ঢাকা, সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

এক বছরে ৫৭০ বেওয়ারিশ লাশ

রেজোয়ান বিশ্বাস ও মোবারক আজাদ
রেজোয়ান বিশ্বাস ও মোবারক আজাদ
শেয়ার
এক বছরে ৫৭০ বেওয়ারিশ লাশ

বেওয়ারিশ লাশ দাফনকারী সেবামূলক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম গত বছর (২০২৪) বেওয়ারিশ ৫৭০টি লাশ দাফন করেছে। পুলিশের সঠিক তদন্তে গাফিলতি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে তাদের তথ্য না থাকায় স্বজনদের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা যায়নি।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সূত্রে জানা গেছে, তারা গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৪, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩, মার্চে ৪৯, এপ্রিলে ৩৭, মে মাসে ৫৯, জুনে ৪৮, জুলাইতে ৮১, আগস্টে ৩৪, সেপ্টেম্বরে ৩৪, অক্টোবরে ৪৪, নভেম্বরে ৫৩ ও ডিসেম্বরে ৫৪টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। সংস্থাটি বলছে, এর আগের তিন বছরের মধ্যে ২০২১ সালে ৪৬৫ জন, ২০২২ সালে ৪৪৩ জন, ২০২৩ সালে ৪৯০ জনের বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়।

সূত্র জানায়, লাশগুলো শাহবাগ থানার মাধ্যমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও শেরেবাংলানগর থানার মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হস্তান্তর করে। এ ছাড়া স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কমলাপুর রেলওয়ে থানাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে লাশগুলো আসে, যা বেওয়ারিশভাবে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় সবারই শনাক্তকরণের জন্য নিজস্ব পরিচিতি আছে। ওই দেশগুলোতে পুলিশ ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে দ্রুত লাশের পরিচয় শনাক্ত করে ফেলে।

আমাদের দেশে দুর্বল দিক হলো ছোট-বড় সবার জন্য কেন্দ্রীয় কোনো ডেটাবেইস না থাকা। এতে অনেক লাশের ওয়ারিশ খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো জন্ম নিবন্ধনেও আঙুলের ছাপ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা দরকার। যারা এনআইডি অন্তর্ভুক্তির বাইরে আছে, তাদের আওতায় নিয়ে আসতে নির্বাচন কমিশনকে আরো সক্রিয় থাকতে হবে।

এ ছাড়া সবাই তাদের সঙ্গে পরিচয়পত্র বা ঠিকানা রাখলে কোনো দুর্ঘটনায় লাশ বেওয়ারিশ হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। এ ক্ষেত্রে পরিবার, হাসপাতাল, পুলিশ ও ইসিকে আরো সক্রিয়তার পরিচয় দিতে হবে।

পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) একজন কর্মকর্তা বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ হয়, প্রথমে পরিবারকে থানাসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানাতে হয়। কিন্তু পরিবার অনেক সময় পাঁচ-সাত দিন পরে থানায় জিডি করে। এ ক্ষেত্রে মামলার মতো ভালোভাবে তদন্ত হয় না।

মূলত এসব কারণে অনেক লাশ নিখোঁজ থেকে যায়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যারা ভ্রাম্যমাণ, যাদের দৃশ্যমান কোনো অভিভাবক নেই, তারা ছাড়াও অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই। মূলত এসব লোকজনই পরিবার থেকে নানা কারণে দূরে গিয়ে মারা গেলে তাদের পরিচয় নিয়ে সংকটে পড়েন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।

জানতে চাইলে ঢাকা মেডিক্যাল ফরেনসিক প্রধান কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, এখানে ২০২৪ সালে মোট দুই হাজার ৯৬টি ময়নাতদন্ত হয়। এর মধ্যে  অজ্ঞাত (বেওয়ারিশ)  হিসেবে  ময়নাতদন্তের পর পুলিশের সহযোগিতায় আঞ্জুমানকে দেওয়া  হয়েছে ২৭৭টি মরদেহ। বর্তমানে এখানে আন্দোলনের সাতটিসহ বেশ কয়েকটি মরদেহ রয়েছে।

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন সেবা কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ বলেন, যদি কখনো কোথাও বেওয়ারিশ লাশ থাকে, দীর্ঘদিন ধরে কেউ লাশের খোঁজ নিচ্ছে না, তখন সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা তখন এসব লাশ আমাদের নির্ধারিত কবরস্থানে নিয়ে রীতিনীতি অনুযায়ী দাফন করে থাকি।

সূত্র বলছে, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা লাশগুলোর মধ্যে গত জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ১১৫ জনের লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। তাদের মধ্যে একজন বিদেশি নাগরিক ছিলেন। তাঁকে সেই দেশের অনুরোধে বাংলাদেশে দাফন করে আঞ্জুমান।

রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অজ্ঞাতপরিচয় লাশগুলো কবরস্থানটির ৪ নম্বর ব্লকে সারিবদ্ধভাবে দাফন করা হয়। তবে এসব কবরের কোনোটাতেই নেই কোনো নামফলক, চিহ্ন বা সাইন বোর্ড। নতুন কবরগুলো বাদে বেশির ভাগ কবরেরই উঁচু ঢিবি সমান হয়ে গেছে।

ঢাকা মেডিক্যালের মর্গ সূত্র জানায়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময় অনেক লাশ মর্গে আসে। এ লাশগুলোর বেশির ভাগই তাদের স্বজনরা শনাক্ত করে নিয়ে গেছে। আর দীর্ঘদিন মর্গে রাখার পরও যেসব লাশের নাম-ঠিকানা বা পরিচয় পাওয়া যায়নি, তাদের শাহবাগ থানার মাধ্যমে আঞ্জুমানের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

রায়েরবাজার কবরস্থানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা মাওলানা ফেরদৌস বলেন, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম থেকে সাধারণত গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে আমাদের কাছে আনা হয়। এরপর আমরা শুধু দাফন করি। অনেক সময় স্বজনরা এসে কবর শনাক্ত করার চেষ্টা করে। তবে কোনটা কার কবর বলা খুব মুশকিল। যদি কারো পরিচয় মেলে তার লাশ উঠিয়ে নেয় না তারা। এখানেই থাকে।

রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ দাফনের দায়িত্বে থাকা গোলাম রব্বানী বলেন, বেওয়ারিশ লাশ দাফনের ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম শুধু কাফনের কাপড় দেয়। বাঁশ, চাটাইসহ অন্যান্য খরচ কবরস্থানের পক্ষ থেকে বহন করা হয়। মাস শেষে এসবের হিসাব সিটি করপোরেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হিন্দু নেতা ভবেশ হত্যা

বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    বাংলাদেশের প্রত্যাখ্যান
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে অপহরণ ও হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি, বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে অপহরণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তবে ভবেশের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ।

গত রাতে বাসস জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার সব ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোনো বৈষম্যের শিকার হয়।

অন্যদিকে একই দিন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ভবেশ চন্দ্র রায়ের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, এই অপহরণ ও মর্মান্তিক মৃত্যু এই অঞ্চলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার এক উদ্বেগজনক স্মারক।

পোস্টে জয়সওয়াল দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি অংশ, যেখানে আগের এমন ঘটনার অপরাধীরা শাস্তি না পেয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতর্ক করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

তারপর অবশ্য ঢাকার তরফ থেকে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে ওয়াক্ফ ইস্যুতে আপত্তি তোলে। এর মধ্যেই ভবেশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

জানা গেছে, দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামে নিজ বাসা থেকে ১৭ এপ্রিল অপহৃত হন ৫৮ বছর বয়সী ভবেশ চন্দ্র রায়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য

সরকারের ব্যাংকঋণ বেড়েছে ৬৩,৪৩২ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সরকারের ব্যাংকঋণ বেড়েছে ৬৩,৪৩২ কোটি টাকা

আয় কমে যাওয়ায় সরকারের ব্যাংকঋণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ৯৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে আগের অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছিল ২৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে সরকারের ব্যাংকঋণ বেড়েছে ৬৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ নেয়নি সরকার। উল্টো আগের নেওয়া ঋণের ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি পরিশোধ করেছে। ফলে আলোচ্য সময়ে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা।

গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে নিট ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা।

অর্থাৎ গত দুই মাসে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ সাড়ে তিন গুণের বেশি বেড়েছে। রাজস্ব আহরণে ধীরগতি, বৈদেশিক উৎস থেকে কাঙ্ক্ষিত সহায়তা না আসা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে ভাঙানোর প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জানা গেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলতি অর্থবছরেও টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে যে ঋণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তার সবটাই বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের।

প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত ঋণের চাহিদা কম থাকায় এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। সেই লক্ষ্যমাত্রা ২৭ শতাংশ কমিয়ে ৯৯ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে এখন চাহিদা বাড়তে থাকায় সরকারের ব্যাংকঋণ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আটকে রাখা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের জুন শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকে সরকারের ঋণের স্থিতি ছিল তিন লাখ ১৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।

