<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় চালের মজুদ, নিরাপত্তা মজুদ, সম্ভাব্য ঘাটতি বিবেচনায় চাল আমদানিতে শুল্ক-কর কমিয়ে ২ শতাংশ করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বর্তমানে চাল আমদানিতে শুল্ক-করের পরিমাণ ৬২.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এসংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এই মুহূর্তে প্রজ্ঞাপনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে আছে। দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চালে আমদানি শুল্ক (সিডি), নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি), অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও আগাম কর (এটি) মিলে ছিল ৬২.৫০ শতাংশ শুল্ক-কর। এনবিআর ২০ অক্টোবর এআইটি ছাড়া চাল আমদানিতে তিন ধরনের শুল্ক কমিয়েছে। সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ ও আরডি ২০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এনবিআর। এ ছাড়া আগাম কর ৫ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে আমদানি শুল্ক কমানোর পরও চাল আমদানিতে সাড়া মিলছে না। এ জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক-কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রিম আয়করের ২ শতাংশ বহাল রেখে বাকি সব ধরনের শুল্ক বাতিল করা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুই দফা বন্যায় মোট ৮.৩৯ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চালের মজুদ, নিরাপত্তা মজুদ, সম্ভাব্য ঘাটতি বিবেচনায় নিয়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা জরুরি। অর্থবছরের বাকি সময়ে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করা কঠিন হতে পারে। তাই উন্মুক্ত দরপত্রের পাশাপাশি সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বন্যায় আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানিতে উৎসাহিত করতে হবে মনে করছে খাদ্য অধিদপ্তর।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৯৫৭ টন চাল আমদানি হয়েছে। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৩৪.১৮ টন চাল আমদানি হয়েছিল। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১২ লাখ ৩৭ হাজার ১৬৮ টন চাল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে শুল্ক-কর কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর বলেছিল, এতে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে এবং আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে। আমদানি যেহেতু এখনো হয়নি, তাই বাজারেও এর প্রভাব পড়েনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বাজারে সরু অর্থাৎ নাজিরশাইল ও মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।</span></span></span></span></p>