<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাত বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল রবিবার। এ উপলক্ষে গতকাল উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফুটবল মাঠে বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গারা সমাবেশের আয়োজন করে। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গারা ২৫ আগস্ট দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। সমাবেশে তারা পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সকাল ১০টার পর মুষলধারার বৃষ্টি উপেক্ষা করে উখিয়ার বিভিন্ন  ক্যাম্পে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হোপ ইজ হোম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ক্যাম্পেইন পালন করে তারা। সমাবেশে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ করো স্লোগান দিতে থাকে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আশপাশের ক্যাম্প থেকে সকাল থেকেই লোকজন কুতুপালং ক্যাম্পের ফুটবল মাঠে জড়ো হতে শুরু করে। ক্যাম্পেইন সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেয়। পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি জানায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের চারটি পৃথক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গতকাল দিবসটি উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এসব সমাবেশে রোহিঙ্গারা পাঁচটি দাবি জানায়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরাকানে অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। নাগরিকত্ব দিয়ে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত মিয়ানমার জান্তা ও অরাকান আর্মির নির্যাতনের বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। মিয়ানমারে জাতিগত সহাবস্থান ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাবেশে বক্তব্য দেন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা সৈয়দ উল্লাহ, মাস্টার মোহাম্মদ কামাল, মাস্টার রশিদ আহমদ, মাস্টার রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ মুসা প্রমুখ। রোহিঙ্গা নেতারা জানান ২০১৭ সালের পর এ বছর আরাকানে রোহিঙ্গা জাতি দ্বিতীয়বারের মতো গণহত্যার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে রাখাইন স্টেটে আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ওপর দ্বিতীয় দফা গণহত্যা চালাচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁরা জানান, দেশে ফিরে যেতে দিবসটি পালন করছেন তাঁরা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা জানিয়ে রোহিঙ্গারা বলে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই দেশে আর কত বছর থাকব? আর থাকতে চাই না। আমরা আমাদের স্বদেশে ফিরতে চাই। মিয়ানমার আমাদের দেশ। অবিলম্বে আমাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে। আশ্রয় দেওয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। পাশাপাশি প্রত্যাবাসন সফল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>