<p style="text-align:justify">বগুড়ায় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা  করা হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর থানায় এ মামলা করা হয়। এতে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী শামীম আহম্মেদ। তিনি শহরের নারুলী সুলতানপট্টি এলাকার মৃত অসমত আলীর ছেলে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঈনুদ্দীন। </p> <p style="text-align:justify">মামলার আসামিরা হলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, সহসভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন ও আসাদুর রহমান দুলু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদার রহমান মিলন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, রেজাউল করিম ডাবলু ও আরিফুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আখতারুজ্জামান ডিউক। </p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাতমাথার দিকে যাবার সময় শহরের ফতেহ আলী বাজার এলাকায় মিছিলের সঙ্গে যোগদান করি। এসময় মজিবর রহমান মজনু ও রাগেবুল আহসান রিপুর নির্দেশে ৫ থেকে ৯ নম্বর আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করে। আমি এর প্রতিবাদ জানালে শুভাশিস পোদ্দার লিটন তার পিস্তল দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে এবং আমার বাম পা গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া আমিনুল ইসলাম শটগান দিয়ে আমাকে গুলি করলে আমার দুই পায়েই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসা নিয়ে একটু সুস্থ হলে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করি। </p> <p style="text-align:justify">বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আহত শামীম আহম্মেদ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। <br />  </p>