<p>জাম্বিয়ায় এক মদ্যপ পুলিশ কর্মকর্তা হেফাজতে থাকা ১৩ জন সন্দেহভাজনকে ছেড়ে দিয়েছেন, যাতে তারা নববর্ষ উদযাপন করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদন অনুসারে, রাজধানী লুসাকার লিওনার্ড চিলো থানা থেকে গোয়েন্দা পরিদর্শক (ডিটেক্টিভ ইন্সপেক্টর) টাইটাস ফিরি সন্দেহভাজনদের মুক্তি দেওয়ার পর নিজেও পালিয়ে যান। পরে অবশ্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত ১৩ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে হামলা ও চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধের অভিযোগ ছিল। তারা সবাই বর্তমানে পলাতক এবং তাদের ধরতে অভিযান চলছে।</p> <p>পুলিশের মুখপাত্র রে হোমুঙ্গা জানান, নতুন বছরের আগের রাতে পরিদর্শক ফিরি ‘মদ্যপ অবস্থায়’ কনস্টেবল সারা বান্দার কাছ থেকে জোরপূর্বক হাজতের চাবি কেড়ে নেন। এরপর তিনি পুরুষ ও নারীদের হাজদের তালা খুলে সন্দেহভাজনদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাদের উদ্দেশে বলেন, তারা নতুন বছরে পাড়ি দেওয়ার জন্য স্বাধীন।</p> <p>মুখপাত্র আরো বলেন, ‘আটককৃত ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনার পর ওই কর্মকর্তাও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।’  </p> <p>টাইটাস ফিরি এখনো এসব অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ও আইনজীবী ডিকসন জেরে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঘটনাটি কল্পনা করলেই হাসি পায়—মজার ঘটনা! তবে তার পরই ১৯৯৭ সালের একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল।’</p> <p>বিবিসির তথ্য অনুসারে, ১৯৯৭ সালের নববর্ষের আগের রাতে হাইকোর্টের বিতর্কিত বিচারক কাবাজো চন্দ ৫৩ জন সন্দেহভাজনকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশের কাছে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। চন্দ ক্ষুব্ধ ছিলেন। কারণ সন্দেহভাজনরা ১৯৯২ সাল থেকে আটক থাকলেও আদালতে তাদের কোনো বিচার হয়নি। প্রয়াত চন্দ তখন বলেছিলেন, ‘বিচার বিলম্বিত হওয়া মানেই বিচার অস্বীকার করা।’</p>