<p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরিচা-কাজিরহাট নৌ রুটে ফেরি ভাড়া নিয়ে চলছে নয়ছয়। একই সঙ্গে চলছে বকশিশের নামে চাঁদবাজি। প্রতিদিন এই দুই খাত থেকে আয়ের ভাগ পাচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিষয়টি ওপেন-সিক্রেট হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন বা বিআইডব্লিউটিসির আরিচা সেক্টরের অধীনে আরিচা-কাজির রুটে প্রতিদিন চারটি বড় আকারের রোরো ফেরি গড়ে ২০টি ট্রিপ দেয়। প্রতি ট্রিপে গমড় ২০টি গাড়ি পারাপার হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ থাকে পণ্যবাহী ট্রাক। মূলত এই ট্রাক থেকেই টিকিটে উল্লিখিত ভাড়ার চেয়ে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত এই টাকা বিআইডব্লিউটিসির হিসাবে জমা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাগ-ভাটোয়ারা করে নেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘাটসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যানবাহন পারাপারে ফেরি ভাড়ার একটি চার্ট আছে। টিকিট কাউন্টারের সামনে এবং ফেরিঘাটের বিভিন্ন স্থানে এমন কয়েকটি চার্ট টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। মূলত ট্রাকের আকার ও পণ্যের ওজনের ওপর নির্ভর করে ভাড়া নির্ধারিত হয়। কিন্তু এই রুটে ট্রাকসহ পণ্য পরিমাপের কোনো ব্যবস্থা (ওজন স্কেল) নেই। বিআইডব্লিউটিসির টিকিট কাউন্টারের কর্মচারীরা এই সুযোগটি নিয়ে থাকেন। চোখের দেখায় তাঁরা একটি ওজন নির্ধারণ করেন। এখানে সংশ্লিষ্ট ট্রাকচালকের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া হয়। বোঝাপড়া অনুযায়ী টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়। আর টিকিটের বাইরে লেনদেন হয় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে কথা হয় একাধিক ট্রাকচালকের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, বিআইডব্লিউটিসির কাউন্টার আর ঘাটে কর্মচারীদের কথামতো না চললে সিরিয়াল দেওয়া হয় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। ফলে আমরা ওদের কথামতো কাজ করি। এতে আমাদেরও লাভ, ওদেরও লাভ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে কাউন্টার পার হয়ে ফেরিতে ওঠার সময় প্রতিটি গাড়ি থেকে বকশিশের নামে ৫০ থেকে ১০০ টাকা আদায় করছে টিসির নিম্ন শ্রেণির কর্মচারীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনি ও রবিবার আরিচা ঘাটে দেখা গেল সেই দৃশ্য। ফেরিতে ওঠার সময় গাড়ির সামনে হাত উঁচিয়ে এক ব্যক্তি গাড়ি থামাচ্ছেন। ড্রাইভারের কাছে বকশিশ বাবদ টাকা দাবি করছেন। ক্যামেরা তাক করতেই সেই লোক চোখ গরম করে ছুটে আসেন। কেন ছবি তোলা হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ নিয়ে রাগারাগি শুরু করেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। তবে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে আরিচা প্রান্তের টিকিট কাউন্টারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি তাঁর নাম জানাতেও অস্বীকার করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওজন পরিমাপ যন্ত্র ওয়ে স্কেল না থাকায় বর্তমানে মালের চালান দেখে ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে। ফলে ভাড়া নির্ধারণে এদিক-সেদিক হতেই পারে। এতে রাজস্ব আদায় কমে গেছে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>