গত ২৯ মার্চ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ১১ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৩৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, গত জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম সাত মাসে যার পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। গত অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম চার মাসে ছিল ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছিল ৫৯ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ করেনি সরকার। গত জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। গত ৩১ মার্চ শেষে স্থিতি কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই ৯ মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরকার উল্টো পরিশোধ করেছে ৪১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণকে টাকা ছাপানো হিসেবে গণ্য করা হয়।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আরো দেখা যায়, গত ২৯ মার্চ শেষে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুনে সরকারের নিট ঋণস্থিতি ছিল চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সরকারের নিট ব্যাংকঋণ দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৯৮২ কোটি ৯১ লাখ টাকা, গত জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম সাত মাসে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ১৩ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ছিল ২৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা।

এদিকে গত অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারের ব্যাংকঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। তবে শেষ পর্যন্ত এর বিপরীতে সরকার নিট ঋণ নেয় ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের চার্টার্ড ফিন্যানশিয়াল অ্যানালিস্ট ডিগ্রিধারী মোহাইমিন পাটোয়ারী কালের কণ্ঠকে বলেন, রাজস্ব আদায় কম হওয়ার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার। এর ফলে ব্যাংকের তারল্যে প্রভাব পড়তে পারে। তবে সেটা আবার কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কারণ অনেক ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য আছে। তিনি আরো বলেন, বহু বছর ধরে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রথা চলে আসছে। প্রয়োজনে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, আবার ফেরতও দেয়। এসব ঋণের প্রভাব দ্রুত পড়বে না। তবে ঋণের বোঝা বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা না ছাপালে সুদের হার চাঙ্গা থাকবে। এই সমস্যা সমাধানে যেকোনোভাবে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

মন্তব্য

ঢাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র নিহত

    আরো ৯ জেলায় ৩ খুন ৭ লাশ উদ্ধার
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র নিহত

রাজধানী ঢাকার প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ব্যবসায়ীকে এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কুমিল্লায় স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার পর থানায় গিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন স্বামী। আরো ছয় জেলায় যুবদল নেতাসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে এবং গতকাল শনিবার এসব ঘটনা ঘটে।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৩)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহে। পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।

এ সময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহত হন।

বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত শিক্ষার্থী পারভেজের লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের ফেসবুক পোস্টে নিহতের একটি ছবি প্রকাশ করে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলায় পারভেজ হত্যার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

রাজধানীর ডেমরার পাইটি গ্রামে গতকাল বিকেলে মিনা আক্তার (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সে পাইটি গ্রামের বাসিন্দা কাঁচামাল ব্যবসায়ী আল-আমিন মোল্লাহর মেয়ে। সে এ বছর স্থানীয় ই-হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

শাহজাদপুর : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৌর সদর রামবাড়ী মহল্লার বিপুল হোসেন (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে।

হবিগঞ্জ : চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ডুলনা গ্রামে গতকাল দুপুরে আব্দুল হাই (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

তিনি ঘটনাস্থলের পাশের জারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সামাদ উল্যা বাচ্চু (৪০) নামের এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটি শৈলজুড়া (গৈয়বপুর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সামাদ উল্যা গৈয়বপুর গ্রামের প্রয়াত ইউসুফ উল্যার ছেলে এবং রাজিউড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি।

বড়াইগ্রাম : নাটোরের বড়াইগ্রামে নিজ শয়নকক্ষ থেকে পরিবহন শ্রমিক ও যুবদল নেতা আয়নাল হকের (৪৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া কালিরঘুন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। আয়নাল নটাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

কুমিল্লা : বাজার থেকে কিনে আনা পুঁটি মাছ কাটা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী নিজেই থানায় গিয়ে স্ত্রী হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগরের উত্তর ত্রিশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মৌসুমী আক্তার (২৯) দেবীদ্বার উপজেলার নবীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। অভিযুক্ত বাছির উদ্দিন (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে।

গোয়ালন্দ : কোয়েল পাখির ফার্মের দুর্গন্ধ ছড়ানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে ছেলের মারামারি হয়। এই মারামারি ঠেকাতে গিয়ে আক্কাস আলী শেখ নামের এক বৃদ্ধ বাবার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহটি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে গোয়ালন্দ পৌরসভার কুমড়াকান্দি মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

ভোলা : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় আবুবক্করপুর ইউনিয়নে দুই লাখ টাকা চাঁদার জন্য মো. মাসুদ (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. আল আমিনের (৪৫) বিরদ্ধে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই তাঁকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল এবং তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের জেলার নেতারা। ঘটনার ১৩ দিন পর মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে ঢাকার মতিঝিল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নরসিংদী : নরসিংদীতে নিজ ঘর থেকে গলায় ওড়না  পেঁচানো অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের পর পৃথক স্থান থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মাদকাসক্ত স্বামী। গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রাম থেকে স্ত্রীর ও গতকাল দুপুরে শেখেরচর বাবুরহাটের একটি তিনতলা ভবনের কার্নিশ থেকে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দম্পতি সদর উপজেলার মহিষাশূরা ইউনিয়নের বালুসাইর গ্রামের তিন সন্তানের জনক রাজু মিয়া (৪২) ও তাঁর স্ত্রী মানছুরা বেগম (৩৮)।

