<p style="text-align:justify">নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী বৃহস্পতিবার নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (এনইএ), ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) স্বাক্ষর করবে। নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ সোমবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে অংশ নিতে চারজনের একটি প্রতিনিধিদল আজ সোমবার নেপালে গেছেন। সিদ্ধান্ত ছিল ৮ জনের একটি প্রতিনিধিদল যাওয়ার, পরবর্তীতে তা কমিয়ে আনা হয়।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শাস্তি পাচ্ছেন ১৭ উপসচিব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727693430-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শাস্তি পাচ্ছেন ১৭ উপসচিব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/30/1430485" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">নেপালের এই বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারতের ভূখণ্ড ও সরবরাহ লাইন ব্যবহার করা হবে। এ জন্য ভারতীয় পক্ষও এই চুক্তিতে অংশ নিচ্ছে। মূলত গত ২৮ জুলাই এই চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাক্ষরটি স্থগিত করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">ভারতের মুজাফফরপুরের মিটারিং পয়েন্টসহ ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হবে। ধলকেবার থেকে মুজাফফরপুর পর্যন্ত ট্রান্সমিশন লাইনে কোনো প্রযুক্তিগত ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ বা মেরামতের খরচ এনইএ বহন করবে।</p> <p style="text-align:justify">নেপালের বিদ্যুৎ বেহারামপুর (ভারত) থেকে ভেড়ামারা (বাংলাদেশ) পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এনইএ ২৫ মেগাওয়াটের ত্রিশূলি প্রকল্প এবং ২২ মেগাওয়াটের চিলিম প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে চায়। উভয় বিদ্যুৎকেন্দ্রই ভারত থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যে একমত হওয়ার আহ্বান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727710647-6d231115faa6d30fbfae31186564982f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যে একমত হওয়ার আহ্বান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/30/1430545" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি (একনেক) ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়। পরবর্তীকালে বিপিডিবি, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার জন্য একটি দরপত্র জারি করে।</p> <p style="text-align:justify">নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি প্রতিবছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির পরিকল্পনা করছে। প্রত্যাশিত রপ্তানি ১ লাখ ৪৪ হাজার মেগাওয়াট-ঘণ্টা। এনইএ এই পাঁচ মাসে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি থেকে ৯.২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের অনুমান করেছে।</p>