<p style="text-align:justify">দুর্নীতি আর ক্ষমতার লোভের কারণে শেষ হয়ে গেছে স্বঘোষিত ‘হ্যাডামওয়ালা’ রাজনীতিবিদ, বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।</p> <p style="text-align:justify">দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করা বিতর্কিত এই নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ নৌকায় উঠে এমপি হয়ে একূল-ওকূল দুই কূলই হারিয়েছেন। এমন মন্তব্য শাহজাহান ওমরের নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠি-১ আসনে তাঁর একসময়ের রাজনৈতিক সহকর্মীদের। তাঁরা জানান, শাহজাহান ওমর বর্তমানে লাপাত্তা।</p> <p style="text-align:justify">সংসদ নির্বাচনের পর রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী শাহজাহান ওমরের প্ররোচনায় বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে তাঁর লোকজনকে দেখা যায়।</p> <p style="text-align:justify">গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তাঁর হাত ধরে আওয়ামী লীগে আসা কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজীকে বিজয়ী করতে অংশ নেন প্রচারণায়। এতে আরো বিতর্কিত হয়ে পড়েন শাহজাহান ওমর। বিএনপি আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসবে না মনে করে ক্ষমতার লোভে এবং দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পেতে বিএনপির সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করে রাজনীতির মাঠ থেকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন বলেই দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন।</p> <p style="text-align:justify">শাহজাহান ওমরের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, তিনি ঢাকা, বরিশাল ও ঝালকাঠির রাজাপুরের বাড়িতে নেই। হয়তো কোনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন। কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছেন না। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘শুধু ঝালকাঠিবাসীর কাছেই নয়, শাহজাহান ওমর সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে মীরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।’</p> <p style="text-align:justify">ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সদস্য শামীম আলম বাবু বলেন, ‘শাহজাহান ওমর বিএনপির রাজনীতি করলেও তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ঝালকাঠিতে বিএনপি শক্তিশালী হোক, এটা তিনি কখনো চাননি। তিনি বরাবরই চেয়েছেন, ঝালকাঠি বিএনপি দুর্বল থাকুক। বিএনপিকে দুর্বল রেখে তিনি ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করেছেন। নানা অপকর্ম ও দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তিনি স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা হিসেবে কাজ করেছেন।’</p>