<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে চালের সরবরাহ বাড়িয়ে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারি পর্যায়ে আমদানির পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি উৎসাহিত করা হবে। এ জন্য সব শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাল আমদানিতে আগে সব মিলিয়ে শুল্ক-কর ছিল ৬২.৫০ শতাংশ (২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর)। গত ২০ অক্টোবর চালের ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় ৫ শতাংশ। সর্বশেষ ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি সব শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনবিআর গত ২০ অক্টোবর তিন ধরনের শুল্ক কমায়। তবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক কমানোর পরও আমদানিতে সাড়া কম। ভিয়েতনাম থেকে মাত্র ২৬ টন চাল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ২৭ অক্টোবর।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৯৫৭ টন চাল আমদানি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৩৪.১৮ টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ১৬৮ টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে শুধু ৪৮ টন চাল আমদানি হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন ২০২৩ (২০২৩ সালের ৫৭ নম্বর আইন)-এর ধারা ২৫-এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এনবিআরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে, জনস্বার্থে, ওই আইনের প্রথম তফসিলভুক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে সিদ্ধ চাল ও সিদ্ধ ছাড়া আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আরোপণীয় সমুদয় কাস্টমস শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চাল আমদানি ও দেশে চালের মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর। বৈঠকে বলা হয়, চাল আমাদের প্রধান খাদ্যপণ্য। বন্যায় উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য মজুদ বৃদ্ধি করা দরকার। প্রয়োজনীয় সংগ্রহ ও দাম সহনীয় রাখার জন্য যা যা করার দরকার, সবই সরকার করবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে চালের বার্ষিক চাহিদা তিন কোটি ৭০ লাখ থেকে তিন কোটি ৯০ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে তিন কোটি ৯০ লাখ ৩৫ হাজার টন চাল উৎপাদন হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাদ্য অধিদপ্তর এক চিঠি দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ১০ লাখ টন চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। অর্থবছরের বাকি সময়ে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করা কঠিন হতে পারে। তাই উন্মুক্ত দরপত্রের পাশাপাশি সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া দরকার। শুধু তা-ই নয়, বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানিতে উৎসাহিত করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>