<p style="text-align:justify">কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে যুবদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এ সময় একাধিক মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। অরুদ্ধ হয়ে পড়েন আগত অতিথিরা।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোহরগঞ্জ উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। </p> <p style="text-align:justify">প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের একটি সাংগঠনিক টিমের সফর নিয়ে স্থানীয় বিএনপির সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আনোয়ার উল আজীম ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের সমর্থিতরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এতে মনোহরগঞ্জ উপজেলা সদরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। </p> <p style="text-align:justify">এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটানো হয় ককটেল বিস্ফোরণ। এ ছাড়াও চাইনিজ কুড়াল, চাপাতিসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়। এতে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। </p> <p style="text-align:justify">কর্নেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিম পক্ষের উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল আলম বাচ্চু বলেন, যুবদলের কমিটি নিয়ে জেলা যুবদলের একটি সমন্বয়ক প্রতিনিধি দল লাকসাম আসেন। উভয় পক্ষের সঙ্গে প্রথমে বসার কথা থাকলেও তারা আজিম পক্ষকে এক পর্যায়ে নিষেধ করে দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে, তারা দৌড়ে মনোহরগঞ্জ বাজার থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমাদের লোকজনকে শান্ত করে নিয়ে আসি।</p> <p style="text-align:justify">কালাম পক্ষের নেতা সরোয়ার জাহান দোলন বলেন, যুবদলের বাদ পরা কিছু লোক বহিরাগতদের নিয়ে ঝামেলা করতে চেয়েছিল। পরে জেলা কমিটির হস্তক্ষেপে সমাধান করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">জেলা সাংগঠনিক টিমের প্রধান অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান বলেন, দলীয় পদ-পদবি নিয়ে স্থানীয় মতবিরোধ রয়েছে। তাই তাদের কথা শুনেছি। আশা করছি, সমাধান হয়ে যাবে। </p> <p style="text-align:justify">মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দে জানান, উত্তেজনার খবর শুনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো পক্ষই অভিযোগ দেননি। </p>