ময়মনসিংহ : প্রায় এক বছর ধরে এক সন্ত্রাসী এলাকার কমপক্ষে ১০ জনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। প্রাণ না যাওয়ায় আক্ষেপ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে একাধিক পোস্টসহ লাইভে এসে নানা কথা বলার পাশাপাশি আরো অনেককেই হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ হত্যার হুমকি দিয়ে ১৮ দিন পর গত শুক্রবার বিকেলে এক কলেজছাত্র হত্যা হওয়ার পর নিজের ফেসবুক আইডিতে হত্যা করার ইঙ্গিত দিয়ে পোস্ট দেন ওই সন্ত্রাসী। তাঁর নামে থানায় হত্যাচেষ্টার সাতটি মামলা হলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহত ওই কলেজছাত্র ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামের মো. কাশেম আলী ফকিরের ছেলে মারফত আলী ফকির (২২)।

মন্তব্য
সবিশেষ

সৌদি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক নাজরানের জানবিয়া

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
সৌদি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক নাজরানের জানবিয়া

মধ্যপ্রাচ্য বা আরবের দেশগুলো শুধু সৌন্দর্য ও প্রকৃতির জন্যই নয়, হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্যও বিখ্যাত। বিশেষ করে সৌদি আরবের নাজরানের ঐতিহ্যবাহী জানবিয়া খঞ্জর সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে এখনো সমাদৃত। এটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গর্বের প্রতীক।

স্থানীয় বাসিন্দা সালেহ হুসেন আল-ইয়ামি বলেন, ঈদ এবং জাতীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে জানবিয়া খাঁটিত্ব, আনন্দ, গর্ব ও আত্মীয়তার প্রতীক হিসেবে কোমরে ধারণ করা হয়।

তাঁর মতে, প্রতিটি জানবিয়া এক অনন্য মাস্টারপিস, যা সৃজনশীলতা এবং কারুশিল্পের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে। অস্ত্র হিসেবে এখন এটি তেমন ব্যবহার না হলেও এর ঐতিহাসিক মূল্য অনেক।

আরব পুরুষরা কোমরের চারপাশে একটি বেল্টের মাধ্যমে এটি বহন করেন। এটি এখন আরবের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের প্রধান অনুষঙ্গও বটে।

তবে জানবিয়া শুধু সাজসজ্জার জন্য নয়, বরং মৌলিকতা ও দীর্ঘ ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর হাতল ও খাপের ওপর জটিল ও তীক্ষ খোদাই মালিকের সামাজিক অবস্থান ও গোত্রীয় পরম্পরার সূত্র সম্পর্কে জানান দেয়। অনেক সময় পূর্বপুরুষের শিকড়ের সন্ধানও পাওয়া যায়। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম কেমন ছিল, স্থানান্তর বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায়।

এই ছোরাগুলোর উৎপত্তি প্রাক-ইসলামী যুগে, তবে আধুনিক যুগেও এর ব্যবহার রয়েছে। জানবিয়ার মালিক খুব সতর্কতার সঙ্গে এটি রক্ষা করেন এবং সারা জীবন বহন করেন। অনেকের জন্য এটি তাঁদের ব্যক্তিত্বেরই একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে যায়। ইতিহাস ও অলংকরণ হিসেবে কিছু জানবিয়ার শৈল্পিক মূল্য এতটাই বেশি যে এগুলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষণ করা আছে।

আরবজুড়ে বিভিন্ন ধরনের জানবিয়া পাওয়া যায়।

এগুলোর দাম মূলত নির্ভর করে ব্যবহৃত উপকরণের ওপর।

জানবিয়ার মূল অংশ তিনটিব্লেড, হাতল ও খাপ। হাতল দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয় বলে এটিই জানবিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা হয়। গণ্ডার ও হরিণের শিং দিয়ে তৈরি হাতলের জানবিয়া সবচেয়ে দামি। হাতির দাঁত ও গরুর শিং থেকেও হাতল তৈরি করা হয়। প্লাস্টিক, সুতা ও কাঠ দিয়ে তৈরি হাতলগুলোর দাম সবচেয়ে কম। আরবের অনেক জায়গায় ঐতিহাসিক সামগ্রী হিসেবে প্রথম দিকেই আসে জানবিয়ার নাম, যা তাঁরা শুধু কোমরে বহন করেন না, হৃদয়েও ধারণ করেন। সূত্র : অ্যারাব নিউজ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