বিদেশে অগুনতি অর্থপাচার, শেয়ারবাজার কারসাজির মতো অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সালমান এফ রহমানের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। চিঠিতে বলা হয়, বেক্সিমকো গ্রুপ অব কম্পানির প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এর পরিচালকদের নামে-বেনামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে যেকোনো ধরনের ঋণসংশ্লিষ্ট হালনাগাদ তথ্য জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহ করতে হবে। খেলাপি কিংবা খেলাপি নয়; সব ধরনের ঋণ এর অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে বন্ধক দেওয়া সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের অনুমতি না দিতেও অনুরোধ করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে রিসিভার (সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক) নিয়োগের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এবার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি আট ব্যাংকে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণের পরিমাণ (নন-ফান্ডেডসহ) ৩৯ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। এসব ব্যাংক বেক্সিমকোর বন্ড ও সুকুকে আরো দুই হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এর বাইরে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও বেক্সিমকোর দেনা রয়েছে বলে জানা গেছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে। সে হিসেবে সালমান এফ রহমানের নেওয়া প্রকৃত ঋণ আরো অনেক বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের সোনালী, অগ্রণী, রূপালী ও বেসরকারি খাতের এবি, এক্সিম, ন্যাশনাল, সিটি, শাহজালাল ইসলামী, সাউথইস্ট, ঢাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকসহ আরো নানা ব্যাংকে বেক্সিমকো গ্রুপের দেনা রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>