বিআইডব্লিউটিসির গাফিলতির কারণে লোকবল আর জ্বালানি সংকটের দোহাই দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া বাগেরহাটের রামপালে একটি ফেরি ২৮ বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। ১৯৯৬ সালে ফেরিটি উদ্বোধন করা হয়। দুই বছর পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, রামপাল-পেড়িখালী খেয়াঘাট দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে ব্যস্ততম একটি খেয়াঘাট।
একসময় রামপাল নদী ছিল প্রমত্তা। প্রবল স্রোত ও ঢেউ উপেক্ষা করে মানুষ এই ঘাট দিয়ে নৌকায় পারাপার হতো। অনেক সময় নদী পার হতে গিয়ে এই ঘাটে নৌকাডুবিতে অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। দীর্ঘদিনের পারাপারের দুর্ভোগ লাঘবে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তালুকদার আব্দুল খালেক এই ঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেন।
প্রায় দুই বছর ধরে সার্ভিসটি চালু থাকলেও লোকবল আর আর্থিক সংকটের দোহাই দিয়ে বিআইডব্লিউটিসি এ ঘাটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। দেখা দেয় আবারও পারাপারের সংকট। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফেরিটি রামপাল সদর পুরাতন ডাকবাংলার সামনে নদীর চরে ফেলে রাখা হয়। পরে ফেরিটি রামপাল উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট ফেরির দুটি ইঞ্জিনের প্রায় সব মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যায়।
এদিকে ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর রামপাল-পেড়িখালী খেয়াঘাটে ফেরির পন্টুন ও গ্যাংওয়ে পড়ে ছিল অনেক দিন। মোংলার একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ফেরির পন্টুন ও গাংওয়ে কেটে নিয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আ. মতিন বলেন, বিআইডব্লিউটিএ সাধারণত নদীর বিষয়টি নিয়ে কাজ করে। আর জাহাজ চলাচলের বিষয়টি নিয়ে বিআইডব্লিউটিসি কাজ করে।
ফেরির বিষয়টি বিআইডব্লিউটিসি ভালো বলতে পারবে। অবশ্য বিআইডব্লিউটিসির কার্যালয় না থাকায় এ বিষয় নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তত্ত্বাবধানে থাকা রামপাল এলজিইডি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।